দাঁতের শিরশির ভাব দূর করতে
– নীলফামারি বার্তা নিউজ ডেস্ক –
প্রকাশিত: ৩০ জানুয়ারি ২০২৩
দাঁতের শিরশির ভাব দূর করতে
কথায় আছে—‘দাঁত থাকতে দাঁতের মর্ম বুঝতে হয়’। দাঁত গুরুত্বপূর্ণ একটি অঙ্গ। দাঁত যেমন দৈহিক সৌন্দর্যের জন্য জরুরি আবার খাদ্য পরিপাকেও দাঁতের ভূমিকা অপরিসীম। দাঁতের তিনটি অংশ রয়েছে, দাঁতের ভিতরে নার্ভ, তার ওপরে ডেন্টিনের আবরণ—যার মধ্যে নার্ভ ও রক্ত চলাচল হয় আর সবচেয়ে বাইরে থাকে সিমেন্ট জাতীয় ক্যালসিয়ামের আবরণ।
বাইরের এই আবরণের নাম এনামেল। এটি দাঁতকে চকচকে ও আকর্ষণীয় রাখে; আবার দাঁতের ডেন্টিন অংশকে রক্ষা করে। দাঁতের এনামেল ক্ষয় হলে খাবার দাঁতের ডেন্টিনে লাগে এবং নার্ভাস সিস্টেমে এই অনুভূতি চলে যায়— এভাবে দাঁত শিরশির করে।
সাধারণত টক, ঠাণ্ডা, বেশি গরম খাবার খেলে দাঁতের শিরশির ভাব হয়। যাদের এনামেল দুর্বল শীতকাল এলেই তাদের দাঁতের শিরশির বেড়ে যায়। পানি পান করতে গেলেও দাঁত শিরশির করে। আর ঠাণ্ডা বাড়লে তো কথাই নেই। দাঁতের এই সমস্যাকে প্রশ্রয় দিলে ভবিষ্যতে দাঁতের গোঁড়া দুর্বল হয়ে যাবে এবং এক সময়ে অকালে দাঁত হারাতে হতে পারে। দাঁতের শিরশির ভাবকে ডাক্তারি ভাষায় বলে সেনসিটিভিটি। দাঁতের সেনসিটিভিটি কমাতে কিছু ব্যবস্থা নিতে হবে। যে কারণে সেনসেটিভিটি হয় তা জানলে এই সমস্যা এড়ানো সহজ।
সেনসিটিভিটির কারণ:
জোরে জোরে দাঁত মাজলে। বেশি ক্ষারযুক্ত মাজন ব্যবহার করলে।
বেশি চিনিযুক্ত খাবার খেলে। সফটড্রিঙ্কস ও বেভারেজ খেলে।
দাঁত কামড়ানোর অভ্যাস থাকলে।
নিয়মিত ব্রাশ না করলে। বেশি সময় ধরে দাঁত ব্রাশ করলেও দাঁত ক্ষয় হয়।
খাবার মুখে নিয়ে দীর্ঘ সময় রাখলে বা খাবার গ্রহণের পর ঠিকমতো কুলকুচোই না করলে জমে থাকা খাদ্যে ব্যাকটেরিয়ার আক্রমণ হয় এবং দাঁত ক্ষয় হয়।
নির্দিষ্ট কিছু টুথপেস্ট বা মাউথওয়াশ ব্যবহার করলেও এ অসুবিধা এড়ানো যায়। পাশাপাশি কিছু ঘরোয়া উপায়েও দাঁতের বিরক্তিকর শিরশির ভাব থেকে মুক্তি পেতে পারেন। জেনে নিন করণীয়—
বিশেষ ধরনের মাজন
দাঁতের এই সমস্যা নিরসনে এক ধরনের বিশেষ দাঁতের মাজন পাওয়া যায়, একে ডিসেনসিটাইজিং টুথপেস্ট বলে। এই ধরনের মাজনে কিছু বিশেষ উপাদান থাকে যা উন্মুক্ত স্নায়ুমুখগুলি ঢাকতে সহায়তা করে। পটাশিয়াম নাইট্রেট নামক একটি যৌগ এই কাজে অত্যন্ত উপযোগী। পাশাপাশি দাঁত মাজার ব্রাশটি নরম হলেও এই সমস্যায় কিছুটা আরাম মিলতে পারে।
