• শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৬ ১৪৩১

  • || ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

সর্বশেষ:
ইসরায়েলের হামলার পর প্রধান দুটি বিমানবন্দরে ফ্লাইট চলাচল শুরু। ইসরায়েল পাল্টা হামলা চালিয়েছে ইরানে।

বঙ্গবন্ধু স্কলারশিপ: আন্তর্জাতিক অঙ্গনে দেশের উন্নয়নের প্রতিচ্ছবি

– নীলফামারি বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ২৭ নভেম্বর ২০২২  

বঙ্গবন্ধু স্কলারশিপ: আন্তর্জাতিক অঙ্গনে দেশের উন্নয়নের প্রতিচ্ছবি           
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তরুণ শিক্ষকরা ‘বঙ্গবন্ধু স্কলারশিপে’র মাধ্যমে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে আন্তর্জাতিক মর্যাদার স্থানে নিয়ে গেছেন বলে মন্তব্য করেছেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আখতারুজ্জামান। তিনি বলেছেন, এই শিক্ষাবৃত্তির মাধ্যমে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা বিশ্বের শ্রেষ্ঠ বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণার সুযোগ পাচ্ছেন। কমনওয়েলথ স্কলারশিপের আওতায় একজন শিক্ষার্থী যে অর্থমূল্যের বৃত্তি পেয়ে থাকেন সরকার এই স্কলারশিপে সমমূল্যের বৃত্তির সুযোগ দিয়েছে, যা আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের প্রতিচ্ছবি হিসেবে কাজ করছে।

বৃহস্পতিবার (২৪ নভেম্বর) লন্ডনের হিলটন প্যাডিংটনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের যুক্তরাজ্যে বসবাসরত অ্যালামনাইদের সংগঠন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্লাব ইউকে নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে ঢাবি উপাচার্য একথা বলেন।

দ্য অ্যাসোসিয়েশন অব কমনওয়েলথ ইউনিভার্সিটিজের (এসিইউ) কাউন্সিল সভায় যোগ দিতে ২২ নভেম্বর লন্ডনে আসেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. মোহাম্মদ আখতারুজ্জামান। গত সেপ্টেম্বরে যুক্তরাজ্যের অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শতবর্ষ উৎসব আয়োজনের মূল প্রতিপাদ্যই ছিলে, অক্সফোর্ড ও কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো বিশ্বের শ্রেষ্ঠ বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের  যোগসূত্র স্থাপন করা।

উপাচার্য বলেন, ২০১৭ সালে প্রথমবারের মতো ‘দ্য অ্যাসোসিয়েশন অব কমনওয়েলথ ইউনিভার্সিটিজের কাউন্সিলর নির্বাচিত হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। ২০১৮ সালের পর করোনার কারণে এসিইউর সভা অনুষ্ঠিত হয়নি। চলতি বছর ট্রাস্টিদের বৈঠকে কমনওয়েলথভুক্ত দেশের ২৩টি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যরা যোগ দিয়েছেন। রয়্যাল চাটার্ড দ্বারা পরিচালিত ‘দ্য অ্যাসোসিয়েশন অব কমনওয়েলথ ইউনিভার্সিটিজে কমনওয়েলথের প্রায় ৫ শতাধিক শীর্ষ বিশ্ববিদ্যালয়ের সদস্যপদ রয়েছে। কীভাবে কমনওয়েলথভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়গুলো জনগণের সেবায় কাজ করতে পারে সেই বিষয়গুলো এবারের আলোচনা গুরুত্ব পেয়েছে। আধুনিক ও যুগোপযোগী সমাজ নির্মাণে বিশ্ববিদ্যালয়কে কীভাবে কাজে লাগানো যায় সেই আলোকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষ্যসূচি বিন্যাস করা হবে।

তিনি আরও বলেন, করোনার কঠিন সময়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষায় পিছিয়ে পড়েনি এবং বিশ্ববিদ্যালয়কে সেশন জটেও পড়তে হয়নি, বিষয়টিকে কমনওয়েলথের অপর বিশ্ববিদ্যালয়গুলো খুবই ইতিবাচকভাবে দেখেছে। কমনওয়েলথভুক্ত দেশগুলোর বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে পারস্পরিক সম্পর্ক তৈরি হলে শিক্ষা, গবেষণা ও প্রযুক্তিগত বিনিময়সহ নানা ক্ষেত্র চিহ্নিত হবে, আর বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সঙ্গে এমওইউর মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিকীকরণের ক্ষেত্রে এগিয়ে যেতে পারবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। 

এ ধরনের ফোরামে অংশগ্রহণ ও বিদেশে অবস্থানরত অ্যালামনাইদের সঙ্গে যোগসূত্র স্থাপনের মাধ্যমে উন্নত বিশ্ববিদ্যালয়ের কৌশল ও নীতি দর্শনের আলোকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কেও ঢেলে সাজানোর সুযোগ তৈরি হবে বলে জানান তিনি।
যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্র সফর শেষে আগামী ২৭ নভেম্বর উপাচার্য ড. আখতারুজ্জামান দেশে ফেরার কথা রয়েছে।

বৈঠকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের যেসব শিক্ষক বঙ্গবন্ধু স্কলারশিপ, প্রধানমন্ত্রী স্কলারশিপ ও কমনওয়েলথ স্কলারশিপে যুক্তরাজ্যে অধ্যয়ন ও গবেষণা করছেন তাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বায়োমেডিকেল ফিজিক্স অ্যান্ড টেকনোলজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মামুন রাব্বানী, ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেম বিভাগের সহকারী অধ্যাপক আসিফ ইমতিয়াজ, মনোবিদ্যা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ইশরাত শাহনাজ, জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহকারী অধ্যাপক আহমেদ ফয়সল সুমিত, ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক একেএম ইফতেখারুল ইসলাম, ওর্য়াল্ড রিলিজিওন অ্যান্ড কালচারের সহকারী অধ্যাপক মোহাম্মদ দিদারুল ইসলাম, ইন্টারন্যাশনাল বিজনেসের সহকারী অধ্যাপক মোবারক হোসেনসহ আরও অনেকে।