নীলফামারীর সৈয়দপুরে ঘরের উঠানে মাছের চাষ
– নীলফামারি বার্তা নিউজ ডেস্ক –
প্রকাশিত: ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৯
ঘরের উঠানে চারটা পানির ট্যাংক। প্রতিটা ট্যাংকের উচ্চতা চার ফুটের মতো। প্রথমবার দেখে যে কারো খটকা লাগতে পারে। মনের মধ্যে প্রশ্ন জাগতে পারে, এই ট্যাংকগুলো কিসের? কি জন্যইবা তৈরি করা হয়েছে? একটু কৌতূহল নিয়ে ট্যাংকের নিকট এগিয়ে গেলেই বিভিন্ন প্রজাতির মাছের দেখা মিলবে। তাহলে কি পুকুর ছাড়াও মাছ চাষ করা সম্ভব? কিন্তু কিভাবে? মনের মধ্যে এমন প্রশ্ন উঁকি দেওয়া খুব অস্বাভাবিক নয়। সম্পূর্ণ আধুনিক প্রযুক্তিনির্ভর এই পদ্বতির নাম রি-সার্কুলেটিং একুয়া কালচার সিস্টেম। যাকে সংক্ষেপে রাস পদ্বতি বলা হয়।
নীলফামারীর সৈয়দপুর উপজেলার বাঙ্গালীপুর ইউনিয়নের তরুণ উদ্দ্যোক্তা কামরুজ্জামান কনক নিজ জমিতে রাস পদ্বতিতে মাছ চাষ শুরু করেছেন। পেশায় তিনি একজন বিএসসি ইঞ্জিনিয়ার হলেও, নিজ উদ্দ্যমে কিছু করার প্রচেষ্টা স্বরূপ, মাস তিনেক আগে গড়ে তুলেছেন এই ফিশ ফার্ম। নাম দিয়েছেন জামান একুয়া ফিশ ফার্ম। যা এরই মধ্যে এলাকায় বেশ সাড়া ফেলেছে। প্রতিদিন দূর দূরান্ত থেকে অনেক উদ্দ্যোক্তাই তার এই ফার্ম দেখতে ছুটে আসেন।
প্রাথমিকভাবে তিনি চারটি ট্যাংকে মাছ চাষ শুরু করেছেন। ১০,০০০ লিটার পানি ধারণক্ষমতা সম্পন্ন প্রতিটা ট্যাংকে প্রায় আট হাজার পিস মাছ উৎপাদন করছেন। তার এসব ট্যাংকে তেলাপিয়া, শিং ও পাবদা মাছ চাষ করা হচ্ছে। এই পদ্বতিতে বছরে তিন থেকে চারবার মাছ উৎপাদন করা সম্ভব। যার ফলে, অল্পসময়ে অধিক লাভবান হওয়া যায়। তার এই ফার্ম দেখভাল করার জন্য সার্বক্ষণিক একজন লোক নিয়োজিত আছেন।
রাস পদ্বতিতে মাছ চাষের সাথে পুকুরের মাছ চাষের বিস্তর পার্থক্য। কেউ যদি পুকুরে মাছ চাষের অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে এই পদ্বতিতে মাছ চাষ করতে চান, তবে তাকে অবশ্যই প্রশিক্ষণ নিতে হবে। নয়তো অতিরিক্ত খাবার প্রদান ও অব্যবস্থাপনার জন্য মাছ মরে যেতে পারে। তবে সৈয়দপুরের তরুণ উদ্দ্যোক্তা কামরুজ্জামান কনক, এই ফার্ম বাস্তবায়নের জন্য কোনপ্রকার প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেননি। নিজের প্রযুক্তিগত জ্ঞান ও অভিজ্ঞদের পরামর্শেই তিনি এই ফার্ম দক্ষতার সাথে পরিচালনা করছেন।
