• বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১১ ১৪৩১

  • || ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫

সর্বশেষ:
যুদ্ধের অর্থ জলবায়ু পরিবর্তনে ব্যয় হলে বিশ্ব রক্ষা পেত- প্রধানমন্ত্রী দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ উৎপাদনের রেকর্ড মেডিকেল কলেজের ক্লাস অনলাইনে নেয়ার নির্দেশ স্বাস্থ্যমন্ত্রীর ‘গণতান্ত্রিক রীতিনীতি না মানলে জনগণই বিএনপিকে প্রতিহত করবে’ লালমনিরহাটে হত্যা মামলায় বিএনপির দুই নেতা কারাগারে

নীলফামারীতে নানা কৌশলে ফাঁদ পেতে বক শিকার

– নীলফামারি বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২১  

নীলফামারীতে নানা কৌশলে ফাঁদ পেতে অবাধে শিকার করা হচ্ছে বক। পরিবেশ ও জীববৈচিত্র রক্ষায় পাখি শিকার নিষিদ্ধ হলেও তা মানছে না শিকারিরা। ফলে ফাঁদে আটকা পড়ে প্রতিদিন মারা পড়ছে শত শত বক। এলাকাবাসীর অভিযোগ, সঠিক নজরদারি ও জনসচেতনতার অভাবে পাখি শিকার বেড়েছে।

বন বিভাগ সূত্র জানায়, বর্ষার পর নদী-নালা ও খাল-বিলের পানি কমতে থাকে। এ সময় আমন ধানের জমিতে ছোট মাছ ও পোকা-মাকড় খেতে আসে বিভিন্ন প্রজাতির বক। এই সুযোগে শিকারিরা বক শিকার করে স্থানীয় হাটবাজারে ও পাড়া-মহল্লায় বিক্রি করছে। বিশেষ করে এ সময় বকের প্রজননকাল হওয়ায় ধরা পড়ছে ছানা বকগুলো।

স্থানীয় শিকারি সুজন মিয়া জানান, ‘দেশীয় ফাঁদে বক ধরে বিক্রি করি। এবার করোনা মহামারি ও ভাদ্র-আশ্বিন মাসে হাতে কাজ না থাকায় বক ধরে বিক্রি করছি।’ আরিফ নামে এক শিকারি বলেন, ‘বাড়িতে বসে না থেকে ভাইয়ার সঙ্গে বক ধরতে এসেছি। দুই ভাই পাখি শিকার করে সংসার চালাই।’ নীলফামারী বন বিভাগ কর্মকর্তা মাহবুবর রহমান জানান, এ ব্যাপারে উপজেলা প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলে মাইকিংয়ের ব্যবস্থা করা হবে। মানুষ সচেতন হলে এ ধরনের পাখি শিকার বাড়তো না। সব সময় আইন দিয়ে সবকিছু করা যায় না। নীলফামারী জেলা প্রশাসক হাফিজুর রহমান চৌধুরী জানান, পাখি শিকার জীববৈচিত্রের জন্য ক্ষতিকর। পাখি ক্রয় ও বিক্রয় দুইটাই দণ্ডনীয় অপরাধ। পাখি শিকার বন্ধে গ্রাম-গঞ্জ ও হাট-বাজারে নজরদারি চলছে।