• বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১০ ১৪৩১

  • || ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫

সর্বশেষ:
যুদ্ধের অর্থ জলবায়ু পরিবর্তনে ব্যয় হলে বিশ্ব রক্ষা পেত- প্রধানমন্ত্রী দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ উৎপাদনের রেকর্ড মেডিকেল কলেজের ক্লাস অনলাইনে নেয়ার নির্দেশ স্বাস্থ্যমন্ত্রীর ‘গণতান্ত্রিক রীতিনীতি না মানলে জনগণই বিএনপিকে প্রতিহত করবে’ লালমনিরহাটে হত্যা মামলায় বিএনপির দুই নেতা কারাগারে

ভারত ও বাংলাদেশের যাত্রীবাহী ট্রেন চলবে চিলাহাটি স্টেশন দিয়ে     

– নীলফামারি বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ২ ডিসেম্বর ২০২১  

নীলফামারীর ডোমার উপজেলার ভোগডাবুড়ী ইউনিয়নে অবস্থিত চিলাহাটি স্টেশন। উত্তরাঞ্চলের শেষ রেলওয়ে স্টেশন চিলাহাটি-হলদিবাড়ি রেলপথে মালবাহী রেলগাড়ী চলাচল করলেও প্রায় এক বছর থেকে পাইল ক্যাপের ওপর ৯২টি পিলারের রড নিয়ে থমকে আছে চিলাহাটি স্থলবন্দরের আধুনিক রেল স্টেশনের কাজ। স্টেশনের মূল দ্বিতল আধুনিক ভবণ নির্মাণের জন্য ১৭৫টি পাইলিং কাজের পর থেকে রেল স্টেশনের সব কাজ বন্ধ রয়েছে।

চিলাহাটি স্টেশনের কাজগুলো শেষ হলেই এই রেলপথ দিয়ে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে নতুন যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল করবে। কাজ শেষ না হওয়ায় দুই দেশের বিশাল জনগোষ্ঠী রেলওয়ে সেবা হতে বঞ্চিত হচ্ছে এবং ব্যবসা-বাণিজ্যে ক্রমান্বয়ে পিছিয়ে পড়ছে। বাংলাদেশের মোংলা পোর্ট হয়ে নেপাল-ভুটানের মধ্যে আমদানি ও রপ্তানি কার্যক্রম পরিচালনার জন্য যোগাযোগ অবকাঠামো মনোনয়নের মাধ্যমে বাণিজ্যিক সুবিধা জোরদারের লক্ষ্যে ২০১৯ সালের ২৭ জুন চিলাহাটি স্টেশনের কাজ শুরু করা হয়।

চিলাহাটি-হলদিবাড়ি রেল সংযোগ স্থাপনের পর ২০২০ সালের ১৭ ডিসেম্বর মালবাহী ও ২০২১ সালের ২৭ মার্চ যাত্রীবাহী রেলগাড়ী চলাচলের উদ্বোধন করেন দুই দেশের প্রধানমন্ত্রী।

ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ম্যাক্স ইনফ্রাসট্রাকচারের প্রকল্প ব্যবস্থাপক রোকনুজ্জামান সিয়াব বলেন, প্রায় ২০ কোটি টাকার অতিরিক্ত কাজ করা হয়েছে। বাড়তি প্রকল্পর কাজগুলো ডিপিপি থেকে আরডিপি না হওয়ায় নতুন করে অর্থ সংস্থান হচ্ছে না তাই কাজ বন্ধ রাখা হয়েছে। জমি অধিগ্রহণ না হওয়ায় জমির মালিকদের বাধার মুখে দাঁড়িয়ে আছে লুপ লাইন বসানোর কাজ।

জমির মালিক রুমান মালেক বসুনীয়া বলেন, শুরু থেকে রেলওয়ের কাজের জন্য আমরা জমি দিতে প্রস্তুত আছি। ইতোমধ্যে মালিকানা পুকুরগুলো ভরাট করাও হয়েছে। জমির ওপর থেকে অনেক স্থাপনা সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। আমরা এখন পর্যন্ত জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে কোনো নোটিশ পাইনি। এখন ক্ষতিপূরণ পেলেই আমাদের আর কোনো বাধা থাকবে না।

পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের পাকশী ডিভিশনের প্রকৌশলী-২ প্রকল্প পরিচালক আব্দুর রহীম বলেন, কয়েকটি কাজ ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমোদন বাকি আছে। অনুমোদন পেলেই কাজ শুরু করা হবে।