রাস পদ্বতির মূল উদ্দেশ্য হলো অল্প ঘনত্বে অধিক মাছ উৎপাদন করা। এই পদ্বতিতে একই পানি পুনরায় বিভিন্ন ফিল্টার ও যন্ত্রপাতির মাধ্যমে সম্পূর্ণরূপে পরিশোধিত হয়ে মাছের ব্যবহারযোগ্য করে তোলা হয়। যার ফলে পানি অপচয়ের সুযোগ নেই। এছাড়াও মাছের জন্য পর্যাপ্ত অক্সিজেনের ব্যবস্থা করা হয়। এজন্য অবশ্য সার্বক্ষণিক বিদ্যুতের সুব্যবস্থা রাখা অত্যাবশ্যক। মূলত চীনে এই রাস পদ্বতির উদ্ভাবন হলেও বর্তমানে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে এই পদ্বতি বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। বাংলাদেশেরও বিভিন্ন জেলায়, বেশ কিছু উদ্দ্যোক্তা রাস পদ্বতিতে মাছ চাষে সফলতা অর্জন করেছেন। সৈয়দপুরে তথা নীলফামারী জেলার মধ্যে কামরুজ্জামানই প্রথম উদ্দ্যোক্তা, যিনি এই অপেক্ষাকৃত ব্যয়বহুল পদ্বতিতে মাছ চাষ করছেন।
রাস পদ্বতিতে মাছ চাষের কারণ জানতে চাইলে সৈয়দপুরের তরুণ উদ্দ্যোক্তা কামরুজ্জামান কনক জানান, ‘বর্তমানে আমাদের দেশে ক্ষেতের জমি অনেক কমে আসছে। যদি আমরা অধিক হারে পুকুর কাটি তাহলে আমাদের জমি অনেক কমে যাবে। তাই এই রাস পদ্ধতি বেছে নেওয়া। এই পদ্ধতিতে পুকুরের চেয়ে ৩০ গুন বেশি মাছ উৎপাদন করা সম্ভব। অন্যদিকে পুকুরে যেখানে দুই কেজি খাবারে মাত্র এক কেজি মাছ উৎপাদন করা যায়, সেখানে রাস পদ্ধতিতে মাত্র এক কেজি খাবারে দেড় কেজি মাছ উৎপাদন করা সম্ভব।’
জামান একুয়া ফিস ফার্মের এই কর্ণধার আরো জানান, ‘রাস পদ্ধতিতে নিয়ন্ত্রিত পরিবেশে দেশি শিং, দেশি-বিদেশি মাগুর, পাবদা, টেংরা, তেলাপিয়া, চিংড়ি সহ নানান প্রজাতির মাছ চাষ করা যায়। তবে এই পদ্বতিতে প্রাথমিক বিনিয়োগের পরিমাণ একটু বেশি। কিন্তু পরবর্তী ব্যবস্থাপনা ব্যয় সাশ্রয়ী এবং দীর্ঘস্থায়ী। সুদূরপ্রসারী চিন্তা করলে যা অন্যান্য পদ্ধতির তুলনায় অনেক বেশি লাভজনক।’
- ডিমলায় মে দিবস পালিত
- হাতপাখা বিক্রি করে চলে বৃদ্ধ আজিজুলের সংসার
- গরমে পটোল খাওয়ার ৭ উপকারিতা
- শেষ ওভারে মুম্বাইকে হারালো লখনৌ
- শাকিবের বিয়ের ইঙ্গিত দিলেন আরশাদ আদনান
- ইসলামে শ্রমের মর্যাদা, গুরুত্ব ও অধিকার
- শান্তি ও উন্নয়ন নিশ্চিতে ঐক্যবদ্ধ ইইউ ও বাংলাদেশ:পররাষ্ট্রমন্ত্রী
- ‘ইভিএমে ত্রুটি প্রমাণ করতে পারলে কমিশনের সবাই পদত্যাগ করবো’
- নতুন কারিকুলাম বাস্তবায়নের জন্য প্রয়োজন ১৮৫ দিন: শিক্ষামন্ত্রী
- তাপপ্রবাহ কবে কমবে, জানালো আবহাওয়া অফিস
- জনস্বার্থকে অগ্রাধিকার দিতে রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি আহ্বান
- ইসরাইলগামী জাহাজে হামলার ভিডিও প্রকাশ
- সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ উৎপাদনে রেকর্ড
