• শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৭ ১৪৩১

  • || ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

সর্বশেষ:
বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার অন্যতম নকশাকার বীর মুক্তিযোদ্ধা শিব নারায়ণ দাস, আজ ৭৮ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেছেন। বন্যায় দুবাই এবং ওমানে বাংলাদেশীসহ ২১ জনের মৃত্যু। আন্তর্জাতিক বাজারে আবারও বাড়ল জ্বালানি তেল ও স্বর্ণের দাম। ইসরায়েলের হামলার পর প্রধান দুটি বিমানবন্দরে ফ্লাইট চলাচল শুরু। ইসরায়েল পাল্টা হামলা চালিয়েছে ইরানে।

আফগানিস্তানে দ্রুত খুলছে মেয়েদের স্কুল: জাতিসংঘ

– নীলফামারি বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ১৭ অক্টোবর ২০২১  

আফগানিস্তানে গত আড়াই মাসেরও বেশি সময় ধরে বন্ধ থাকা মেয়েদের স্কুলগুলো ‘খুব শীঘ্রই ’ খুলে দেওয়া হবে। শুক্রবার জাতিসংঘভিত্তিক সংস্থা ইউনিসেফের উপ-নির্বাহী পরিচালক ওরম এবদি নিউইয়র্কে জাতিসংঘের সদর দফতরে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছেন।

সংবাদ সম্মেলনে জাতিসংঘের এই কর্মকর্তা জানান, গত সপ্তাহে আফগানিস্তান সফরে গিয়েছিলেন তিনি।

ওমর এবদি বলেন, আমি আফগানিস্তানে অবস্থান করার সময়েই দেশটির ৩৪ টি প্রদেশের মধ্যে ৫ প্রদেশ- উত্তর -পশ্চিমে বালখ, জৌজান, সামঙ্গান, উত্তর -পূর্বে কুন্দুজ ও দক্ষিণ -পশ্চিমে উরোজগান মেয়েদের মাধ্যমিক স্কুলগুলো খুলে দিয়েছে ক্ষমতাসীন তালেবান সরকার।

তালেবানের শিক্ষামন্ত্রী তাকে জানিয়েছেন, যে তারা আফগানিস্তানে মেয়েদের মাধ্যমিক স্কুলগুলো পরিচালনা বিষয়ক "একটি ফ্রেমওয়ার্ক" নিয়ে কাজ করছে। আগামী এক কিংবা দু মাসের মধ্যে এটি শেষ হবে এবং তারপরই দেশের সবগুলো মেয়ে স্কুল খুলে দেওয়া হবে।

সাংবাদিকদের ইউনিসেফের উপ-নির্বাহী পরিচালক বলেন,  আফগানিস্তানে গত টানা ২৭ দিন ধরে মেয়েদের স্কুলগুলো বন্ধ আছে। অর্থাৎ, প্রায় এক মাস ধরে পড়াশোনা করতে পারছে না আফগান কিশোরীরা। আমরা বলেছি, যতদ্রুত সম্ভব যেন স্কুলগুলো ফের চালু করা হয়। কারণ এর সঙ্গে লাখ লাখ আফগান কিশোরীর ভবিষ্যত সম্পর্কিত।

তিনি বলেন, তালেবান বাহিনী দেশ দখলের আগে থেকেই আফগানিস্তানে অন্তত এক কোটি শিশুর জীবন মানবিক সহায়তার ওপর নির্ভর ছিল। বর্তমানে দেশটির যে পরিস্থিতি, তাতে দ্রুত সেখানে সহায়তা না পাঠালে অন্তত ১০ লাখ আফগান শিশু অপুষ্টিজনিত কারণে মারা যাবে।

উল্লেখ্য, ১৯৯৬ সালে যখন তালেবানগোষ্ঠী প্রথমবার আফগানিস্তানে সরকার গঠন করেছিল, তখনও বন্ধ করা হয়েছিল মেয়েদের সব মাধ্যমিক স্কুল।  ২০ বছর পর তালেবান বাহিনী কাবুল দখলের পর আবারো কো-এডুকেশন স্কুলগুলোর পাশাপাশি মেয়েদের স্কুলগুলোও বন্ধ ঘোষণা করা হয়। ফলে ব্যাপক অনিশ্চয়তা সৃষ্টি হয়ে দেশটির নারীশিক্ষা ব্যবস্থায়।