• শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৫ ১৪৩০

  • || ১৮ রমজান ১৪৪৫

সর্বশেষ:
বাংলাদেশকে হুমকির মুখে ফেলেছে ক্রমবর্ধমান জলরাশি: গবেষণা উত্তরবঙ্গের মহাসড়কে চার লেন চালু, ঈদযাত্রা হবে স্বস্তির সব উন্নয়ন সহযোগীদের এক প্ল্যাটফর্মে আসা প্রয়োজন: পরিবেশমন্ত্রী বিডিএস ভূমি ব্যবস্থাপনায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনবে: ভূমিমন্ত্রী বিএনপির নিগৃহীত নেতাকর্মীদের তালিকা দিতে হবে: ওবায়দুল কাদের

তিস্তার প্রধান বাধ হুমকীর মুখে

– নীলফামারি বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ৯ জুলাই ২০২১  

তিস্তা নদীতে বন্যা দেখা দিয়েছে। উজনের ঢলের পানির তোড়ে নীলফামারীর ডাউয়াবাড়ি এলাকায় ডানতীর প্রধান বাধ হুমকীর মুখে পড়েছে। আজ শুক্রবার(৯ জুলাই) নীলফামারীর ডালিয়া তিস্তা ব্যারাজের খালিশাচাপানী পয়েন্টে তিস্তা নদীর পানি বিপৎসীমার (৫২.৬০) ১০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। এর আগে বৃহস্পতিবার রাত ৯টায় বিপৎসীমার ২০ সেন্টিমিটার উপরে ছিল। সকাল ৯টায় ১০ সেন্টিমিটার পানি কমলেও নদীর চরগ্রামগুলো প্লাবিত হয়ে পড়েছে।

এদিকে তিস্তার বন্যায় নীলফামারী জেলার ডিমলা ও জলঢাকা উপজেলার ৮টি ইউনিয়নের ২২টি চরের ৫ হাজার পরিবার বন্যা কবলিত হয়েছে। চরের পরিবারগুলি জানায়, রাত ৯টায় পানি গ্রামে প্রবেশ করতে শুরু করে। সকালে পরিবারসহ উঁচু স্থানে আশ্রয় নিয়েছি। 

ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা পূর্বাভাস ও সর্তকীকরণ সূত্র জানায়, উজানের ঢলে তিস্তায় বন্যা সৃস্টি করেছে। তিস্তা ব্যারাজের ৪৪ জলকপাট খুলে রাখা হয়েছে। 

ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল-মামুন বলেন, উজানের ঢলের কারনে তিস্তা নদীর পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করায় ডাউয়াবাড়ি এলাকার ডানতীর প্রধান বাধ হুমকীর মুখে পড়েছে। বাধ রক্ষায় সেখানে বালির বস্তা, কাঠের ও বাঁশের পাইলিং করা হচ্ছে।  তিনি বলেন, বেলা ৩টায় ডালিয়া পয়েন্টে তিস্তার পানি বিপৎসীমার ৭ সেন্টিমিটার  নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল।

ডিমলা উপজেলার টেপাখড়িবাড়ি ইউপি চেয়ারম্যান ময়নুল হক জানান, গত কয়েকদিন থেকে টানা বৃষ্টি হচ্ছে। এতে বন্যা কবলিত হয়ে পড়া মানুষজনকে সরিয়ে নিতে কষ্ট পেতে হচ্ছে। রাতে পূর্ব খড়িবাড়ি, পশ্চিম খড়িবাড়ি, ঝিঞ্জির পাড়া বেশকিছু গ্রামের প্রতিটি বাড়ি হাঁটু থেকে কোমর পানিতে তলিয়ে যায়।  তার এলাকার চরখড়িবাড়ি মৌজাটি চরম ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে। সেখানকার স্বেচ্ছাশ্রম বাধটি এখন হুমকীর মুখে। সেখানে বালুর বস্তা ঠেক দিয়ে বাধটি রক্ষার চেষ্টা চলছে। এই বাঁধটি ভেঙ্গে গেলে চরখড়িবাড়ি মৌজার ২ হাজার পরিবারের বসতভিটা তলিয়ে যেতে পারে।

নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার ৭ ইউনিয়ন, পূর্ব ছাতনাই, খগাখড়িবাড়ি, গয়াবাড়ি, টেপাখড়িবাড়ি, খালিশা চাঁপানী ও ঝুনাগাছ চাঁপানীর ইউপি চেয়ারম্যানগণ জানান, উজানের ঢলে তিস্তার বন্যায় ডিমলার কিছামত ছাতনাই, ঝাড় শিঙ্গেশ্বর, চর খড়িবাড়ি, পূর্ব খড়িবাড়ি, পশ্চিম খড়িবাড়ি, তিস্তা বাজার, তেলির বাজার, ছোটখাতা বাইশ পুকুর, ছাতুনামা, ভেন্ডাবাড়ি এলাকার পরিস্থিতি খারাপ হওয়ায় সেখানকার মানুষজন গরু ছাগল নিয়ে নিরাপদে সরে গেছে।