• শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৫ ১৪৩০

  • || ১৮ রমজান ১৪৪৫

সর্বশেষ:
বাংলাদেশকে হুমকির মুখে ফেলেছে ক্রমবর্ধমান জলরাশি: গবেষণা উত্তরবঙ্গের মহাসড়কে চার লেন চালু, ঈদযাত্রা হবে স্বস্তির সব উন্নয়ন সহযোগীদের এক প্ল্যাটফর্মে আসা প্রয়োজন: পরিবেশমন্ত্রী বিডিএস ভূমি ব্যবস্থাপনায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনবে: ভূমিমন্ত্রী বিএনপির নিগৃহীত নেতাকর্মীদের তালিকা দিতে হবে: ওবায়দুল কাদের

সর্বকালের সেরার স্বীকৃতি পেল ‘পথের পাঁচালী’

– নীলফামারি বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ২২ অক্টোবর ২০২২  

সর্বকালের সেরার স্বীকৃতি পেল ‘পথের পাঁচালী’                          
ইন্টারন্যাশনাল ফেডারেশন অব ফিল্ম ক্রিটিকস (ফিপরেস্কি)-র জরিপে ভারতের সর্বকালের সেরা ছবির স্বীকৃতি পেয়েছে সত্যজিৎ রায় পরিচালিত ‘পথের পাঁচালী’। শতাধিক ভাষার দেশ হিসেবে পরিচিতি ভারতের সব সিনেমা ইণ্ডাষ্ট্রিকে টপকে সেরার খেতাব অর্জন করেছে সত্যজিতের এই অমর সৃষ্টি।

গত বৃহস্পতিবার (২০ অক্টোবর) ফিপরেস্কি-ইন্ডিয়া বিভাগ বিশেষ একটি তালিকা প্রকাশ করেছে। সংগঠনটির ৩০ জন সদস্যের ভোটে তালিকাটি প্রস্তুত করা হয়েছে। এতে স্থান পায় বিভিন্ন ভাষার দশটি ছবি। এর মধ্যে পাঁচটি হিন্দি, তিনটি বাংলা, একটি মালায়লাম ও একটি কন্নড় ভাষার ছবি। জনপ্রিয় ইন্ডাস্ট্রি তামিল ও তেলেগুর কোনও ছবি তালিকায় স্থান পায়নি।

এই তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে ঋত্বিক ঘটক নির্মিত বাংলা সিনেমা ‘মেঘে ঢাকা তারা’। এটি মুক্তি পেয়েছিল ১৯৬০ সালে। এরপর যথাক্রমে রয়েছে- মৃণাল সেন নির্মিত ‘ভুবন শোম’ (১৯৬৯), আদুর গোপালকৃষ্ণানের ‘এলিপ্পাথায়াম’ (১৯৮১), গিরিশ কাসারাভাল্লি পরিচালিত ‘ঘটশ্রদ্ধা’ (১৯৭৭), এমএস সাথ্যু নির্মিত ‘গরম হাওয়া’ (১৯৭৩), সত্যজিৎ রায়ের ‘চারুলতা’ (১৯৬৪), শ্যাম বেনেগালের ‘অঙ্কুর’ (১৯৭৪), গুরু দত্তের ‘পিয়াসা’ (১৯৫৭) ও রমেশ সিপ্পি নির্মিত ‘শোলে’ (১৯৭৫)।

উল্লেখ্য, ‘পথের পাঁচালী’র মাধ্যমে শুধু সত্যজিৎ রায়ের অভিষেক হয়নি, বাংলা তথা পুরো উপমহাদেশের চলচ্চিত্রে নতুন এক ধারা জাগ্রত হয়। যা ক্রমশ পরিণত হয়ে এখন অনেক বেশি প্রতিষ্ঠিত। বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘পথের পাঁচালী’ উপন্যাস অবলম্বনে সিনেমাটি বানিয়েছিলেন সত্যজিৎ রায়। পরবর্তীতে এর দুটি সিক্যুয়েল নির্মিত হয়, এগুলো হলো ‘অপরাজিতা’ ও ‘অপুর সংসার’। তিনটি সিনেমাকে একসঙ্গে অপু ট্রিলজি বলে অভিহিত করা হয়।

প্রসঙ্গত, ইন্টারন্যাশনাল ফেডারেশন অব ফিল্ম ক্রিটিকস (ফিপরেস্কি) প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৩০ সালে। কান চলচ্চিত্র উৎসব, টরন্টো আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব, ভেনিস চলচ্চিত্র উৎসব ভিয়েনা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক উৎসবে তারা পুরস্কার দিয়ে থাকে।