• শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৫ ১৪৩০

  • || ১৮ রমজান ১৪৪৫

সর্বশেষ:
বাংলাদেশকে হুমকির মুখে ফেলেছে ক্রমবর্ধমান জলরাশি: গবেষণা উত্তরবঙ্গের মহাসড়কে চার লেন চালু, ঈদযাত্রা হবে স্বস্তির সব উন্নয়ন সহযোগীদের এক প্ল্যাটফর্মে আসা প্রয়োজন: পরিবেশমন্ত্রী বিডিএস ভূমি ব্যবস্থাপনায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনবে: ভূমিমন্ত্রী বিএনপির নিগৃহীত নেতাকর্মীদের তালিকা দিতে হবে: ওবায়দুল কাদের

ডোমারে বাণিজ্যিকভাবে পালন করা হচ্ছে কাশ্মীরি ছাগল

– নীলফামারি বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ২০ জুন ২০২১  

নীলফামারীর ডোমার উপজেলায় বাণিজ্যিকভাবে পালন করা হচ্ছে নতুন জাতের কাশ্মীরি ছাগল। উপজেলার হরিণচড়া ইউপির যুবক রতন চক্রবর্তী প্রাথমিকভাবে এ জাতের আটটি ছাগল দিয়ে খামার শুরু করেছেন। ছোট ছোট ছাগলগুলো কিনে প্রাপ্ত বয়স্ক করে বিক্রি করেন তিনি। ছাগলগুলো উচ্চতায় অনেক বড় ও সুদর্শন হওয়ায় মানুষ তার খামারে দেখতে আসেন। 

রতন চক্রবর্তী জানান, বিভিন্ন জাতের ছাগল পালন করেন তিনি। আট বছর আগে সৈয়দপুর ঢেলাপীর হাটে দুই মণ ওজনের একটি ছাগল তার নজর কাড়ে। টাকার অভাবে সেদিন তিনি পছন্দ হওয়া সেই ছাগলটা কিনতে পারেন নি। বাড়ি ফিরে কোনোভাবেই স্থির হতে পারছিলেন না রতন। নিজের পালন করা দেশীয় ছয়টি ছাগল বিক্রি করে ৫৫ হাজার টাকা হাতে পান। অন্যের কাছে আরো ৪০ হাজার টাকা ধার করেন। ৯৫ হাজার টাকা নিয়ে আগেই ঠিকানা নেয়া ওই ছাগল মালিকের কাছে যান তিনি। সেখানে গিয়েও ভালো খবর ছিল না তার জন্য। কারণ ঢাকা থেকে একজন দুই মণ ওজনের কাশ্মীরি জাতের ওই ছাগলটি ৯০ হাজার টাকা দামে আগেই কিনে নিয়েছেন। ৩৮ হাজার টাকা দিয়ে কাশ্মীরি জাতের অন্য একটি এক মণ ওজনের ছাগল কিনে দুধের স্বাধ ঘোলে মেটান। এরপর অন্য জাতের ছাগল পালনে তার আগ্রহ কমে আসে। তিনি অন্য জাতের ছাগল বিক্রি করে কাশমেরি জাতের ছাগল বাড়াতে থাকেন। শখের বশে কাশ্মীরি জাতের ছাগল পালন শুরু করলেও এখন তিনি বাণিজ্যিকভাবেই এ জাতের ছাগল পালন করা শুরু করেছেন। 

ছাগলপ্রেমী রতন জানান, তার খামারে বাচ্চা হয়েছে ছয়টা। তবে প্রজননের উদ্যোগ নেয়ার পরেই বড় সমস্যায় পড়েছেন তিনি। পুরুষ ছাগল না থাকায় এ সমস্যা। সৈয়দপুরে গিয়ে পুরুষ ছাগলের বীজ দিতে হয়েছে তাকে। 

বাণিজ্যিকভাবে চাষ শুরু করায় এখন তিনি নিজেই পুরুষ ছাগল সংগ্রহ করে পালন করার উদ্দ্যোগ নিয়েছেন। একটি ছাগল এক সঙ্গে দুইটি বাচ্চা দেয়। মা ছাগল এক সঙ্গে দুই থেকে আড়াই কেজির মতো দুধ দেয় বলে তিনি জানান। 

তিনি আরো জানান, গত কোরবানীর ঈদে তিনি এক লাখ ৬৫ হাজার টাকায় দুইটি ছাগল বিক্রি করেছেন। একটি ছাগলের ওজন ৮২ কেজি অপরটির ওজন ৭৫ কেজি ছিল। ঢাকা থেকে এসে তার বাড়ি থেকে ছাগল দুইটি কিনে নিয়ে যায় বলে তিনি জানান। এবার কুরবানীর ঈদে বিক্রির জন্য তিনি চারটি ছাগল পালন করেছেন। দুই বছর বয়সের একটি ছাগলকে প্রতিদিন ১০০ টাকার খাবার দিতে হয়। 

চোপড়, ভুসি, ভুট্টার গাছ এ ছাগলগুলোর খুব পছন্দ। তবে চৌকির ওপর আরামে ঘুমায় বিদেশি জাতের ওই ছাগলগুলো। আক্রমণাত্বক হওয়ায় সবসময় বেঁধে রাখতে হয়। ছাড়া পেলেই মানুষের ক্ষেত একবারেই নষ্ট করে দেয়। বড় ধরনের কোনো অসুখ না হলেও অসুখ লেগেই থাকে। জ্বর ও ক্ষুদামন্দা বেশী হয়। ওষুধ দিলেই আবার অল্প সময়ের মধ্যে সুস্থও হয়ে উঠে। 

উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. মোজাম্মেল হক জানান, কাশ্মীরি জাতের ছাগলগুলো অনেক বেশী ওজনের হয়। খামারি রতন ছাগলগুলোর অসুখ হলে আমাদের কাছে নিয়ে আসেন। আমরা চিকিৎসা দেই। পিপিআই না হলে শুধুমাত্র জ্বর, ক্ষুদামন্দা এ অসুখগুলো তেমনটা প্রভাব ফেলতে পারে না।