সৈয়দপুরে পুত্র সন্তান বিক্রির অভিযোগ উঠেছে বাবা-মায়ের বিরুদ্ধে   

নীলফামারীর সৈয়দপুরে ২০ হাজার টাকায় নবজাতক পুত্র সন্তান বিক্রির অভিযোগ উঠেছে বাবা-মায়ের বিরুদ্ধে। খবর পেয়ে পুলিশ নবজাতককে উদ্ধার করেছে। মঙ্গলবার সকালে নীলফামারীর সৈয়দপুর ১০০ শয্যা হাসপাতালে ঘটনাটি ঘটেছে।

তবে ওই মা-বাবার দাবি, এটি তাদের তৃতীয় সন্তান। বিক্রি নয়, নবজাতকের সম্পর্কের এক খালার পুত্র সন্তান না থাকায় তাকে লালন-পালন করার জন্য দেওয়া হয়।

হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, শহরের নিচু কলোনি এলাকার মো. নাদিমের স্ত্রী জোসনা বেগম (৩২) প্রসব বেদনা নিয়ে সকাল সোয়া ৭ টার দিকে সৈয়দপুর ১০০ শয্যা হাসপাতালে ভর্তি  হয়। সাড়ে ৮টার দিকে হাসপাতালের গাইনি ওয়ার্ডে এক পুত্র সন্তান প্রসব করে। এর কিছুক্ষণ পর ওই হাসপাতালের গাইনি বিভাগের চিকিৎসক মাসুদা আফরোজ পরিদর্শনে গিয়ে দেখেন মায়ের কাছে নবজাতক নেই। তিনি বিষয়টি হাসপাতাল তত্ত্বাবধায়ককে জানান।

হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা শহরের কুন্দল এলাকার রফিক মিয়ার মাধ্যমে জানতে পারেন, হাসপাতালে মূল গেটে নবজাতকের বাবা একজন নারীর কাছ থেকে এক বান্ডিল টাকা নিয়ে নবজাতককে এক নারীর কোলে তুলে দেন।

বিষয়টি জানাজানি হলে সৈয়দপুর সদর পুলিশ ফাঁড়ির কর্মকর্তা আব্দুর রহিম দ্রুত ঘটনাস্থলে ছুটে যান। পরে সৈয়দপুর শহরের নিচু কলোনি মহল্লার খায়রুল ইসলামের স্ত্রী সহযোগী লিমা আকতারের কাছ থেকে উদ্ধার হয় ওই নবজাতক।

নবজাতকের মা জোসনা বেগম জানান, এটি আমাদের তৃতীয় সন্তান। তাকে লালন-পালন করার সামর্থ্য আমাদের নেই। জামিলা খাতুন আমার ফুফাতো বোন। তার কোনো পুত্র সন্তান না থাকায় আমার নবজাতক পুত্রকে  তাকে স্বেচ্ছায় দিয়েছি। জামিলা আমার চিকিৎসার খরচ বাবদ ২০ হাজার টাকা দিয়েছে।

হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. নবিউর রহমান জানান, সকাল ১০টার দিকে ঘটনাটি জানতে পেরে হাসপাতালে ভর্তি নবজাতকের মা জোসনা বেগমকে তার নবজাতক কোথায় তা জানতে চাওয়া হয়। জোসনা বেগম বলেন, ওর বাবা বাইরে নিয়ে গেছে। পরে বিষয়টি পুলিশ প্রশাসনকে জানানো হয়।

সৈয়দপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল হাসনাত খান জানান, খবর পেয়ে আমাদের পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থল উপস্থিত হয়ে নিখোঁজ নবজাতককে উদ্ধার করে। নবজাতক বিক্রির বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।