• বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৪ ১৪৩০

  • || ১৭ রমজান ১৪৪৫

২০২২ সালে হাবিপ্রবি শিক্ষার্থীদের প্রত্যাশা   

– নীলফামারি বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ১৭ জানুয়ারি ২০২২  

২০২২ সালে নিজ বিশ্ববিদ্যালয়কে কোন অবস্থানে দেখতে চাইছেন, সে প্রত্যাশার কথা জানিয়েছেন দিনাজপুরের হাজী দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। তাদের ভাবনাগুলো লিপিবদ্ধ করেছেন হাবিপ্রবি সংবাদদাতা যোবায়ের ইবনে আলী।


সেশনজট মুক্ত বছর হোক
প্রতিটা শিক্ষার্থী অনেক আশা-স্বপ্ন নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে জীবনে প্রবেশ করে। কিন্তু তাদের সেই সুবিশাল আশা আর স্বপ্নগুলি নিমিষেই থমকে যা,য় যখন তারা সেশন জটের কবলে পড়ে। তাদের মধ্যে সর্বদা দুশ্চিন্তা ও হীনমন্যতা কাজ করে, কবে তারা এই জটের বেড়াজাল থেকে মুক্তি পাবে। জটমুক্ত ক্যাম্পাস যেকোনো শিক্ষার্থীর প্রথম দাবি। তাই শিক্ষার্থীর অনিশ্চিত ভবিষ্যতের কবল থেকে মুক্তি দিবে এমন জটমুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় গড়ার জন্য বিশেষভাবে দাবি জানাই।
—তাইয়েবা ইসলাম মীম, সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ


সংগঠনগুলো অগ্রগামী ভূমিকা রাখুক
অ্যাকাডেমিক অগ্রগতির পাশাপাশি এই প্রতিষ্ঠান যেন মুক্তচর্চার উর্বর ক্ষেত্র হিসেবে গড়ে ওঠে সেদিকে লক্ষ্য রাখা জরুরি। এক্ষেত্রে সাংবাদিক সমিতিসহ সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলোকে পৃষ্ঠপোষকতা করার পাশাপাশি তাদের কার্যক্রমকে উৎসাহিত করতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন নানা পদক্ষেপ নিতে পারে। একজন শিক্ষার্থী তার মেধা মনন বিকাশের লক্ষ্যে অ্যাকাডেমিক পড়াশোনার পাশাপাশি এসব সংগঠনে সম্পৃক্ত হয়ে নিজেকে বিকশিত করবে এমনটাই প্রত্যাশা।
—আবদুল্লাহ আল মুবাশ্বির, ইংরেজি বিভাগ


নিরাপদ ক্যাম্পাস চাই
নিরাপদ হাবিপ্রবি চাই। বিশেষ করে মেয়েদের জন্য নিরাপদ ক্যাম্পাস চাই। শিক্ষার্থীরা বুক ভরা আশা নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে প্রবেশ করে। অথচ ইভটিজিংয়ের মত কিছু ব্যাধির কারণে অনেক মেয়ের মনে নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। দুশ্চিন্তা, ভয় ও আত্মসম্মান রক্ষার চিন্তা, কষ্টদায়ক শব্দ ও দৃষ্টি ভঙ্গি সহ্য করতে না পেরে মানসিকভাবে অসুস্থ হয়ে যাচ্ছে অনেকে। নিরাপদ বা ইভটিজিং মুক্ত ক্যাম্পাস যেকোন শিক্ষাঙ্গনের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ। তাই উন্নত মানসিকতা নিয়ে আমাদের মূল্যবোধ,নৈতিকতা ও সামাজিক শিক্ষা নিয়ে  নিরাপদ ও ইভটিজিং মুক্ত ক্যাম্পাস তৈরি করার দাবি জানাই।
—মরিয়ম পারভীন মিথিলা, সমাজবিজ্ঞান বিভাগ


হল হতে হবে শিক্ষার্থীবান্ধব
বিশ্ববিদ্যালয়ের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ আবাসিক হল। প্রতিটি হলের দেয়ালে দেয়ালে হতাশা আর স্বপ্ন পূরণের গল্প থাকে। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় সম্পূর্ণ আবাসিক না হলেও যারা হলে থাকে তাদের অবস্থা খুব একটা ভালো নয়। সবগুলো হলে খাবারের জন্য ডাইনিং কিংবা ক্যান্টিন নেই, পড়াশোনার জন্য নেই রিডিংরুম। তাছাড়া নেটওয়ার্ক সমস্যা অনেক বড় একটা সমস্যা। বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলোতে উচ্চগতির ওয়াই-ফাই সংযোগ না থাকায় প্রতিমাসে আলাদাভাবে  টাকা গুনতে হয় সাধারণ শিক্ষার্থীদের। একজন আবাসিক শিক্ষার্থী হিসাবে এসবের সমস্যার সমাধান প্রত্যাশা করছি।
—সাইফুল ইসলাম, ব্যবস্থাপনা বিভাগ


বাইশের প্রারম্ভ হোক নতুন প্রত্যয়ে
মহামারীতে পিছিয়ে পড়া শিক্ষাব্যবস্থা এগিয়ে চলুক যথাসময়ে ক্লাস-পরীক্ষার মাধ্যমে। ৪ মাসের সেমিস্টার করার প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়েছে যা কার্যকর করা জরুরি। জটের এই বিশাল ব্যবধান দূরীকরণে যথাসময়ে পরীক্ষা গ্রহণ, তার ফলাফল মূল্যায়ন, নির্দিষ্ট সময়ে ক্লাস কার্যক্রম শেষ করা এবং চারমাসে সেমিস্টার বাস্তবায়নের উপর জোর প্রদান করা প্রয়োজন। নতুবা অঙ্কুরেই বিনষ্ট হতে পারে অনেক শিক্ষার্থীর লালিত স্বপ্ন।
—সাখাওয়াত হোসাইন রিফাত, ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগ


ল্যাব ও ক্লাসরুম সংকটের সমাধান চাই
বিশ্ববিদ্যালয়ের সিএসই এবং ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগগুলোর ল্যাব সংকট চরম আকার ধারণ করেছে। ২০২২ সালে এসেও ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের শিক্ষার্থীরা টিএসসিতে ক্লাস করি, যেখানে আমরা হীনমন্যতায় ভুগি। বিশ্ববিদ্যালয়ের ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের ক্লাস সংকট নিয়ে বেশ কয়েকবার প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলেও কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নেয়া হয়নি। নতুন বছরে ল্যাব এবং ক্লাসরুম সংকটমুক্ত হাবিপ্রবি চাই।
—মো:  সোহেল মিয়া, মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