• শুক্রবার ০৪ অক্টোবর ২০২৪ ||

  • আশ্বিন ১৮ ১৪৩১

  • || ২৯ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

সাবেক জনপ্রশাসনমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন গ্রেফতার

– নীলফামারি বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪  

সাবেক জনপ্রশাসন মন্ত্রী ও মেহেরপুর-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ফরহাদ হোসেনকে গ্রেফতার করেছে র‍্যাব। শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাতে রাজধানীর ইস্কাটন এলাকা থেকে র‍্যাব-২ তাকে গ্রেফতার করে।

আদাবর থানার ওসি মাহফুজ ইমতিয়াজ ভূঁইয়া গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করে তিনি জানান, সাবেক জনপ্রশাসনমন্ত্রী ফরহাদ হোসেনকে গ্রেফতার করেছে র‍্যাব। পরে র‍্যাব তাকে আদাবর থানায় হস্তান্তর করেছে।

এ বিষয়ে র‍্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের সিনিয়র সহকারী পরিচালক আ ন ম ইমরান খান বলেন, সাবেক জনপ্রশাসনমন্ত্রী ফরহাদ হোসেনকে রাজধানীর ইস্কাটন এলাকা থেকে গ্রেফতার করেছে র‍্যাব।

গত ৫ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালীন ছাত্র-জনতার ওপর গুলিবর্ষণ ও হত্যার ঘটনায় মামলা হয় তার বিরুদ্ধে। সেই মামলায় তাকে আদাবর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

এর আগে, গত ৯ সেপ্টেম্বর মেহেরপুরে জামায়াত নেতা তারিক মো. সাইফুল ইসলাম হত্যার ঘটনার ১০ বছর পর আদালতে সাবেক জনপ্রশাসনমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন, তৎকালীন পুলিশ সুপার (এসপি) নাহিদুল ইসলামসহ ১৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়।

ওইদিন মেহেরপুর জেলা ও দায়রা জজ আদালতের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শারমিন নাহারের আদালতে নিহতের ছোট ভাই তাওফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে মামলার আবেদন করেন। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে সদর থানার ওসিকে এজাহার নেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।

মামলার অন্য আসামিরা হলেন, মেহেরপুরের তৎকালীন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোস্তাফিজুর রহমান, আবদুল জলিল, জেলা প্রশাসনের নির্বাহী হাকিম সাঈদ মোহাম্মদ মজুমদার, সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. ফরিদ হোসেন, র‌্যাবের গাংনী ক্যাম্পের ক্যাপ্টেন আশরাফ হোসেন, র‌্যাবের ডিএডি জাহাঙ্গীর আলম, বিজিবির নায়েক সুবেদার মো. আসাদ মিয়া, জেলা গোয়েন্দা শাখার ওসি বাবুল আক্তার, সদর থানার ওসি রিয়াজুল ইসলাম, সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) তরিকুল ইসলাম, সদর থানার এসআই আ. হান্নান, কনস্টেবল সাধন কুমার, গোয়েন্দা পুলিশের কনস্টেবল নারদ কুমার, সদর আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ও সাবেক জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান গোলাম রসুল, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি বারিকুল ইসলাম, সদর আওয়ামী লীগের সাবেক সদস্য দরুদ আলী।

মামলার আরজিতে বলা হয়েছে, ২০১৪ সালের ১৯ জানুয়ারি বড় বাজার এলাকা থেকে জেলা জামায়াতের সাধারণ সম্পাদক তারিক মো. সাইফুল ইসলামকে পুলিশ, র‌্যাব, বিজিবি ও ডিবির সদস্যরা তুলে নিয়ে যান। ওই দিন বিকেলে তারিকের স্ত্রী জান্নাতুল ফেরদৌস তৎকালীন পুলিশ সুপার নাহিদুল ইসলামের কাছে খোঁজ নিতে যান। তখন নাহিদুল জানান, তারিক পুলিশ হেফাজতে নেই। ওই দিন রাতেই তারিককে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা গুলি করে হত্যা করেন। ময়নাতদন্ত ছাড়াই পুলিশ হেফাজতে তাকে দাফন করা হয়। যেহেতু ১৬ বছর ধরে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় ছিল; এ কারণে তারিক হত্যা মামলা পুলিশ নেয়নি। এখন আবার নতুন করে মামলা করা হলো।