• মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১০ ১৪৩১

  • || ১৩ শাওয়াল ১৪৪৫

সর্বশেষ:
যুদ্ধের অর্থ জলবায়ু পরিবর্তনে ব্যয় হলে বিশ্ব রক্ষা পেত- প্রধানমন্ত্রী দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ উৎপাদনের রেকর্ড মেডিকেল কলেজের ক্লাস অনলাইনে নেয়ার নির্দেশ স্বাস্থ্যমন্ত্রীর ‘গণতান্ত্রিক রীতিনীতি না মানলে জনগণই বিএনপিকে প্রতিহত করবে’ লালমনিরহাটে হত্যা মামলায় বিএনপির দুই নেতা কারাগারে

সম্পর্কের গুঞ্জন নিয়ে মুখ খুললেন শাবনূর ও পূর্ণিমা

– নীলফামারি বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ৩ মার্চ ২০২৩  

 
শাবনূর ও  পূর্ণিমার সম্পর্ক নিয়ে নানা প্রশ্ন প্রায়ই আসে। অনেকেই ভাবেন তাদের মধ্যে হয়তো দা-কুমড়ার সম্পর্ক! এবার এই দুই অভিনেত্রী নিজেরাই জানালেন তাদের মধ্যকার সম্পর্কটা আসলে কেমন। 

সম্প্রতি স্বামী-সন্তান নিয়ে অস্ট্রেলিয়া ভ্রমণে গেছেন চিত্রনায়িকা পূর্ণিমা। সেখানে শুক্রবার বিকেলে দেখা করেন সিডনিতে স্থায়ীভাবে বসবাস করা শাবনূর। সেখান থেকে নিজের ফেসবুক পেজ থেকে লাইভে আসেন পূর্ণিমা। সঙ্গে দেখা দেন শাবনূরও। এরপর দুজনে একে-অন্যের প্রশংসায় পঞ্চমুখ হন। এছাড়া তাদের ঘিরে ছড়িয়ে থাকা নানা গুঞ্জন নিয়েও কথা কথা বলেন।    

হাস্যোজ্বল মুখে পূর্ণিমাকে শাবনূর বলেন, আমাদের সম্পর্কে মানুষের মধ্যে বাজে ধারণা আছে। সবাই মনে করে আমাদের মধ্যে দা-কুমড়া সম্পর্ক। এটা একটু পরিষ্কার করে দাও তো।

এ সময় পূর্ণিমা বললেন, আসলে আমাদের মধ্যে ফুলে-ফুলে সম্পর্ক। তিনি আমার খুব পছন্দের অভিনেত্রী। আমরা তাকে (শাবনুর) দেখেই ইন্ডাস্ট্রিতে এসেছি। তিনি আমাদের জন্য অনুপ্রেরণা, তিনি আমাদের অভিনয়ের ইনস্টিটিউট। আমরা এখনো অভিনয় করতে গেলে সবার আগে শাবনূর আপুর কথা মনে আসে। তিনি কীভাবে, কোন এক্সপ্রেশন দিতেন, সেটা মনে করে কাজ করি। যদিও আমরা বা আমি তার ধারেকাছে যেতে পারিনি। তিনি আসলেই অসাধারণ একজন মানুষ।

শানবূরও পূর্ণিমার প্রশংসায় বললেন, পূর্ণিমার এত গুণ! আমার মনে হয়, আমি ওর মতো পারবো না। এত সুন্দর করে কীভাবে কথা বলে, স্টেজে পারফর্মেন্স করে। ওর আসলে গুণের শেষ নেই। দেখতেও সুন্দর। ওর তুলনা ও নিজেই। আমি অনেক খুশি হয়েছি, ওর অস্ট্রেলিয়া আসার খবর শুনে। এরপর আমি ওকে হারিকেন জ্বালিয়ে খুঁজেছি।

পূর্ণিমার সঙ্গে সিনেমা করার আশ্বাসও দিলেন শাবনূর। তবে সেটা ঢাকায় নয়, বরং অস্ট্রেলিয়ায় হবে। শাবনুর বলেন, আমরা দুজন আবার ছবি করলে কেমন হবে? অস্ট্রেলিয়াতে করবো। ইচ্ছে আছে করার। এখনই বলতে পারছি না, কতদূর করতে পারবো। কিন্তু চেষ্টা করতে অসুবিধা নাই।

শাবনূরের কথায় সায় দিয়ে পূর্ণিমা নিজের একটি অভিজ্ঞতা বিনিময় করেন। অতীতের স্মৃতি হাতড়ে বলেছেন, একটা সত্যি ঘটনা বলি, শাবনূর আপু তখন সুপার-ডুপার হিট। তার যন্ত্রণায় আমরা কেউই ইন্ডাস্ট্রিতে পা রাখতে পারছিলাম না! কোনো ছবির ধারেকাছে যেতে পারছিলাম না। যখনই আমি শুটিং করতাম, তখন নির্মাতা-কোরিওগ্রাফাররা বলতেন, কী এক্সপ্রেশন দাও! শাবনূরের মতো করো। শাবনূরের চোখ কথা বলে, ঠোঁট কথা বলে; তার পায়ের যোগ্যতা নেই। এসব শুনে আমি কোণায় গিয়ে কাঁদতাম।

সবশেষে ভক্তদের ধন্যবাদ-ভালোবাসা জানিয়ে লাইভ শেষ করেন দুই নায়িকা।