• শনিবার ২৭ জুলাই ২০২৪ ||

  • শ্রাবণ ১২ ১৪৩১

  • || ১৯ মুহররম ১৪৪৬

সর্বশেষ:
সর্বোচ্চ আদালতের রায়ই আইন হিসেবে গণ্য হবে: জনপ্রশাসনমন্ত্রী। ২৫ জুলাই পর্যন্ত এইচএসসির সব পরীক্ষা স্থগিত।

‘সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানে ভারত বাংলাদেশের পাশে দাঁড়িয়েছে’

– নীলফামারি বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪  

দেশে গণতন্ত্র রক্ষায় একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও স্বচ্ছ নির্বাচন অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের পাশে দাঁড়ানোর জন্য ভারতের জনগণ ও সরকারকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

তিনি বলেন, এটি সত্য যে ভারতের জনগণ এবং সরকার আমাদের গণতন্ত্রকে রক্ষা করার জন্য ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময়ের মতো আমাদের পাশে দাঁড়িয়েছিল। যদিও নির্বাচন প্রক্রিয়াকে অস্থিতিশীল করার জন্য অনেক চক্রান্ত ছিল।

বৃহস্পতিবার বিকেলে নয়াদিল্লী ভিত্তিক একটি থিঙ্ক ট্যাঙ্ক বিবেকানন্দ ইন্টারন্যাশনাল ফাউন্ডেশনে (ভিআইএফ) মিডিয়া ইন্টারঅ্যাকশনে এ কথা বলেন তিনি। ড. হাছান মাহমুদ ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডক্টর এস জয়শঙ্করের আমন্ত্রণে তিনদিনের দ্বিপক্ষীয় সফরে নয়াদিল্লীতে রয়েছেন।

ভিআইএফ-এর পরিচালক ড. অরবিন্দ গুপ্ত অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন। ভারতে বাংলাদেশের হাইকমিশনার মো. মুস্তাফিজুর রহমান মঞ্চে উপবিষ্ট ছিলেন। অনুষ্ঠানে কূটনীতিক, গবেষণা ফেলো, শিক্ষাবিদ ও সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, আমাদের নির্বাচন বাংলাদেশের ইতিহাসে এবং ভারতীয় উপমহাদেশের প্রেক্ষাপটে একটি ভালো নির্বাচন ছিল। আমাদের জনগণ স্বাধীনভাবে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছে।

বাংলাদেশে সংখ্যালঘু ইস্যুতে তিনি বলেন, বাংলাদেশের সংখ্যালঘু সম্প্রদায় তাদের অধিকার ভোগ করে আসছে, কারণ আমাদের দল আওয়ামী লীগ একটি ধর্মনিরপেক্ষ দল এবং ধর্মনিরপেক্ষতা আমাদের দলের প্রধান স্তম্ভ। কিন্তু পাশাপাশি কিছু ধর্মান্ধ শক্তি আছে, যারা সময় সময় সমাজকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করে।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সরকার ধর্মের নামে যারা সমাজকে অস্থিতিশীল করতে চায় তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিয়েছে।

জনগণের মধ্যে যোগাযোগ বৃদ্ধির বিষয়ে জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, কানেক্টিভিটি, ভিসা প্রক্রিয়ার প্রতিবন্ধকতা দূর করা এবং সাংস্কৃতিক বিনিময় বাংলাদেশ ও ভারতের জনগণের মধ্যে যোগাযোগ জোরদার করতে ব্যাপকভাবে সাহায্য করবে।

এ প্রসঙ্গে তিনি উল্লেখ করেন, এখনো ভিসা পেতে ঢাকা, চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ভারতীয় ভিসা সেন্টারের সামনে দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। আমি ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের সঙ্গে বৈঠকে বিষয়টি উত্থাপন করেছি।

ভিসামুক্ত ভ্রমণ সম্পর্কে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, আমি সেই দিনগুলোর অপেক্ষায় আছি, যখন কেউ সীমান্তে এসে তার পাসপোর্ট দেখিয়ে গন্তব্য দেশে প্রবেশ করবে।

পরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী সন্ধ্যায় ফরেন করেসপন্ডেন্টস ক্লাব অব সাউথ এশিয়াতে (এফসিসি, সাউথ এশিয়া) ‘বাংলাদেশ-ইন্ডিয়া রিলেশনস টুডে’ বিষয়ে আরেকটি মিডিয়া ইন্টারঅ্যাকশনে যোগ দেন।