• মঙ্গলবার ০৫ ডিসেম্বর ২০২৩ ||

  • অগ্রহায়ণ ১৯ ১৪৩০

  • || ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৫

সর্বশেষ:
বাংলাদেশের অর্থনীতিতে বস্ত্রখাতের অবদান অপরিসীম: প্রধানমন্ত্রী পঞ্চগড়ে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৩.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস কুড়িগ্রামে কবর খুঁড়তেই বেরিয়ে এলো সাদা কাপড়ে মোড়ানো পুতুল-তাবিজ গৃহবধূকে গণধর্ষণের অভিযোগে পাঁচজনকে গ্রেফতার রংপুরে স্পিকার, বাণিজ্যমন্ত্রীসহ ১৫ প্রার্থীর মনোনয়ন বৈধ

অক্টোবরে শুরু দেশের ১ম ‘স্টিল আর্চ সেতু’ নির্মাণ

– নীলফামারি বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৩  

ময়মনসিংহের ব্রহ্মপুত্র নদে অক্টোবরে দৃষ্টিনন্দন দেশের প্রথম আর্চ স্টিল সেতুর নির্মাণকাজ শুরু হবে। ২০১৮ সালে নতুন সেতুর ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দীর্ঘ ৫ বছর পর ব্রহ্মপুত্রের বুকে নির্মিত হতে যাচ্ছে আলোচিত দৃষ্টিনন্দন এ সেতু।

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন ময়মনসিংহ সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী কেবিএম সাদ্দাম হোসেন।

তিনি বলেন, নদের ওপর কোনো পিলার ছাড়াই শুধু দুই পাড়ের দুটি পিলারের ওপর তৈরি হবে সেতুটি। এতে নদীর পানিপ্রবাহে যেমন সৃষ্টি হবে না কোনো বাধা তেমনই নির্মাণ খরচ হবে তুলনামূলক কম। এটির নির্মাণকাজ শেষ হলে ময়মনসিংহ নগরীর যানজট নিরসনের পাশাপাশি ময়মনসিংহ ও আশপাশের জেলার অর্থনৈতিক উন্নয়নে ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ঢাকার হাতিরঝিল ও পূর্বাচলে আর্চ পদ্ধতিতে একাধিক কংক্রিটের সেতু নির্মিত হলেও আর্চ স্টিল সেতু হিসেবে দেশে এটি প্রথম সেতু। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের বাইপাস মোড় থেকেই শুরু হবে মূল সেতুর সংযোগ সড়ক, যা হবে সেতুর অপর প্রান্ত চায়না মোড় পর্যন্ত ৬ দশমিক দুই শূন্য কিলোমিটার দীর্ঘ। সংযোগ সড়ক মূল সেতুর সঙ্গে মিলিত হওয়ার আগেই পড়বে ২৫০ মিটার রেলওয়ে ওভারপাস। এর পরই সংযোগ সড়ক মিলবে ৩২০ মিটার দীর্ঘ মূল আর্চ স্টিল সেতুর সঙ্গে। সেতুতে ২০২ মিটার র‌্যাম্পসহ ভারী যান চলাচলের জন্য ৪ লেন এবং মোটরসাইকেল ও হালকা যান চলাচলের জন্য ২ লেনসহ মোট ছয়টি লেন থাকবে। ৩ হাজার ২৬৩ কোটি টাকা ব্যয় ধরা হয়েছে সেতু নির্মাণে।

ময়মনসিংহ চেম্বার অব কমার্সের সিনিয়র সহ-সভাপতি শংকর সাহা বলেন, প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে ময়মনসিংহ বিভাগের কয়েকটি জেলাসহ এ অঞ্চলের স্থলবন্দর, ইপিজেড এবং অর্থনৈতিক অঞ্চলের সঙ্গে রাজধানীর নিরাপদ ও উন্নত যোগাযোগ স্থাপনের মাধ্যমে সম্ভাবনাময় অর্থনৈতিক কার্যক্রমগুলো ত্বরান্বিত হবে। যা জিডিপি বৃদ্ধি, শিল্প উন্নয়ন, নতুন বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং সর্বোপরি জনগণের আর্থসামাজিক অবস্থার উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে।