• বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১২ ১৪৩১

  • || ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

সর্বশেষ:
ছয়দিনের সফরে ব্যাংককে পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী গরমে ‘অতি উচ্চ ঝুঁকিতে’ বাংলাদেশের শিশুরা: ইউনিসেফ গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা: বেরোবি কেন্দ্রের পরীক্ষার্থী ৩১ হাজার ৯৪৬ জন বাংলাদেশ-ভারত ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করবে: ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী কাতারের আমিরের সফরে যা পেল বাংলাদেশ

বঙ্গবন্ধুর স্পর্শ পাওয়া চা শিল্পকে এগিয়ে নিতে হবে: টিপু মুনশি   

– নীলফামারি বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ৪ জুন ২০২৩  

টিপু মুনশি বলেছেন, চা বোর্ডের প্রথম বাঙালি চেয়ারম্যান ছিলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। বঙ্গবন্ধু হাত ধরেই দেশের চা শিল্পের অগ্রযাত্রা শুরু হয়েছিল। এই শিল্পের সঙ্গে জড়িত আছে প্রায় দেড় লাখ শ্রমিক। তাদের শিকড় এদেশেই। বঙ্গবন্ধু এই চা শ্রমিকদের ভোটাধিকার দিয়েছিলেন। ৯৬ সালে ক্ষমতায় এসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আবার চা শিল্পের উন্নয়নে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেন।

এই কিছুদিন আগে,  শ্রমিকদের বেতন বৃদ্ধি করে দেন। এখন প্রতি বছরই দেশে চায়ের উৎপাদন বাড়ছে। একই সঙ্গে বাড়ছে অভ্যন্তরীণ চাহিদা। তাই আমরা চাই দেশে চায়ের উৎপাদন আরও বাড়ুক। আমরা ১৭ কোটি মানুষ প্রতিদিন ১৭ কোটি কাপ চা পান করি। কেউ এক কাপ, কেউ দুই কাপ, কেউ তিন কাপ। চা এখন আমদের জীবনের অংশ হয়ে গেছে। চা ছাড়া আমরা চিন্তা করতে পারি না। এই শিল্পের সঙ্গে আরও অনেক প্রতিষ্ঠান জড়িত রয়েছে। সবাইকে নিয়েই বঙ্গবন্ধুর হাতের স্পর্শ পাওয়া চা শিল্পকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে।   

আজ রবিবার মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে বাংলাদেশ চা গবেষণা ইনস্টিটিউট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে জাতীয় চা দিবস উদযাপন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য তিনি এসব কথা বলেন।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের পৃষ্ঠপোষকতায় বাংলাদেশ চা বোর্ডের উদ্যোগে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন উপাধ্যক্ষ ড. মো. আবদুস শহীদ এমপি, টি বোর্ডের চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল মো. আশরাফুল ইসলাম, এফবিসিসিআই সভাপতি জসিম উদ্দিন, বাংলাদেশ চা সংসদের চেয়ারম্যান কামরান টি রহমান ও টি ট্রেডার্স অ্যাসোসিয়েশন আব বাংলাদেশ’র চেয়ারম্যান শাহ মঈনুদ্দিন হাসান। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব তপন কান্তি ঘোষ।
আলোচনা সভা ছাড়াও চা মেলা ও বঙ্গবন্ধু প্যাভিলিয়ন ছিল। শ্রীমঙ্গল টি মিউজিয়ামে রক্ষিত চা শিল্পের দুর্লভ জিনিসপত্র প্রদর্শণী রাখা হয়েছিল।

এ বছর প্রথমবারের মতো আটটি ক্যাটাগরিতে ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠাকে জাতীয় চা পুরস্কার দেওয়া হয়েছে। পুরস্কারপ্রাপ্তরা হলেন, সর্বোচ্চ চা উৎপাদনে ভাড়াউড়া চা বাগান, গুণগত মানসম্পন্ন চা উৎপাদনে মধুপুর চা বাগান, শ্রেষ্ঠ চা রপ্তানীকারী প্রতিষ্ঠান আবুল খায়ের কনজ্যুমার প্রোডাক্টস লি., শ্রেষ্ঠ ক্ষুদ্রায়তন চা উৎপাদনকারী পঞ্চগড়ের মো. আনোয়ার সাদাত সম্রাট, শ্রমিক কল্যাণে শ্রেষ্ঠ জেরিন চা বাগান, বৈচিত্রময় চা পণ্য বাজারজাত করণে কাজী এন্ড কাজী টি এস্টেট লি., দৃষ্টিনন্দন ও মানসনম্পন্ন চা মোড়কের জন্য সুলতান টি এবং শ্রেষ্ঠ চা পাতা চয়নকারী হিসেবে নেপচুন চা বাগানের শ্রমিক উপলক্ষী ত্রিপুরাকে পুরস্কার দেয়া হয়েছে। 

অনুষ্ঠানে বিভিন্ন চা বাগান মালিক, বাগান ব্যবস্থাপক, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ ও চা শ্রমিক নেতৃবৃন্দ ছাড়াও প্রায় সহস্রাধিক চা শ্রমিক উপস্থিত ছিলেন।