• বৃহস্পতিবার ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ||

  • ভাদ্র ২৮ ১৪৩১

  • || ০৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

একের পর এক ছবিতে সই আলিয়ার, মেয়েকে সময় দেবেন কিভাবে?

– নীলফামারি বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ১০ আগস্ট ২০২৩  

 
বলিউডের এই প্রজন্মের জনপ্রিয় অভিনেত্রী তিনি। ১০ বছরে নিজেকে সাফল্যের শীর্ষে নিয়ে গিয়েছেন আলিয়া ভাট। এই মুহূর্তে প্রযোজক ও পরিচালকের প্রথম পছন্দ। করণ জোহর, সঞ্জয় লীলা বানসালী, ইমতিয়াজ় আলি, অয়ন মুখোপাধ্যায়, জয়া আখতারের মতো ছবি নির্মাতাদের সঙ্গেও কাজ করেছেন। পা রেখেছেন প্রযোজনার জগতেও।

বোন শাহীন ভাটের সঙ্গে জুটি বেঁধে শুরু করেছেন ‘ইটারনাল সানশাইন প্রোডাকশন্স’। এই প্রতিষ্ঠানের ব্যানারে তৈরি হয়েছে ‘ডার্লিংস’। ওটিটি প্ল্যাটফর্মে মুক্তি পাওয়া ওই ছবির জন্য প্রশংসাও কুড়িয়েছেন।

চলতি মাসেই মুক্তি পেতে চলেছে তাঁর প্রথম হলিউড ছবি ‘হার্ট অফ স্টোন’। কেরিয়ারের ১১তম বর্ষে এসে যেন নতুন উদ্যমে কাজে মন দিয়েছেন আলিয়া।

পেশাগত জীবনের পাশাপাশি ব্যক্তিগত জীবনের দিকেও সমান নজর মহেশ ভাটের কন্যার। গত বছর এপ্রিলেই বিয়ে সেরেছেন রণবীর কাপুরের সঙ্গে। নভেম্বরে মা হয়েছেন কন্যাসন্তানের। এখন আলিয়ার জীবনের সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ মানুষ তার মেয়ে রাহা কাপুর।

‘রকি অউর রানি কি প্রেম কাহিনী’-র সাফল্যের পর বলিউডে কাজের জন্য কোমর বেঁধে নামছেন আলিয়া। প্রেম হোক বা অ্যাকশন, বা পিরিয়ড ড্রামা— কোনও ঘরানার ছবিই হাতছাড়া করতে চান না তিনি।

আগামী বছর খানেক একের পর এক প্রজেক্টের কাজে নিজেকে ব্যস্ত রাখতে চলেছেন আলিয়া। নিজের পরবর্তী ছবির জন্য নামজাদা পরিচালক ভাসান বালার সঙ্গে জুটি বাঁধতে চলেছেন আলিয়া। ছবির প্রযোজনার দায়িত্বে থাকছেন করণ জোহর ও তাঁর সংস্থা ‘ধর্ম প্রোডাকশন্স’।

শোনা যাচ্ছে, ‘অ্যাকশন এন্টারটেনমেন্ট’ ঘরানার একটি ছবি বানাতে চলেছেন তিনি। ইতিমধ্যেই চিত্রনাট্য লেখার কাজ প্রায় শেষ করে এনেছেন পরিচালক।চলতি বছরের সেপ্টেম্বর মাস থেকে শুটিং শুরু হতে চলেছে এই ছবির।

তাছাড়াও সঞ্জয় লীলা বানসালীর সঙ্গে ‘বৈজু বাওরা’ ছবির কাজ শুরু করতে চলেছেন আলিয়া। বানসালীর ছবি ছাড়াও আলিয়ার হাতে রয়েছে যশরাজ ফিল্মসের একটি স্পাই-থ্রিলার।

সেখানেই শেষ নয়, ‘ডার্লিংস’-এর পরিচালক জসমীত কে রীনের সঙ্গেও ফের জুটি বাঁধতে চলেছেন নায়িকা। একের পর এক ছবির কাজ ও প্রস্তুতির মধ্যে মেয়েকে কী ভাবে সময় দেবেন আলিয়া?

সম্প্রিত এক সাক্ষাৎকারে আলিয়া বলেন, ছোট্ট বয়স থেকেই সব পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারে রাহা, দাবি আলিয়ার। তাই কর্মসূত্রে এদিক-ওদিক যাতায়াত করলেও মেয়েকে সঙ্গে নিয়ে যেতে অসুবিধা হয় না তার। মেয়ের সামনে নিজেকে এক জন কর্মজীবী নারী ও মা হিসাবেই প্রতিষ্ঠা করতে চান আলিয়া। মেয়ে যেন বড় হয়ে তার মাকে নিয়ে গর্ব করতে পারে, সে কথা ভেবেই কাজ করেন তিনি।