• বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১১ ১৪৩১

  • || ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫

সর্বশেষ:
যুদ্ধের অর্থ জলবায়ু পরিবর্তনে ব্যয় হলে বিশ্ব রক্ষা পেত- প্রধানমন্ত্রী দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ উৎপাদনের রেকর্ড মেডিকেল কলেজের ক্লাস অনলাইনে নেয়ার নির্দেশ স্বাস্থ্যমন্ত্রীর ‘গণতান্ত্রিক রীতিনীতি না মানলে জনগণই বিএনপিকে প্রতিহত করবে’ লালমনিরহাটে হত্যা মামলায় বিএনপির দুই নেতা কারাগারে

বিকেলে ৫০০ টাকা ফি-তে রোগী দেখবেন সরকারি চিকিৎসকরা

– নীলফামারি বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ২৭ মার্চ ২০২৩  

 
সরকারি চিকিৎসকরা ৩০ মার্চ থেকে অফিস সময়ের পর হাসপাতালেই বিকেল ৩টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ভিজিট নিয়ে রোগী দেখতে পারবেন। এই সুযোগ দিয়ে রোগী প্রতি ৫০০ টাকা ফি নির্ধারণ করেছে সরকার। সোমবার মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক এসব তথ্য জানান।

তিনি জানান, সবার সঙ্গে আলোচনা করে আগামী ৩০ মার্চ থেকে পাইলট প্রকল্প হিসেবে ইনস্টিটিউশনাল প্র্যাকটিস শুরু করবো। চিকিৎসকরা প্রাতিষ্ঠানিক প্র্যাকটিস সরকারি হাসপাতালেই করবেন। প্রথমে আমরা কয়েকটি জেলা হাসপাতালে এই কার্যক্রম শুরু করবো।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ১০টি জেলা হাসপাতালে এবং ২০টি উপজেলায় এই কার্যক্রম শুরু হবে। আমরা দেখবো সেখানে কেমন কার্যক্রম চলছে। সেখানে যদি কোনো ত্রুটি-বিচ্যুতি থাকে, আমরা সেটা সংশোধন করে পর্যায়ক্রমে ৫০০টি উপজেলা এবং ৬৪ জেলায় বাস্তবায়ন করবো। বিকেল ৩টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত চিকিৎসকরা সরকারি হাসপাতালে চেম্বার করবেন। সপ্তাহে দুই দিন আপাতত এ কার্যক্রম চলবে। তাদের এ সেবা দেওয়ার জন্য সম্মানি নির্ধারণ করা হয়েছে। সেই সম্মানির একটি অংশ চিকিৎসক ও অন্যান্য স্বাস্থ্যকর্মী এবং আরেকটি অংশ হাসপাতাল পাবে।

তিনি বলেন, পাশাপাশি ছোটখাটো সার্জারি, টেস্টের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। সেখান থেকেও খরচের অংশ হাসপাতাল পাবে। আপাতত আমরা এভাবেই কাজটি শুরু করতে যাচ্ছি। সকাল ৮টা থেকে দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত চিকিৎসকরা সরকারি হাসপাতালে সেবা দেন। তারপর সিনিয়র চিকিৎসকরা হাসপাতালে থাকেন না। এরপরেও অনেক মানুষের চিকিৎসা পরামর্শ ও টেস্টের প্রয়োজন হয়। চিকিৎসক না থাকায় অনেক মানুষের কষ্ট হয়, আমরা সেই কষ্ট লাঘবের জন্য এই দ্বিতীয় শিফট চালু করেছি।

জাহিদ মালেক জানান, এই সেবার জন্য অধ্যাপকের ফি নির্ধারণ করা হয়েছে ৫০০ টাকা। এর মধ্যে ৪০০ টাকা চিকিৎসক পাবেন, সহায়তাকারী পাবেন ৫০ টাকা এবং হাসপাতাল পাবে ৫০ টাকা। এছাড়া সহযোগী অধ্যাপক বা সিনিয়র কনসালটেন্টের ফি নির্ধারণ করা হয়েছে ৪০০ টাকা, যার ৩০০ টাকা চিকিৎসক পাবেন। সহকারী অধ্যাপক বা জুনিয়র কনসালটেন্ট, বা পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ডিগ্রিধারী চিকিৎসকের ফি নির্ধারণ করা হয়েছে ৩০০ টাকা, যার ২০০ টাকা চিকিৎসক পাবেন। এমবিবিএস বা বিডিএস বা সমমনা ডিগ্রিধারী চিকিৎসকদের ফি ২০০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে, এর মধ্যে ১৫০ টাকা চিকিৎসক পাবেন।

মন্ত্রী আরো জানান, এছাড়া লোকাল এনেস্থেশিয়া প্রয়োগে ছোট সার্জারির ক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞ ফি ৮০০ টাকা এবং সার্জারির ক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞ ফি ১ হাজার ৫০০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।        

এ সময় স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব ড. মুহাম্মদ আনোয়ার হোসেন হাওলাদার, স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মো. খুরশিদ আলম, অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আহমেদুল কবির উপস্থিত ছিলেন।