– নীলফামারি বার্তা নিউজ ডেস্ক –
  • সোমবার ০২ অক্টোবর ২০২৩ ||

  • আশ্বিন ১৭ ১৪৩০

  • || ১৬ রবিউল আউয়াল ১৪৪৫

সর্বশেষ:
বিশ্বকাপে বাংলাদেশ দল নিয়ে আশাবাদী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গঙ্গাচড়ায় জাতীয় কন্যাশিশু দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা ও চেক বিতরণ নিরাপদ সড়ক চাই পীরগঞ্জ উপজেলা কমিটি গঠনের লক্ষ্যে মতবিনিময় সভা নীলফামারীতে মসজিদের ভেতরে সন্ত্রাসী হামলায় দুই মুসল্লি আহত, আটক ২ রংপুরে ৫০ লাখ ছাগল-ভেড়া পাবে পিপিআর টিকা

রংপুরে বৃষ্টিতে জনজীবনে স্বস্তি

– নীলফামারি বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ৪ জুন ২০২৩  

গত এক সপ্তাহ ধরে তীব্র দাবদাহের পর রংপুরের বিভিন্ন এলাকায় স্বস্তির বৃষ্টি হয়েছে। রোববার বিকেলে রংপুর মহানগরসহ জেলার বিভিন্ন এলাকায় বৃষ্টি শুরু হয়। সেই সঙ্গে ছিল ঝড়ো হাওয়া। দীর্ঘদিন পর বৃষ্টিতে প্রাণ ফিরেছে নগরীর প্রকৃতিতে। বৃষ্টির কারণে তীব্র গরম কিছুটা হলেও কমবে বলে মনে করা হচ্ছে।

যদিও সকালের চেয়ে বিকেলের তাপমাত্রা বেশি বলে জানিয়েছে রংপুর আবহাওয়া অফিস।

জানা গেছে, গত এক সপ্তাহ ধরে রংপুরে তাপপ্রবাহ চলছে। প্রচণ্ড গরমে দুর্বিষহ হয়ে ওঠে জনজীবন। অবশেষে রোববার সেই বহুল কাঙ্ক্ষিত বৃষ্টির দেখা মিলেছে। এতে খানিকটা সময়ের জন্য হলেও জনজীবনে স্বস্তি ফিরেছে। 

রংপুর শালবন এলাকার গৃহবধূ সম্পা হোসেন জানান, লোডশেডিংয়ে জীবন অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। সেই সঙ্গে কয়েকদিন ধরে তীব্র দাবদাহের কারণে অস্বস্তিকর অবস্থা বিরাজ করছিল। রোববার বিকেলে আচমকা ঝড়ো হাওয়ার সঙ্গে খানিকটা সময় বৃষ্টি হওয়ায় কিছুটা স্বস্তিবোধ করছি।

মে মাসের শেষ সপ্তাহ থেকে শুরু তাপপ্রবাহ। ১ জুন জেলায় এ মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপপ্রবাহ রেকর্ড করা হয় ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এরপর দিন ২ জুন তাপমাত্রা ৩৮ দশমিক ৭ ডিগ্রির ঘরে ছিল। ৩ জুন ছিল ৩৭ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এতে দিনে সর্বোচ্চ তাপমাত্রায় আগুন ঝরা গরম এবং রাতে ভ্যাপসা গরমে অতিষ্ঠ ছিলেন মানুষ। এ দুর্ভোগের সঙ্গে যুক্ত হয় লোডশেডিং। যা কষ্টের মাত্রা আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। রোববার সকালে দিনের তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ২৭ দশমিক ২ এবং বেলা ৪টায় তা বেড়ে দাঁড়ায় ৩৬ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। 

রংপুর আবহাওয়া অফিসের কর্মকর্তা মোস্তাফিজার রহমান জানান, রোববার বিকেলে জেলার বিভিন্ন স্থানসহ প্রত্যন্ত এলাকায় ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি হয়েছে। বৃষ্টির স্থায়িত্ব ছিল ২০ মিনিট। এ সময় ১৩ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। বৃষ্টির সঙ্গে বিভিন্ন স্থানে বজ্রপাতের পাশাপাশি বাতাসের বেগ বেশি ছিল।