• বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১১ ১৪৩১

  • || ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫

সর্বশেষ:
যুদ্ধের অর্থ জলবায়ু পরিবর্তনে ব্যয় হলে বিশ্ব রক্ষা পেত- প্রধানমন্ত্রী দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ উৎপাদনের রেকর্ড মেডিকেল কলেজের ক্লাস অনলাইনে নেয়ার নির্দেশ স্বাস্থ্যমন্ত্রীর ‘গণতান্ত্রিক রীতিনীতি না মানলে জনগণই বিএনপিকে প্রতিহত করবে’ লালমনিরহাটে হত্যা মামলায় বিএনপির দুই নেতা কারাগারে

প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর পাচ্ছেন নীলফামারীর ৩১৯ অসহায় পরিবার

– নীলফামারি বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ১৯ নভেম্বর ২০২০  

মুজিববর্ষ উপলক্ষে নীলফামারীতে প্রথম পর্যায়ে প্রধানমন্ত্রীর উপহার ঘর পেতে যাচ্ছে ৩১৯ ভ‚মিহীন ও গৃহহীন পরিবার। আশ্রয়ণ প্রকল্প-২ এর আওতায় প্রথম পর্যায়ে জেলার চারটি উপজেলার ৫ কোটি ৪৫ লাখ ৪৯ হাজার টাকা ব্যয়ে খাস জমিতে সেমি আধাপাকা ঘর নির্মাণ করে দেয়া হচ্ছে তাদের। এর মধ্যে নীলফামারী সদরে ৭৫টি, জলঢাকা উপজেলায় ১২০টি, কিশোরীগঞ্জ উপজেলায় ১০০টি ও সৈয়দপুর উপজেলা ২৪টি। 

আজ বৃহস্পতিবার(১৯ নভেম্বর/২০২০) দুপুরে কিশোরগঞ্জ উপজেলার নিতাই ইউনিয়নের কাছারীপাড়ায় ঘর নির্মাণ কাজের আনুষ্ঠানিকভাবে ভিত্তি স্থাপন করেন জেলা প্রশাসক হাফিজুর রহমান চৌধুরী।

এসময় উপস্থিত ছিলেন কিশোরীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শাহ্ মোঃ আবুল কালাম বারী পাইলট, কিশোরীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রোকসানা বেগম, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মোঃ রবিউল ইসলাম বাবুল, শাপলা বেগম, কিশোরীগঞ্জ থানার ওসি আব্দুল আউয়াল, উপজেলা প্রকৌশলী মজিদুল ইসলাম, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আবুল হাসনাত সরকার প্রমুখ। 


উল্লেখ যে, এর আগে জেলা সদরের টুপামারী ও ল²ীচাপে, সৈয়দপুর উপজেলার কামারপুকুরে, জলঢাকা উপজেলার খারিজা গোলনায় জেলা প্রশাসক হাফিজুর রহমান চৌধুরী নির্মান কাজের উদ্ধোধন করেন। 

জেলা প্রশাসক হাফিজুর রহমান চৌধুরী জানান, “আশ্রয়নের অধিকার, শেখ হাসিনার উপহার” এই শ্লোগানে মুজিববর্ষের মধ্যে দেশের প্রতিটি মানুষের জন্য নিরাপদ আবাসন নিশ্চিতে কাজ করে যাচ্ছে সরকার। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশ ও প্রত্যক্ষ তত্বাবধায়নে মুজিববর্ষের মধ্যে সকল গৃহহীনদের জন্য ঘর তৈরি করে দেওয়া প্রচেষ্টা চলছে। ইতোমধ্যে নীলফামারী জেলার ৩১৯টি পরিবারের জন্য সেমি পাকা ঘর ঘর নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছে। দ্রæততম সময়ে ঘরগুলি নির্মাণ করে পরিবারগুলিকে হস্তান্তর করা হবে।

জেলা ত্রান ও পূর্নবাসন কর্মকর্তা এস এ হায়াত জানান, মুজিববর্ষ উপলক্ষে ভূমিহীন ও গৃহহীন মানুষদের পুর্ণবাসন করার লক্ষ্যে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ২০২০-২১ অর্থ বছরের আশ্রয়ণ প্রকল্প-২ এর আওতায় প্রথম পর্যায়ে ৩১৯টি পরিবার ঘর পাচ্ছেন। জেলার চারটি উপজেলার ৫ কোটি ৪৫ লাখ ৪৯ হাজার টাকা ব্যয়ে খাস জমিতে ৩১৯ ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে প্রধানমন্ত্রীর উপহার ঘর নির্মান করে দেয়া হচ্ছে। এক লাখ ৭১ হাজার টাকা ব্যয়ে পরিবার প্রতি ঘর তৈরি করে দেয়া হবে। এর মধ্যে সদরে রামনগরে ৩০, লক্ষীচাপে ২০, কুন্দপুকুরে ১৫, টুপামারীতে ১০। জলঢাকা উপজেলার কৈমারী ইউনিয়নে ৩৮টি, গোলনায় ২৭টি, শৌলমারীতে ১৫টি শিমুলবাড়ীতে ১০টি ও ধর্মপালে ১০টি। কিশোরগঞ্জ উপজেলার নিতাই ইউনিয়নে ৬০ জন ও বাহাগিলি ইউনিয়নে ৪০ জন। এবং সৈয়দপুর উপজেলার কামারপুকুর নিজবাড়ি গুচ্ছ গ্রামে ২৪টি। 

এ বিষয়ে জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি দেওয়ান কামাল আহমেদ বলেন, বর্তমান সরকার অসহায় মানুষের সরকার। অসহায় ও দুস্থদের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যা করেছেন তা অতীতে কোন সরকারের আমলে করা হয়নি। তিনি প্রত্যেক গৃহহীনের জন্য ঘর করে দিচ্ছেন, যেন কেউ গৃহহীন না থাকে। শেখ হাসিনার সরকার যতদিন ক্ষমতায় থাকবেনা অসহায়-দুস্থ মানুষের কল্যাণে কাজ করে যাবেন বলেও মন্তব্য করেন তিনি।