উত্তরা ইপিজেডে ডুয়েলগেজ রেললাইন স্থাপন করা হবে- রেলপথ মন্ত্রী   

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতিশ্রæত মোংলা ও চট্রগ্রাম সমুদ্র বন্দর এবং চিলাহাটি-হলদিবাড়ি রেলপথে আমদানী রপ্তানী বৃদ্ধিকল্পে নীলফামারীর উত্তরা ইপিজেডে বসানো হবে ডুয়েজগেজ রেলপথ। পাশাপাশি ইপিজেড সংলগ্ন খয়রাত নগর রেলষ্টেশনে নির্মান করা হবে ইনল্যান্ড কনটেইনার ডিপো (আইসিডি)। এতে দেশের শিল্প রপ্তানী ও আমদানীতে আরও এক নতুন উন্নয়নের রূপ দেখতে পারবে উত্তরবঙ্গের মানুষ। 

বৃহস্পতিবার(৭ অক্টোবর/২০২১) দুপুরে নীলফামারীর উত্তরা ইপিজেডের এ বিষয়ে বেপজা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে এক বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ কথা জানান রেলপথমন্ত্রী এ্যাডঃ নুরুল ইসলাম সুজন এমপি। 

এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, নীলফামারী-২ (সদর) আসনের সংসদ সদস্য আসাদুজ্জামান নূর, নীলফামারী-৪ (সৈয়দপুর-কিশোরীগঞ্জ) আসনের সংসদ সদস্য আহসান আদেলুর রহমান আদেল, জেলা প্রশাসক হাফিজুর রহমান চৌধুরী, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (নীলফামারী সার্কেল) এ.এস.এম মুক্তারুজ্জামান, পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের মহাব্যবস্থাপক মিহির কান্তি গুহ, রেলওয়ের প্রধান প্রকৌশলী মনিরুল ইসলাম ফিরোজী, প্রধান যন্ত্র প্রকৌশলী (সিএমই) মুহাম্মদ কুদরত-ই খুদা ও পাকশী রেলওয়ে বিভাগের ব্যবস্থাপক (ডিআরএম) শাহিদুল ইসলাম। 

উত্তরা ইপিজেডের অতিরিক্ত মহা ব্যবস্থাপক শরিফুল ইসলামের সভাপতিত্বে ওই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে রেলমন্ত্রীর সহধর্মীনী সাম্মী আক্তারও উপস্থিত ছিলেন।

রেলমন্ত্রী আরও জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দিক নির্দেশনায় বাংলাদেশ রফতানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল কর্তৃপক্ষ- বেপজা ও রেল মন্ত্রণালয়ের ইতিবাচক মনোভাবের কারণে আমরা অচিরেই একটি জরিপ কাজ পরিচালনা করবো। বৈঠকে জানানো হয়েছে উত্তরা ইপিজেডের থেকে মাত্র ৫৮০ মিটার অদূরে খয়রাত নগর রেলস্টেশন রয়েছে। সেখানেই বড় পরিসরে ইনল্যান্ড কনটেইনার ডিপো (আইসিডি) কন্টেইনার ডিপো নির্মাণ করা হবে। সেই সঙ্গে উত্তরা ইপিজেডের সঙ্গে রেললাইন স্থাপন করা হবে। 

মন্ত্রী জানান, উত্তরা ইপিজেড ও খয়রাত নগর রেলষ্টেশন এলাকায় রেলের নিজস্ব ১৩ একর জমি রয়েছে। এখানে আরও কিছু জমির প্রয়োজন হবে যা জেলা প্রশাসনের মাধ্যমে অধিগ্রহন করা হবে। চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের পর আগামী বছর এই নির্মান কাজ শুরু করবে রেল।
সূত্র মতে, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০০১ সালের পহেলা মঙ্গা দুরীকরনে ১ জুলাই নীলফামারী সদরের সোনারায় সংগলশী এলাকায় ২১৩.৬৬ একর জমির ওপর উত্তরা ইপিজেড তৈরী করেছিলেন। বর্তমানে ২৪টি কারখানায় ৭০ ভাগ নারী সহ ৩১ হাজার শ্রমিক কাজ করছে। এখানে ১১টি বিদেশী ও ১৩টি দেশী শিল্পকারখানা রয়েছে।