• মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১০ ১৪৩১

  • || ১৩ শাওয়াল ১৪৪৫

সর্বশেষ:
যুদ্ধের অর্থ জলবায়ু পরিবর্তনে ব্যয় হলে বিশ্ব রক্ষা পেত- প্রধানমন্ত্রী দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ উৎপাদনের রেকর্ড মেডিকেল কলেজের ক্লাস অনলাইনে নেয়ার নির্দেশ স্বাস্থ্যমন্ত্রীর ‘গণতান্ত্রিক রীতিনীতি না মানলে জনগণই বিএনপিকে প্রতিহত করবে’ লালমনিরহাটে হত্যা মামলায় বিএনপির দুই নেতা কারাগারে

পেয়ারা চাষে লাখপতি পারভেজ

– নীলফামারি বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ৪ জুন ২০২৩  

মাধ্যমিকে পড়াশোনা করা অবস্থায় বেশ ভালো ছাত্র ছিলেন পারভেজ। স্বপ্ন ছিল উচ্চ শিক্ষা গ্রহণ শেষে চাকরি করবেন। তবে উচ্চ মাধ্যমিক শেষ করেই পড়াশোনার ইতি টানতে হয় তাকে। পরিবারের হাল ধরতে শুরু করেন ইলেক্ট্রনিকসের ব্যবসা। শুরু থেকে ব্যবসা ভালোই চলছিল তার। খরচ বাদে লাভ আসছিল সন্তোষজনক। তবে মহামারি করোনায় বন্ধ হয়ে যায় তার একমাত্র আয়ের উৎস। ব্যবসায় হতে থাকে লোকসান। পরিবারের চাহিদা মেটাতে অনবরত হিমশিম খেতে হতো তাকে। পরে ব্যবসা ছেড়ে জমি লিজ নিয়ে পেয়ারার বাগান করেন। আর এই পেয়ারার বাগান করেই ভাগ্যের পরিবর্তন হয় পারভেজের। বর্তমানে তিনি পেয়ারার বাগান করে লাখপতি হয়েছেন। 

জানা যায়, ঠাকুরগাঁও পৌরশহরের ১২ নম্বর ওয়ার্ডের ছিট চিলারং গ্রামের আমিনুর রহমানের ছেলে পারভেজ খান। জেলার সদর উপজেলার বুড়িবাধ এলাকায় ২০২০ সালের শুরুর দিকে সাড়ে চার একর জমি দশ বছরের জন্য লিজ নিয়ে শুরু করেছেন পেয়ারা বাগান। এর মধ্যে কয়েক দফায় বাগান থেকে আয় হয়েছে কয়েক লক্ষাধিক টাকা। সৃষ্টি হয়েছে বেকার যুবকদের কর্মসংস্থান। বাগানের পরিধি বেড়ে হয়েছে ৬ একর জমিতে। তাকে দেখে বাগান করার উদ্যোগ নিতে আগ্রহী হচ্ছেন অনেক বেকার যুবক। আরো বাগানের পরিধি বাড়ানোর পাশাপাশি নতুন উদ্যোক্তা তৈরিতে ভূমিকা রাখতে চান পারভেজ৷ 

শ্রমিক রাসেল রানা বলেন, বাগানে পরিচর্যার কাজ করি৷ এ কাজ করে যা পারিশ্রমিক পাই তা দিয়ে সুন্দর ভাবেই চলছে সংসার।

বাগান পরিচর্যাকারী জসেদা বালা বলেন, ১০-১২ জন মহিলা প্রতিদিন কাজ করছি৷ দিন হাজিরা হিসেবে ৪০০ টাকা করে পাই। আর ঘাসগুলো নিয়ে বাসায় গরু-ছাগলের খাওয়ার কাজে লাগাই৷ 

বাগান মালিক পারভেজ খান বলেন, করোনার পরেই কিছু করার চিন্তা থেকেই পেয়ারা বাগান করি। পেয়ারা বাগান করে লাভ হওয়ায় বাগানের পরিধি আরো বৃদ্ধি করা হয়েছে। পেয়ারা বাগানের পাশাপাশি সাথি ফসল চাষ করে দৈনিক খরচ মেটানো হয়। এক লাখ ৬৫ হাজার টাকায় বাগান শুরু করে এখন প্রতি মাসে আয় ৫-৬ লাখ টাকা।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক সিরাজুল ইসলাম বলেন, জেলায় ১৭টি বাগানে ২০ একর জমিতে পেয়ারার চাষ হয়েছে। পারভেজের বাগানে অনেক মানুষের কর্মসংস্থান হয়েছে। সেই সঙ্গে পেয়ারা বিক্রয় করে লাভবান হয়েছে।  আমাদের পক্ষ থেকে তাকে বিভিন্ন ভাবে সহযোগিতা করা হচ্ছে। এছাড়া নতুন নতুন উদ্যেক্তাদের আমরা নানা ভাবে সহযোগিতা দিয়ে উৎসাহিত করছি।