- নির্বাচনে অনিয়ম হলে কর্মকর্তাদের চাকরিচ্যুত করা হবে: ইসি
- ‘সব প্রতিকূলতা মোকাবিলা করে দেশের অগ্রযাত্রা অব্যাহত থাকবে’
- মহান মে দিবসের শুভেচ্ছা জানালেন রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী
- আজ মহান মে দিবস, শ্রমজীবী মানুষের অধিকার আদায়ের দিন
- ডোমারে রেড ক্রিসেন্টের বিশুদ্ধ পানি ও খাবার স্যালাইন বিতরণ
- নীলফামারীতে প্রজনন স্বাস্থ্যসেবা বিষয়ক সভা
- গরমে যেসব উপকার পেতে আনারস খাবেন
- দেশের পথে এমভি আবদুল্লাহ
- দিল্লিকে সহজেই হারাল কলকাতা
- শাকিবের তৃতীয় বিয়ে নিয়ে যা বললেন অপু বিশ্বাস
- কোরবানির নিয়তের পর পশু বিক্রি করার বিধান
- ঠাকুরগাঁওয়ে হিট স্ট্রোকে নারী শ্রমিকের মৃত্যু
- মিনিটেই নকল ‘স্মার্ট কার্ড’, ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বাংলাদেশি কর্মীরা
- সারাদেশে হিটস্ট্রোকে ৩ জনের মৃত্যু
- কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার প্রয়োগ হোক মানুষের কল্যাণে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
- শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান গণপূর্তমন্ত্রীর
- পরিবেশ সংরক্ষণ সংক্রান্ত বিষয় পাঠ্যপুস্তকে অন্তর্ভুক্ত করা হচ্ছে
- ডিমলায় জুয়া খেলার অপরাধে আটক-২
- ঠাকুরগাঁওয়ে ঈদ-নববর্ষে ১০ জন নিহত, আহত ২ শতাধিক
- রাতেই যেসব অঞ্চলে হতে পারে বজ্রসহ বৃষ্টি
- জয়সওয়ালের শতকে সপ্তম জয় রাজস্থানের
- ফারিণের ‘নিকষ’ অন্ধকার!
- ‘সমন্বিত উদ্যোগ নিয়ে ভূমিসেবায় দুর্নীতি প্রতিরোধ করা হবে’
- অবৈধ দখলে থাকা খাস জমি চিহ্নিত করতে বললেন ভূমিমন্ত্রী
- মেডিকেল কলেজের ক্লাস অনলাইনে নেয়ার নির্দেশ স্বাস্থ্যমন্ত্রীর
- রংপুরে সংবর্ধনায় সিক্ত ব্যরিস্টার আনিকা তাসনিয়া
- ভারতকে বিশ্বকাপ জেতানো কোচকে নিয়োগ দিচ্ছে পাকিস্তান
- জামদানিকে আন্তর্জাতিকভাবে সমাদৃত করা হবে: শিল্প সচিব
- ঈদে সৈয়দপুর-ঢাকা আকাশপথে বাড়তি ফ্লাইট
- তুরস্কে আঞ্চলিক নির্বাচনে এরদোগান বিরোধীদের জয়
- রোহিঙ্গা সমাধানে নিউজিল্যান্ডকে সক্রিয় ভূমিকা রাখার আহ্বান
- আইকনিক লিডার এখন কুন্তলা চৌধুরী
- আইপিএলের মাঝপথে হঠাৎ দেশে ফিরলেন মুস্তাফিজ
- ব্যাংককের উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করলেন প্রধানমন্ত্রী
- বাংলাদেশ-থাইল্যান্ড ৫ কূটনৈতিক দলিল সই
- মিয়ানমার থেকে দেশে ফিরছেন ১৭৩ বাংলাদেশি
- কারিগরির সনদগুলো কারা কিনেছেন বের করা হবে: ডিবিপ্রধান