• শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৫ ১৪৩০

  • || ১৮ রমজান ১৪৪৫

সর্বশেষ:
বাংলাদেশকে হুমকির মুখে ফেলেছে ক্রমবর্ধমান জলরাশি: গবেষণা উত্তরবঙ্গের মহাসড়কে চার লেন চালু, ঈদযাত্রা হবে স্বস্তির সব উন্নয়ন সহযোগীদের এক প্ল্যাটফর্মে আসা প্রয়োজন: পরিবেশমন্ত্রী বিডিএস ভূমি ব্যবস্থাপনায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনবে: ভূমিমন্ত্রী বিএনপির নিগৃহীত নেতাকর্মীদের তালিকা দিতে হবে: ওবায়দুল কাদের

চাঁদরাত রাঙা হাত

– নীলফামারি বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ২ মে ২০২২  

চাঁদরাতে হাতে মেহেদি লাগানোর প্রচলন প্রায় শত বছরের। এর অন্যতম কারণ ঈদের আগের রাতে মেহেদি লাগালে এর রঙটা থাকে টাটকা। আকাশে ঈদের চাঁদ দেখতে পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই বাড়িতে বাড়িতে শুরু হয়ে যায় মেয়েদের দলবেধে হাতে মেহেদি লাগানোর আনন্দ আয়োজন। ছোট-বড়, ধনী-গরীব—সবার মধ্যেই ঈদের আমেজ এনে দেয় রাঙা হাতের মেহেদি।

এক সময় মেহেদি পাতা বেটে তারপর হাতে লাগাতে হতো। এই ঝামেলা থেকে মুক্তি দিয়েছে বাজারের তৈরি বিভিন্ন টিউব মেহেদি। এসব টিউব মেহেদিতে আবার বৈচিত্র্যও অনেক। লাল, কালো রঙের পাশাপাশি আছে নানা রঙের গ্লিটার। একটু সচেতন থেকে নিয়ম মেনে মেহেদি দিলেই রংটা যেমন ফুটে ওঠবে তেমনই হাতের সৌন্দর্যও বাড়বে, পাশাপাশি আপনার উৎসবের আনন্দকে করে দিবে দ্বিগুণ। 

প্রথমে মেহেদি হাতে লাগানোর আগে, ঠিক যতটুকুতে মেহেদি দিবেন সেই অংশটুকু এবং তার আশপাশের অংশ ভালোভাবে পরিষ্কার করে নিতে হবে। মেহেদি দেওয়ার সময় কাপড় বা টিস্যু রাখুন, যাতে অতিরিক্ত মেহেদি লেগে গেলে দ্রুত মুছে ফেলতে পারেন। যদি আপনি ওয়াক্সিং করে থাকেন তাহলে অন্তত দুই থেকে তিন দিন পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। চেষ্টা করবেন রমজানের ২৫ রোজার মধ্যেই ওয়াক্সিং করে নিতে। ওয়াক্সিং করার পর পরই মেহেদি দিলে ত্বকের ক্ষতি হতে পারে। আর মেহেদি শুকাতে শুরু করলে সামান্য লেবুর রস এবং চিনি মিশিয়ে তুলা দিয়ে হাতে লাগালে মেহেদির রং গাঢ় হবে। আরও চেষ্টা করবেন ৭/৮ ঘণ্টা হাতে পানি না লাগাতে। 

আজকাল মেহেদি কেবল হাতের তালুতেই ঠাঁই পায় না। সৌন্দর্য প্রিয় নারীদের কনুই ছাড়িয়ে বাজুতেও মেহেদি জায়গা করে নিয়েছে। প্রতি বছরই মেহেদির নকশায় নতুন নতুন ট্রেন্ড আসে। তবে কয়েক বছর ধরে চলতে থাকা ফুল-পাতার সঙ্গে ময়ূর, কলকি, পানপাতা, চরকা, জ্যামিতিক, চেক ধাঁচের, কোনাকুনি ডিজাইনও চলছে। নকশাতে ফিউশনও করতে পারেন। 

মনে রাখবেন, বড়দের বড় হাতে ভরাট নকশার মেহেদি ভালো মানায়। আর ছোট হাতে এক পাশে লম্বালম্বি করে মেহেদির ডিজাইন করতে পারেন। সালোয়ার-কামিজ পরলে হাতের তালুতে নকশা করবেন। হতের ওপরের অংশটুকু হালকা কোনো কিছু এঁকে নিতে পারেন। কুর্তা বা লম্বা কামিজ পরলে কনুই পর্যন্ত মেহেদির নকশা না আঁকাই ভালো। আর হাতাকাটা কামিজ যদি আপনার ঈদের পোশাক হয় তাহলে বাহুতে বাজুবন্ধের মতো সুন্দর কোনা আলপনা এঁকে নিলে দারুণ লাগবে।