• মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১০ ১৪৩১

  • || ১৩ শাওয়াল ১৪৪৫

সর্বশেষ:
যুদ্ধের অর্থ জলবায়ু পরিবর্তনে ব্যয় হলে বিশ্ব রক্ষা পেত- প্রধানমন্ত্রী দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ উৎপাদনের রেকর্ড মেডিকেল কলেজের ক্লাস অনলাইনে নেয়ার নির্দেশ স্বাস্থ্যমন্ত্রীর ‘গণতান্ত্রিক রীতিনীতি না মানলে জনগণই বিএনপিকে প্রতিহত করবে’ লালমনিরহাটে হত্যা মামলায় বিএনপির দুই নেতা কারাগারে

নীলফামারীর পূজা মণ্ডপগুলোতে উৎসবের আমেজ

– নীলফামারি বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ২২ সেপ্টেম্বর ২০২১  

নীলফামারীর পূজা মণ্ডপগুলোতে লেগেছে উৎসবের আমেজ। কারিগররা পরম স্নেহে গড়ে তুলছেন কাদামাটির অবয়ব। একে একে সেখানে ফুটে উঠছে দেবী দুর্গার চেহারা। সঙ্গে আছে অসুর, সিংহ, মহিষ, গণেশ, সরস্বতী, কার্তিক ও লক্ষ্মীর প্রতিমাও।

জেলার বিভিন্ন পূজামণ্ডপ ঘুরে দেখা যায়, প্রতিমা তৈরিতে মাটির সব কাজ এরই মধ্যে শেষ করেছেন কারিগররা। কোথাও কোথাও প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে রং করার। এঁটেল মাটি, বাঁশ, কাঠ, খড়, পাটের আঁশ ও রং দিয়ে প্রতিমার সৌন্দর্যবর্ধনের কাজ চলছে। প্রতিমাগুলোকে পূজামণ্ডপে তোলার উপযোগী করতে দিনরাত কাজ করছেন মৃৎশিল্পীরা।

কয়েকজন কারিগরের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বৃষ্টির কারণে অনেক সময় কাজ করতে কষ্ট হলেও বসে নেই তারা। কাজের পুরো সময়ে প্রতিমা যেন বৃষ্টিতে না ভেজে সেদিকে রাখতে হয়েছে বিশেষ নজর।

তারা আরও জানান, বিগত বছরগুলোর তুলনায় এ বছর পারিশ্রমিক একটু বেশি। প্রতিমাভেদে ধরা হয়েছে ২০ হাজার থেকে এক লাখ টাকারও বেশি মজুরি।

কালীবাড়ি পূজামণ্ডপের পুরোহিত অশোক ভট্টাচার্য জানান, তাদের পূজামণ্ডপে প্রতিমা তৈরি করতে মাটির কাজ সব শেষ। এখন শুরু হবে রঙের কাজ। এরপরই শুরু হবে প্রতিমার পোশাক আর গহনার কাজ।
তিনি আরও বলেন, ‘আশ্বিন মাসের ২৪ তারিখ থেকে শুরু হবে পূজা। আশা করছি এই সময়ের মধ্যে সব কাজ শেষ হয়ে যাবে।’

মধ্যকাচারি পূজামণ্ডপের সভাপতি স্বপন অধিকারী জানান, পুরোদমে পূজার প্রস্তুতি নিচ্ছেন তারা। সরকারি নির্দেশনা এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে পূজা পালনের সব প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।

জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি অ্যাডভোকেট অক্ষয় কুমার রায় জানান, কেন্দ্রীয় পূজা উদযাপন কমিটির পক্ষ থেকে বেশকিছু নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। তার পরিপ্রেক্ষিতে জেলাগুলোতেও এ নির্দেশনা জানানো হয়েছে। লাউড স্পিকারের হিন্দি গান বাজানো নিষিদ্ধ করা হয়েছে। সেই সঙ্গে আলোকসজ্জা থেকেও বিরত থাকতে বলা হয়েছে।

তিনি বলেন, ‘আমাদের পূজা যথাযথভাবে পালন করতে হবে। এর কোনো বিকল্প নেই। সেজন্য যে বিষয়গুলো পালন না করলে নয় সেগুলো তো বাদ দেওয়া যাবে না। যেমন আরতির সময় ঢাকের যে বাজনা তা বাদ দেওয়া যাবে না। সব মিলিয়ে জেলার বিভিন্ন পূজা কমিটি তাদের প্রস্তুতি চালিয়ে যাচ্ছে।’

সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, মহালয়ার মধ্য দিয়ে দেবী দুর্গার আগমন ঘটবে মর্ত্যলোকে। মহাপঞ্চমী তিথিতে দেবীর বোধনের মধ্যমে শুরু হবে দুর্গোৎসব।