লবণ-পানি
নুন বা লবণ প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে। জমতে দেয় না ব্যাকটেরিয়াও। রোজ অন্তত দু’বার সামান্য উষ্ণ নুন-জলে গার্গল বা কুলকুচি করলে দাঁত শিরশির করা থেকে আরাম মিলতে পারে। এক গ্লাস সামান্য উষ্ণ জলে আধা চামচ নুন মিশিয়ে অন্তত ৩০ সেকেন্ড সেই পানি মুখে রাখতে হবে।
হলুদ
এক টেবিল চামচ হলুদ, আধা চামচ সর্ষের তেল ও আধা চামচ লবণ একসঙ্গে মিশিয়ে সেই মিশ্রণ দাঁতে লাগালে কমতে পারে দাঁত শিরশির করার সমস্যা। হলুদে থাকে কারকিউমিন নামক একটি উপাদান। এই উপাদানটি জীবাণুনাশক ও প্রদাহনাশক হিসেবে বেশ কার্যকর।
গ্রিন টি মাউথওয়াশ
স্বাভাবিক নিয়মে গ্রিন টি বানিয়ে নিন। একটা গ্লাসে রেখে ঠাণ্ডা হওয়ার জন্য অপেক্ষা করুন। তারপর সেই চা ঠাণ্ডা করে মাউথওয়াশ হিসেবে ব্যবহার করুন দিনে দু’বার। এতে মুখের ভেতর ঝরঝরে তাজা হয়ে ওঠবে।
ক্যাপসাইসিন জেল
মরিচের ঝালের পরিমাণ নির্ধারণ করে ক্যাপসাইসিন নাম একটি যৌগ। যেকোনো প্রদাহ কমাতে এটি দারুণ কার্যকর। ক্যাপসাইসিন জেল বা মাউথওয়াশ স্বচ্ছন্দে ব্যবহার করতে পারেন। প্রথমদিকে একটু জ্বলতে পারে, কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ঠিক হয়ে যাবে।
রসুন
একটি রসুন পেস্ট করুন। এর মধ্যে ২-৩ ফোঁটা পানি ও সামান্য লবণ মিশিয়ে নিন। আক্রান্ত দাঁতে সরাসরি পেস্টটি লাগান। কয়েক মিনিট এভাবে রাখুন। এরপর লবণ পানি দিয়ে মুখ কুলি করুন। দিনে দু’বার এই পদ্ধতি অনুসরণ করলেই দাঁতের শিরশির অনুভূতি দূর হবে। এ ছাড়াও একটি রসুনের কোয়া কেটে ৭-১০ মিনিট আক্রান্ত দাঁতে মাজুন। এরপর হালকা গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। প্রতিদিন ২-৩ বার এটি করুন। এতে শিরশির ভাব দূর হবে।
ভ্যানিলা এক্সট্রাক্ট
তুলায় করে ভ্যানিলা এক্সট্র্যাক্ট নিয়ে মাড়িতে লাগিয়ে রাখুন কিছুক্ষণ। তারপর মুখ ধুয়ে নিন হালকা গরম পানিতে। কিছুদিন ব্যবহারেই ফল পাবেন।
মধু
এক গ্লাস হালকা গরম পানিতে এক চা চামচ মধু মিশিয়ে কুলকুচি করলেও দাঁতের শিরশির অনুভূতি থেকে মুক্তি মিলবে। তবে এটা রাতে শোওয়ার আগে না করলেই ভালো।
এছাড়া বাজারে বিভিন্ন ধরনের মাউথওয়াশ পাওয়া যায়। এগুলো দিয়ে কুলকুচি করলেও সেনসেটিভিটি থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
- শাবনূরের বিকল্প নেই: ডিপজল
- অপবিত্র জায়গায় আল্লাহর নাম উচ্চারণ করা, শরিয়ত কী বলে?
