• শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৭ ১৪৩১

  • || ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

সর্বশেষ:
বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার অন্যতম নকশাকার বীর মুক্তিযোদ্ধা শিব নারায়ণ দাস, আজ ৭৮ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেছেন। বন্যায় দুবাই এবং ওমানে বাংলাদেশীসহ ২১ জনের মৃত্যু। আন্তর্জাতিক বাজারে আবারও বাড়ল জ্বালানি তেল ও স্বর্ণের দাম। ইসরায়েলের হামলার পর প্রধান দুটি বিমানবন্দরে ফ্লাইট চলাচল শুরু। ইসরায়েল পাল্টা হামলা চালিয়েছে ইরানে।

কিশোরগঞ্জে পোকা ও ইঁদুর দমনে কীটনাশকের পরিবর্তে মেহগনির তেল!     

– নীলফামারি বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২১  

নীলফামারীর কিশোরগঞ্জে কৃষি জমিতে পোকা ও ইঁদুর দমনে কীটনাশকের পরিবর্তে মেহগনির তেল ব্যবহার করছেন কৃষকরা। নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতে প্রাকৃতিক পদ্ধতিতে তৈরি এ তেল ব্যবহার করে সুফলও পাচ্ছেন তারা। এতে দমন হচ্ছে ক্ষেতের পোকা ও ইঁদুর। একই সঙ্গে হচ্ছেন স্বাবলম্বীও।

সরেজমিনে দেখা গেছে, বাড়ির আঙিনায় বসে মেহগনির ফল থেকে বিচি সংগ্রহ করছেন কয়েকজন নারী-পুরুষ। আবার কেউ কেউ তা গুঁড়া করছেন। সেই গুঁড়া প্রক্রিয়াজাতের মাধ্যমে বিশেষ তেল প্রস্তুত করছেন তারা। এরপর সেই তেল স্প্রে মেশিনে পানির সঙ্গে মিশিয়ে ধানক্ষেতে কীটনাশকের বিকল্প হিসেবে ছিটিয়ে দিচ্ছেন।

প্রাকৃতিক পদ্ধতিতে এমন কীটনাশক তৈরিতে কৃষকদের সহযোগিতা করছেন উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা তুষার কান্তি রায়। তিনি বলেন, দেশে খাদ্য স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়েছে ঠিকই, কিন্তু নিরাপদ খাদ্য উৎপাদনে ঘাটতি রয়েছে। নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করতে হলে জৈব কীটনাশক ছাড়া উপায় নেই। সরকারের প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে এ উপজেলার কৃষকদের কীটনাশকের বিকল্প ব্যবহার করার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। পরামর্শ অনুযায়ী তারা কাজও করছেন। ফলে ক্ষেতের পোকা দমনে একদিকে যেমন খরচ কমছে অপরদিকে অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হচ্ছেন কৃষকরা। পাশাপাশি নিরাপদ খাদ্য উৎপাদন করছেন।

পুটিমারী ইউনিয়নের কালিকাপুর গ্রামের কৃষক আবদুল কাইয়ুম জানান, পোকামাকড়ের পাশাপাশি ধানের ব্যাপক ক্ষতি করে ইঁদুর। তাই এবার প্রথমবারের মতো জমিতে মেহগনির তেল ছেটানোর পর ইঁদুর আক্রমণ করতে পারেনি। জমিতে কীটনাশক ছেটানোর সময় অনেক সর্তকতা অবলম্বন করতে হয়। ছেটানোর সময় নাক-মুখ ঢাকতে হয়। নইলে স্বাস্থ্যের ক্ষতি হয়। মেহগনির তেল ব্যবহারে এসব সমস্যা হয় না। এছাড়া মেহগনির তেল ব্যবহারের কারণে এ খরচ কমে গেছে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হাবিবুর রহমান বলেন, খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনের পর এখন সরকারিভাবে নিরাপদ খাদ্য উৎপাদনে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। ধীরে ধীরে ফসলে কীভাবে কীটনাশকের বিকল্প ওষুধ ব্যবহার করা যায় সেজন্য আমাদের কৃষি দফতর বিভিন্ন কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করছে। সেক্ষেত্রে এ ধরনের জৈব পদ্ধতি নিঃসন্দেহে নিরাপদ খাদ্য উৎপাদনের একটি অনুষঙ্গ। ধীরে ধীরে কৃষকদের ওই পদ্ধতিতে অভ্যস্ত করানোর চেষ্টা করা হবে।