• শনিবার ২৭ জুলাই ২০২৪ ||

  • শ্রাবণ ১২ ১৪৩১

  • || ১৯ মুহররম ১৪৪৬

সর্বশেষ:
সর্বোচ্চ আদালতের রায়ই আইন হিসেবে গণ্য হবে: জনপ্রশাসনমন্ত্রী। ২৫ জুলাই পর্যন্ত এইচএসসির সব পরীক্ষা স্থগিত।

‘জনগণের আর্থ-সামাজিক অগ্রগতির জন্য আরো বিনিয়োগ করুন’

– নীলফামারি বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ২৪ জানুয়ারি ২০২৪  

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশবাসীর আর্থ-সামাজিক অগ্রগতির জন্য তার সরকারের গৃহীত পদক্ষেপগুলোকে এগিয়ে নিতে সৌদি আরবের কাছে আরো বিনিয়োগ প্রত্যাশা করেছেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, জনগণের আর্থ-সামাজিক অগ্রগতির জন্য আমাদের গৃহীত উদ্যোগগুলোকে এগিয়ে নিতে বাংলাদেশে আরো বিনিয়োগ করুন।

বাংলাদেশে নিযুক্ত সৌদি আরবের রাষ্ট্রদূত ইসা ইউসুফ ইসা আলদুহাইলান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে মঙ্গলবার গণভবনে সৌজন্য সাক্ষাতের সময় তিনি এ আহ্বান জানান। বৈঠকের পর সাংবাদিকদের ব্রিফিংয়ে প্রধানমন্ত্রীকে উদ্ধৃত করে একথা বলেন প্রধানমন্ত্রীর স্পিচ রাইটার মো. নজরুল ইসলাম।

সৌদি আরব এবং দেশটির জনগণ বাংলাদেশের হৃদয়ের খুব কাছের উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সৌদি আরব সব সময় বাংলাদেশের পাশে দাঁড়িয়েছে।

শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশের সরকার ও জনগণ সৌদি আরব এবং দেশটির জনগণের মঙ্গল কামনা করেন। কারণ তারা মক্কা ও মদীনার দুই পবিত্র মসজিদের খাদেম। 

সৌদি রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে সহযোগিতার অঙ্গীকার করেন। তিনি সরকার প্রধান হিসেবে পুনর্নির্বাচিত হওয়ায় প্রধানমন্ত্রীর কাছে সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান আল সৌদের একটি অভিনন্দন বার্তা হস্তান্তর করেন। বার্তায় যুবরাজ বাংলাদেশের উত্তরোত্তর উন্নতি ও সমৃদ্ধি কামনা করেন।

সৌদি রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশের আটটি বিভাগে আটটি মসজিদ ও ইসলামী ভাষা ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠার জন্য তার দেশের ইচ্ছার কথা জানান। 

প্রধানমন্ত্রী ঢাকায় একটি ইনস্টিটিউট স্থাপনের জন্য উপযুক্ত স্থান খুঁজে বের করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে ব্যবস্থা নিতে বলেন।

সৌদি রাষ্ট্রদূত বলেন, আগামী দিনে হজ ও ওমরা হজের প্রক্রিয়া আরো সহজ করতে তারা ব্যবস্থা নিচ্ছেন। তিনি বলেন, সৌদি আরব ও বাংলাদেশ ক্রীড়া ও সংস্কৃতিতে সহযোগিতা বাড়াতে পারে। অন্যান্য পেশার পাশাপাশি বাংলাদেশ থেকে চিকিৎসা কর্মী নেয়ার ব্যাপারে আগ্রহ প্রকাশ করেন রাষ্ট্রদূত।

এ সময় প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান ফজলুর রহমান, অ্যাম্বাসেডর এট লার্জ মো. জিয়াউদ্দিন এবং মুখ্য সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া উপস্থিত ছিলেন।