- টেকসই কৃষি ব্যবস্থা প্রচলনে সরকার কাজ করছে: স্পিকার
- প্রত্যেকের উচিত প্রধানমন্ত্রীকে সহায়তা করা: গণপূর্তমন্ত্রী
- সড়কে দুর্ঘটনা রোধে প্রতিদিন মোবাইল কোর্ট পরিচালনার নির্দেশ
- গাজায় নিহতের সংখ্যা ৩৪ হাজার ছাড়িয়েছে
- দেশে তিনদিনের হিট অ্যালার্ট জারি
- গরম আরো বাড়ার শঙ্কা
- প্রধানমন্ত্রী ভবিষ্যৎ বাংলাদেশ গড়ার কাজ শুরু করেছেন: অর্থমন্ত্রী
- নিষিদ্ধ যানে সড়কে মৃত্যুর মিছিল
- মে মাসে ৪৪ ডিগ্রি পৌঁছাবে তাপমাত্রা
- সম্মানী বাড়ছে বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শহিদ পরিবারের
- প্রচণ্ড গরমে হাঁসফাঁস, আগামী দুদিন যেমন যাবে আবহাওয়া
- ‘শেখ হাসিনা সব প্রতিবন্ধকতা উপড়ে ফেলে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন’
- ইসরায়েলের হামলাকে স্বীকার করছে না ইরান
- তীব্র তাপদাহেও যেভাবে ঘর থাকবে কনকনে ঠান্ডা
- বিএনপি পথহারা পথিক: ওবায়দুল কাদের
- আওয়ামী লীগ প্রতিশোধপরায়ণ হয়ে কিছু করেনি: প্রধানমন্ত্রী
- মারা গেছেন জাতীয় পতাকার নকশাকার মুক্তিযোদ্ধা শিব নারায়ণ দাস
- আইপিএল থেকে চাইলেও যে কারণে যেতে পারেননি বাংলাদেশি এক ক্রিকেটার
- জুম্মাবার ও নামাজের গুরুত্ব
- শিল্পী সমিতির নির্বাচনে এফডিসিতে নিরাপত্তা জোরদার
- বিজিপির আরো ১৩ সদস্য আশ্রয় নিলো বাংলাদেশে
- সড়কে দুর্ঘটনা রোধে প্রতিদিন মোবাইল কোর্ট পরিচালনার নির্দেশ
- তীব্র গরমের মধ্যেই ধেয়ে আসছে ঝড়-শিলাবৃষ্টি
- ইসরায়েলের হামলার পর প্রধান দুটি বিমানবন্দরে ফ্লাইট চলাচল শুরু
- ইসরায়েল পাল্টা হামলা চালিয়েছে ইরানে
- দ্রুত শিক্ষকদের শূন্য পদ পূরণের সুপারিশ
- বিচ্ছিন্নভাবে দেশের স্বার্থ অর্জন করার সুযোগ নেই: সেনা প্রধান
- মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্যদের সম্মানি বাড়বে
- ডিমলায় জুয়া খেলার অপরাধে আটক-২
- ঠাকুরগাঁওয়ে ঈদ-নববর্ষে ১০ জন নিহত, আহত ২ শতাধিক
- রাতেই যেসব অঞ্চলে হতে পারে বজ্রসহ বৃষ্টি
- ট্রেনের সামনে ক্যামেরা বসাতে স্থায়ী কমিটির সুপারিশ
- ফারিণের ‘নিকষ’ অন্ধকার!
- অতিরিক্ত সচিবকে ওএসডি, ৫ যুগ্ম-সচিবের বদলি
- ‘সমন্বিত উদ্যোগ নিয়ে ভূমিসেবায় দুর্নীতি প্রতিরোধ করা হবে’
- জলবায়ু সহনশীল দেশ গড়তে নারীদের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ
- অবৈধ দখলে থাকা খাস জমি চিহ্নিত করতে বললেন ভূমিমন্ত্রী
- সুখী দেশের তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান ১২৯তম
- চিকিৎসা ব্যবস্থা যেকোনো মূল্যে সহজলভ্য করবো: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
- ডোমারে ’বিশ্ব যক্ষ্মা দিবস’ উপলক্ষে র্যালী ও আলোচনা সভা
- ভয়াল ২৫ মার্চ আজ, রাতে ১ মিনিট অন্ধকারে থাকবে দেশ
- ভারতকে বিশ্বকাপ জেতানো কোচকে নিয়োগ দিচ্ছে পাকিস্তান
- মানুষের জীবন সহনীয় করতে কাজ করছে সরকার: পরিবেশমন্ত্রী
- দ্বিতীয় ওয়ানডেতেও ব্যাটিং বিপর্যয়ে বাংলাদেশ
- জামদানিকে আন্তর্জাতিকভাবে সমাদৃত করা হবে: শিল্প সচিব
- রোহিঙ্গা সমাধানে নিউজিল্যান্ডকে সক্রিয় ভূমিকা রাখার আহ্বান
- তুরস্কে আঞ্চলিক নির্বাচনে এরদোগান বিরোধীদের জয়
- ছবি নিয়ে নানা প্রশ্নের উত্তর দিলেন শরিফুল