• শনিবার ২৭ জুলাই ২০২৪ ||

  • শ্রাবণ ১২ ১৪৩১

  • || ১৯ মুহররম ১৪৪৬

সর্বশেষ:
সর্বোচ্চ আদালতের রায়ই আইন হিসেবে গণ্য হবে: জনপ্রশাসনমন্ত্রী। ২৫ জুলাই পর্যন্ত এইচএসসির সব পরীক্ষা স্থগিত।

রূপপুরে তৈরি হচ্ছে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ‘স্মৃতি উদ্যান’

– নীলফামারি বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ১৫ মে ২০২৪  

রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে তৈরি হচ্ছে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ‘স্মৃতি উদ্যান’। বিশ্বযুদ্ধে আত্মদানকারী রুশ ও বাঙালি সৈনিকদের স্মৃতি স্মরণে এটি তৈরি করা হচ্ছে।

রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় পারমানবিক প্রতিষ্ঠান ‘রোসাটম’ প্রকৌশল বিভাগের কর্মী ও স্বেচ্ছাসেবকরা গ্রিন সিটি এলাকায় ২৮টি ফার গাছের চারা রোপণ করে এই স্মৃতি উদ্যানের উদ্ভোধন করেন। মঙ্গলবার রোসাটমের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। 

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশ এবং হাঙ্গেরিতে প্রথমবারের মতো এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। রোসাটম প্রকৌশল বিভাগ যেসব দেশে পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করছে, সেখানে নিয়মিতভাবে এ ধরনের কর্মসূচি পালন করা হচ্ছে।

এরই অংশ হিসাবে রোসাটম প্রকৌশল বিভাগের কর্মী ও স্বেচ্ছাসেবকরা ঈশ্বরদীর গ্রিন সিটি এলাকায় ২৮টি ফার গাছের চারা রোপণ করেন।

এটমস্ত্রয়এক্সপোর্টের ভাইস-প্রেসিডেন্ট আলেক্সি দেইরি বলেন, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে আত্মোৎসর্গকারীদের আমরা এই অনুষ্ঠান আয়োজনের মাধ্যমে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছি। এই বৃক্ষগুলো শুধু আমাদের পূর্বপূরুষদের বীরোচিত কাজকেই স্মরণ করিয়ে দেবে না, একই সঙ্গে পরিবেশের উন্নয়নেও ভূমিকা রাখবে। পরিবেশ সুরক্ষার ব্যাপারে রোসাটম সব সময়ই যত্নশীল। তাই আমরা বিভিন্ন পরিবেশ উদ্যোগের সঙ্গে নিয়মিতভাবে সহযোগিতা করে আসছি।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে আত্মত্যাগকারী যোদ্ধাদের স্মৃতিকে স্মরণ করতে আয়োজিত এ উদ্যোগে সহায়তা করছে রুশ প্রাকৃতিক সম্পদ মন্ত্রণালয় এবং ফেডারেল বন এজেন্সি। এই উদ্যোগের অধীনে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে শহিদদের প্রত্যেকের উদ্দেশ্যে একটি করে মোট ২ কোটি ৭০ লাখ গাছের চারা রোপণ করা হবে। প্রত্যেক শহিদের সবুজ স্মৃতিফলক হিসেবে প্রতিটি গাছকে বিবেচনা করা হবে। এই উদ্যোগের আরেকটি অন্যতম লক্ষ্য হলো, বন সম্পদের রক্ষা এবং পুনরুদ্ধার, যা বিশ্বে কার্বন নিঃসরণ কমাতে সহায়তা করবে। রাশিয়াসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে প্রতি বছর এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

এতে বলা হয়, সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের সঙ্গে বাংলাদেশের একটি দীর্ঘ ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধে ধ্বংসপ্রাপ্ত অর্থনীতির পুনর্নির্মাণে সোভিয়েত ইউনিয়ন এগিয়ে এসেছিলো।

স্বাধীনতা পরবর্তীকালে সোভিয়েত নাবিকরা চট্টগ্রাম বন্দরে মাইন অপসারণে কাজ করেছেন এবং বিধ্বস্ত জাহাজগুলোকে পানির নিচ থেকে উদ্ধার করেছে। এটি ছিলো বিদেশে পরিচালিত সোভিয়েত ইউনিয়নের একটি গুরুত্বপূর্ণ অপারেশন, যা খুব কমই আলোচিত হয়।