• মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ৫ ১৪৩০

  • || ০৮ রমজান ১৪৪৫

ইন্দোনেশিয়ার নতুন রাজধানী ‘নুসানতারা’ 

– নীলফামারি বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ১৯ জানুয়ারি ২০২২  

ইন্দোনেশিয়ার পার্লামেন্টে দেশটির নতুন রাজধানী নির্মাণের বিল পাশ হয়েছে। জাকার্তা থেকে সরিয়ে বোর্নিও আইল্যান্ডে হচ্ছে দেশটির নতুন রাজধানী। পাশ হওয়া বিলে নতুন রাজধানীর নামকরণ হয়েছে ‘নুসানতারা’।

মঙ্গলবার পার্লামেন্টে পাশ হওয়া নতুন আইন প্রেসিডেন্ট জকো উইদোদোর উচ্চাভিলাষী ৩২ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলারের মেগাপ্রকল্প বাস্তবায়নের আইনি বৈধতা দিল।

পার্লামেন্টে বিল উত্থাপন করে পরিকল্পনা মন্ত্রী সুহার্শো মনোয়ার্ফ তার বক্তব্যে বলেন, নতুন রাজধানী দেশের শাসন ব্যবস্থার কেন্দ্র হতে যাচ্ছে। একইসঙ্গে এটি দেশের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের কেন্দ্র ও জাতির পরিচিতির প্রতীকেও পরিণত হবে।

নতুন রাজধানী হবে বোর্নিওর পূর্ব কালিমান্তান প্রদেশে। বর্তমান রাজধানী জাকার্তার প্রায় ২ হাজার কিলোমিটার উত্তর-পূর্বে এটি অবস্থিত। আর জাভা দ্বীপে অবস্থিত বর্তমান রাজধানী জাকার্তা দেশটির আর্থিক ও বাণিজ্যিক কেন্দ্র হিসেবে থাকবে।

ইন্দোনেশিয়ার বর্তমান রাজধানী জাকার্তা জলবায়ুর বিরূপ প্রভাবের শিকার। জলবায়ু পরিবর্তনজনিত কারণে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা দিন দিন বেড়ে যাওয়ায় শহরটি প্রতিবছর একটু একটু করে ডুবে যাচ্ছে জাভা সাগরে। শহরটিতে প্রায় সারাবছর বন্যা লেগে থাকে। এছাড়াও রয়েছে অধিক জনসংখ্যার চাপ। প্রায় ১ কোটি জনসংখ্যার কারণে শহরটি হয়ে গেছে ঘনবসতিপূর্ণ। ফলে দিন দিন শহরে নাগরিক সুযোগ সুবিধার ঘাটতি বাড়ছে। দেশের প্রশাসনিক কাজ চালাতে হিমশিম খাচ্ছেন কর্মকর্তারা।

এসব বিবেচনা করে ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট জকো উইদদো ২০১৯ সাল তার দেশের রাজধানী বদলের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেন। এর আগে তিন বছর টানা গবেষণা, পরীক্ষা ও জরিপ চালিয়ে রাজধানী হিসেবে বোর্নিও দ্বীপের পূর্বাংশকে বেছে নেয় দেশটির সরকার। নতুন রাজধানীকে উপযোগী করে গড়ে তুলতে খরচ হবে ৩৩ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলার। প্রায় ১০ লাখ নাগরিকের আবাসস্থল করার পরিকল্পনা রয়েছে সেখানে।

১৯৪৫ সালে নেদারল্যান্ডসের কাছ থেকে স্বাধীন হওয়ার পর থেকেই দেশটি জাকার্তার বদলে অন্য কোনো শহরকে রাজধানী করার পরিকল্পনা করে আসছিল। দেশটির প্রথম রাষ্ট্রপতি সুকর্ণও বর্তমানে নির্ধারিত এলাকায় রাজধানী বদলের চিন্তা করেছিলেন। ২০১৯ সালে প্রেসিডেন্ট উইদেদো রাজধানী বদলের ঘোষণা দেওয়ার পর তা চূড়ান্ত হয়ে যায়। এবার নতুন রাজধানী নির্মাণের আইনও পার্লামেন্টে পাশ হলো। এখন বাকি শুধু রাজধানী স্থনান্তরের আনুষ্ঠানিকতা।