• শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৬ ১৪৩১

  • || ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

সর্বশেষ:
বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার অন্যতম নকশাকার বীর মুক্তিযোদ্ধা শিব নারায়ণ দাস, আজ ৭৮ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেছেন। বন্যায় দুবাই এবং ওমানে বাংলাদেশীসহ ২১ জনের মৃত্যু। আন্তর্জাতিক বাজারে আবারও বাড়ল জ্বালানি তেল ও স্বর্ণের দাম। ইসরায়েলের হামলার পর প্রধান দুটি বিমানবন্দরে ফ্লাইট চলাচল শুরু। ইসরায়েল পাল্টা হামলা চালিয়েছে ইরানে।

জলঢাকার হাফিজুর হত্যায় ব্যবহার করা হয় ৮০ টাকার ছোরা

– নীলফামারি বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ৭ জুন ২০২১  

টাকার লোভ সামলাতে না পেরে ছোরা দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করা হয় নীলফামারীর জলঢাকা শহরের হাফিজুর রহমানকে (৫৫)। গত ৩১ মে রাতে পৌনে নয়টার দিকে জলঢাকা শহরের উত্তর চেরেঙ্গা পুলের পাড় নামক এলাকার একটি আবাদি জমিতে হত্যা করা হয় তাকে। এ ঘটনায় জড়িত মূল আসামি রুবেল হোসেনকে (৩৫) গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

শনিবার (৫ জুন) রাতে গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলা থেকে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। রোববার (৬ জুন) আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। রুবেল একই এলাকার তালেব আলীর ছেলে এবং একজন কসমেটিক্স ব্যবসায়ী।

বিকেলে পুলিশ সুপার কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে হাফিজুর হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন এবং জড়িত ব্যক্তির গ্রেফতার বিষয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোখলেছুর রহমান।

হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ধারালো ছোরা, দুইটি মোবাইল ফোন, হাফিজুর রহমানের পরিহিত লুঙ্গিতে থাকা ২ লাখ ৮৫ হাজার ৩০৯ টাকা, রক্তমাখা শার্ট ও রুবেলের স্যান্ডেল উদ্ধার করা হয়।

পুলিশ সুপার মোখলেছুর রহমান জানান, হাফিজুরের ছেলে সাদেকুল ইসলাম ও আসামি রুবেল ইসলাম একই ধরনের ব্যবসা করায় রুবেলের দোকানটি চার লাখ টাকায় বিক্রির কথা ছিল সাদেকুলের কাছে। দোকান কেনার এই টাকা ছিল হাফিজুরের কাছে। বিষয়টি জানতে পেয়ে ঘটনার দিন রাত আটটার দিকে ৮০ টাকা দিয়ে একটি ছোরা কিনে চেরেঙ্গা এলাকায় কৌশলে ডেকে নেন হাফিজুরকে। পরে তাকে কুপিয়ে হত্যা করেন রুবেল। ঘটনার পর থেকে তিনি পলাতক ছিলেন।

এ ঘটনায় নিহতের ছেলে সাদেকুল ইসলাম বাদী হয়ে জলঢাকা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় ডিজিটাল প্রযুক্তির সহায়তায় শনিবার রাতে কালিয়াকৈর উপজেলার মৌচাক বস্তি থেকে গ্রেফতার করা হয় রুবেলকে।

সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার লিজা আক্তার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সাইফুল ইসলাম, জলঢাকা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোস্তাফিজার রহমান, নীলফামারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুর রউপ, গোয়েন্দা বিভাগের পরিদর্শক ফিরোজ কবির, নীলফামারী থানার পরিদর্শক(তদন্ত) মাহমুদ উন নবী উপস্থিত ছিলেন।