• মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ৫ ১৪৩০

  • || ০৮ রমজান ১৪৪৫

‘বিশ্ব শান্তির জন্য সারাজীবন সংগ্রাম করেছেন বঙ্গবন্ধু’  

– নীলফামারি বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ২৯ মে ২০২৩  

রংপুর বিভাগীয় কমিশনার হাবিবুর রহমান বলেছেন, যখনই মানবধিকার লঙ্ঘিত হবে, শান্তি বিঘ্নিত হবে তখনই মনে হবে বঙ্গবন্ধুর কথা। জুলিও কুরি শান্তি পদকের কথা। বিশ্বের সর্বত্র শান্তি বজায় রাখতে ও সুসংহত করতে বিশ্বদরবারে তিনি তার বক্তব্যের মধ্যদিয়ে তা বাস্তবায়নের আওয়াজ তুলেছিলেন। মানুষের অধিকার আদায় ও বিশ্বশান্তির জন্য সারাজীবন সংগ্রাম করেছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। ৫০ বছর পর আজো বঙ্গবন্ধুর শান্তির আহ্বান প্রাসঙ্গিক। 

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জুলিও কুরি শান্তি পদক প্রাপ্তির ৫০ বছরপূর্তি উদযাপন উপলক্ষে রোববার সকালে রংপুর শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

এ বছর বঙ্গবন্ধু শুধু বাংলার নন, তিনি বিশ্বের এবং তিনি বিশ্ববন্ধু স্লোগানে ‘জুলিও কুরি’ শান্তি পদক প্রাপ্তির ৫০ বছর পূর্তি উদযাপন করা হয়।

রংপুর জেলা প্রশাসক ড. চিত্রলেখা নাজনীনের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন পুলিশের রংপুর রেঞ্জ ডিআইজি আবদুল আলীম মাহমুদ, রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার নুরে আলম মিনা, জেলা পুলিশ সুপার ফেরদৌস আলী চৌধুরী, জেলা আওয়ামী লীগের আহ্ববায়ক এ. কে. এম. ছায়াদত হোসেন বকুল, মহানগর আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক ডা. দেলোয়ার হোসেন প্রমুখ।

সভায় বক্তারা বলেন, জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমান ‘বঙ্গবন্ধু’ হয়েছিলেন সেই ১৯৬৯ সালে। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ তাকে অবিসংবাদিত নেতায় পরিণত করে। আর বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর আন্তর্জাতিক স্বীকৃতিতে পান শান্তি পদক ‘জুলিও কুরি’।

স্বাধীনতার পরপরই বিশ্ব শান্তি পরিষদ ১৯৭২ সালের ১০ অক্টোবর পদকপ্রাপ্ত হিসেবে বঙ্গবন্ধুর নাম ঘোষণা করে। বিশ্ব শান্তি পরিষদের প্রেসিডেনশিয়াল কমিটির ঐ সভায় ১৪০টি দেশের প্রায় ২০০ সদস্য উপস্থিত ছিলেন। তারা সবাই একমত হয়েছিলেন, সারা জীবনের দর্শন আর বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়কত্বের প্রেক্ষাপটে বঙ্গবন্ধুকে জুলিও কুরি পদক প্রদান করার। 

১৯৭৩ সালের ২৩ মে এশীয় শান্তি সম্মেলনের এক আড়ম্বরপূর্ণ অনুষ্ঠানে সেই পদক বঙ্গবন্ধুকে প্রদান করা হয়েছিল। স্বাধীন বাংলাদেশে কোনো রাষ্ট্রনেতার সেটিই ছিল প্রথম আন্তর্জাতিক পদক লাভ। সাম্রাজ্যবাদ ও ফ্যাসিবাদ বিরোধিতা এবং মানবতার ও বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় যারা অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন, তারা ১৯৫০ সাল থেকে এই পদকে ভূষিত হয়ে আসছিলেন।

আলোচনা শেষে বিষয়টি প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করা হয়। পরে স্থানীয় শিল্পীরা সাংস্কৃতিক পরিবেশনায় অংশ নেন। পুরো আয়োজনে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি ছাড়াও বিভিন্ন পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে সকাল ৯টায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ‘জুলিও কুরি’ শান্তি পদক প্রাপ্তির ৫০ বছর পূর্তি উদযাপন উপলক্ষে একটি বর্ণাঢ্য র‌্যালি জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে শুরু হয়। র‌্যালিটি নগরীর বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে রংপুর টাউন হলে গিয়ে শেষ হয়। এ সময় রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের সুসজ্জিত একটি বাদক দল র‌্যালির সম্মুখভাগ থেকে র‌্যালিটির শোভাবর্ধন করে।