• বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১২ ১৪৩১

  • || ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

সর্বশেষ:
ছয়দিনের সফরে ব্যাংককে পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী গরমে ‘অতি উচ্চ ঝুঁকিতে’ বাংলাদেশের শিশুরা: ইউনিসেফ গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা: বেরোবি কেন্দ্রের পরীক্ষার্থী ৩১ হাজার ৯৪৬ জন বাংলাদেশ-ভারত ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করবে: ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী কাতারের আমিরের সফরে যা পেল বাংলাদেশ

বাজার পরিস্থিতি নিয়ে যা বললেন ভোক্তার ডিজি

– নীলফামারি বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ২৭ মার্চ ২০২৩  

সাম্প্রতিক বাজার পরিস্থিতি সম্পর্কে জানাতে ফেসবুক লাইভে এসেছেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের মহাপরিচালক (ডিজি) এ. এইচ. এম. সফিকুজ্জামান।

সোমবার দুপুর ১২টায় জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের অফিশিয়াল ফেসবুক পেজ থেকে তিনি এ লাইভে আসেন।

এসময় এ. এইচ. এম. সফিকুজ্জামান বলেন, পৃথিবীর অনেক মুসলিম দেশে ব্যবসায়ীরা রমজানের সময় বিশেষ কার্যক্রম গ্রহণ করেন। আরব দেশগুলোতে দ্রব্যমূল্য সহনীয় পর্যায়ে রাখতে ছাড় দেন তারা। কিন্তু বাংলাদেশ ৯০ ভাগ মুসলিমের দেশ হওয়ার পরও ব্যবসায়ীরা রমজানকে উপলক্ষ্য করে সুযোগ নেন। কারণ এ সময় ভোক্তাদের দ্রব্যের চাহিদা বেড়ে যায়।

তিনি বলেন, রমজানে যেহেতু আমাদের নিত্যপণ্যের চাহিদা বেড়ে যায়, তাই আমরা আমদানি নির্ভর জরুরি খাদ্য পণ্যগুলোর মজুদ ঠিক রাখার জন্য তিন-চার মাস আগে ব্যবস্থা নিয়েছিলাম। এজন্য আমদানিকারকরা যাতে পণ্য আমদানির সময় কোনো বাধার সম্মুখীন না হন, এলসি খুলতে সমস্যা না হয়, বন্দর থেকে যাতে দ্রুত পণ্য খালাস হয় সে ব্যবস্থা করেছিলাম। এ কারণে রমজানে চাহিদা অনুযায়ী আমরা পণ্য মজুদ রাখতে পেরেছিলাম। তাই এখন বাজারে কোনো পণ্য সরবরাহ বা পাওয়া ঘাটতি নেই। সরকারি গুদামগুলোতে এখনো প্রায় ২১ লাখ মেট্রিক টন খাদ্য মজুদ আছে।

রমজানে খাদ্যপণ্যের মজুদ ঠিক রাখলেও দাম ঠিক রাখা যায়নি স্বীকার করে ভোক্তা অধিদফতরের ডিজি বলেন, দ্রব্যমূল্য ঠিক রাখতে না পারার একটি কারণ হলো- ডলারের মূল্য বেড়েছে। এই কারণে ব্যবসায়ীরা এলসি খুলতে না পারায় তিন-চার মাস আগে থেকে প্রতিটি পণ্যের বাজার অস্থিতিশীল ছিল। এছাড়া ব্যবসায়ীরা নিত্যপণ্যের দাম বাড়ার যেসব কারণ দেখায় এর কোনোটি যৌক্তিক, কোনোটি অযৌক্তিক। এটি নিয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর প্রতিনিয়ত কাজ করে যাচ্ছে।

তিনি আরো বলেন, আমাদের লক্ষ্য ছিল নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের যে বাড়তি দাম যেনো রমজানে আর অস্থির না হয়। ভোক্তারা যাতে স্বস্তিতে রমজান পার করতে পারেন। এজন্য রমজানের দুই-তিন মাস আগে থেকে আমরা সেক্টর ভাগ করে একাধিকবার ব্যবসায়ীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেছি। আমরা খাদ্যপণ্য আমদানিকারক, ফল আমদানিকারক, মসলার বাজারের ব্যবসায়ীসহ অনেকের সঙ্গে আমরা মতবিনিময় করেছি।

ভোক্তা অধিদফতরের ডিজি বলেন, ব্যবসায়ীরা অনেক সময় অতিরিক্ত চাহিদাকে পুঁজি করে বাজারকে অস্থির করে দেয়। এজন্য আমরা এফবিসিসিআই ও ঢাকার বাজার মালিক সমিতিগুলোর সঙ্গে মিটিং করেছিলাম। এবার আমরা বাজার যাতে অস্থির না হয়, সেজন্য বাজার কমিটিগুলোকে কাজে লাগানোর চেষ্টা করেছিলাম। আমরা বলেছিলাম, কোনো বাজার যদি অস্থির হয়, তাহলে সেই বাজারের কমিটির বিরুদ্ধে আমরা ব্যবস্থা নেবো। এরই মধ্যে সে ব্যবস্থা নেয়া শুরু হয়েছে।

উদাহরণ দিয়ে তিনি আরো বলেন, মুরগির বাজার যখন অস্থির ছিল, তখন আমরা কাপ্তান বাজারের দোকান মালিক সমিতিকে শোকজ করেছিলাম। আজকেও সোমবার (২৭ মার্চ) কাপ্তান বাজারে আমাদের টিম অভিযান চালিয়েছে। কোথাও কোনো ব্যত্যয় হলে আমরা বাজার কমিটিকে দায়ী করবো এবং প্রয়োজনে বাজার কমিটি বিলুপ্ত করবো বলেছিলাম। এছাড়া এবার আমরা স্থানীয় প্রশাসনকে সঙ্গে নিয়ে বাজার মনিটরিং জোরদার করার পদক্ষেপ নিয়েছি।

জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর প্রথম রমজান থেকে সারাদেশে নিবিড়ভাবে বাজার মনিটরিং করছে জানিয়ে তিনি আরো বলেন, সারাদেশে আমাদের ৬২টি টিম কাজ করছে। শুধু ঢাকা শহরেই আমাদের ৭টা টিম কাজ করছে। এর ফলে রমজানে বিশেষ কিছু পণ্যের দাম আর বাড়েনি। বরং কিছু কিছু পণ্যের দাম কমেছে। তারপরও কেউ যাতে পণ্য মজুদ করে কৃত্রিম সংকট তৈরি করে বাজার অস্থির করতে না পারে, সেজন্য আমরা নজর রাখছি।