• বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১২ ১৪৩১

  • || ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

সর্বশেষ:
ছয়দিনের সফরে ব্যাংককে পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী গরমে ‘অতি উচ্চ ঝুঁকিতে’ বাংলাদেশের শিশুরা: ইউনিসেফ গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা: বেরোবি কেন্দ্রের পরীক্ষার্থী ৩১ হাজার ৯৪৬ জন বাংলাদেশ-ভারত ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করবে: ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী কাতারের আমিরের সফরে যা পেল বাংলাদেশ

সুপার ফুড চিয়া ও কিনোয়ার চাষ শুরু হয়েছে নীলফামারীতে

– নীলফামারি বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ১৭ জানুয়ারি ২০২২  

উচ্চ পুষ্টিমান সমৃদ্ধ ও সারাবিশ্বে সুপার ফুড হিসেবে পরিচিত চিয়া ও কিনোয়ার চাষ শুরু হয়েছে নীলফামারীতে। জেলার কিশোরগঞ্জ উপজেলার মাগুড়া ইউনিয়নের শাহাজান আলী নামের এক কৃষক এই চাষ শুরু করেছেন। 

সরেজমিনে  গিয়ে দেখা যায় তিনি নিজ এলাকা মাস্টারপাড়ায় নিজের ২০ শতাংশ জমিতে চাষ করেছেন কিনোয়া ও চিয়া যা ইতিমধ্যে ঘরে তোলার জন্য প্রস্তুত। 

উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সুত্র বলছে, কিনোয়া একটি অত্যন্ত উচ্চ প্রোটিন সম্পন্ন খাবার। এক কাপ কিনোয়ায় ৮ থেকে ১০ গ্রাম পর্যন্ত প্রোটিন পাওয়া যায়।  এছাড়াও কিনোয়া হচ্ছে একমাত্র উদ্ভিজ্জ প্রোটিন উৎস, যাতে ৯ ধরনের এসেনশিয়াল অ্যামিনো অ্যাসিড উপস্থিত আছে। যা মানব দেহের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ। 

পাশাপাশি চিয়া সীডের মধ্যে রয়েছে অধিক পরিমানে পুষ্টি গুন। ভিটামিন-সি আয়রন, ক্যালসিয়াম সহ নানা পুষ্টিগুন থাকায় এটি বিশ্বের সুপার ফুডের ১ম তালিকায় রাখা হয়েছে।এসব খাদ্য অধিক পুষ্টিকর উপাদানে পরিপূর্ণ এবং স্বাস্থ্যকর হওয়ায় মহাকাশযানের নভোচারিরা এই খাদ্য গ্রহন করে বলে জানান কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর। এছাড়াও অপুষ্টি ও দারিদ্র্য থেকে মুক্তির দুয়ার খুলে দিতে পারে এই ফসল এমন কথাই বলছে কৃষিবিদরা।

কৃষক শাহাজান আলী জানান, আমি এই চাষাবাদ সম্পর্কে জানতে পেয়ে উপজেলা কৃষি অফিস থেকে প্রথমে বীজ সংগ্রহ করি। তার পর পরিক্ষামুলক ভাবে ২০ শতাংশ জমিতে এটি চাষ করি। আমার এই চাষ দেখে প্রথমে স্থানীয় চাষিরা হাসি ঠাট্রা করলেও পরে তারা এর দাম ও গুনাবলি জেনে এই চাষে আগ্রহ প্রকাশ করছে। তবে বিক্রি করব কিভাবে কারা কিনবে এই নিয়ে শঙ্কায় রয়েছি।

উপজেলা কৃষি অফিসার হাবিবুর রহমান জানান,  পুষ্টিপরিপুরক আর অধিক মান সম্পন্ন হওয়ায় বহির্বিশ্বের এর চাহিদা অনেক বেশি। আশা করি আমাদের দেশে যদি এটি চাষ হয় তাহলে আমাদের দেশের পুষ্টিঅভাব দূর হবে। যেহেতু এই চাষাবাদ প্রক্রিয়া অনেক সহজ এবং ৩ মাসেই ঘরে তোলা সম্ভব তাই আমরা সামনে যেন এই চাষের পরিধি বৃদ্ধি পায় সে বিষয়ে কাজ করছি। 

তিনি বলেন, যেহেতু এই খাদ্য বা চাষাবাদ বাংলাদেশে নেই বললেই চলে খুব কম তবে বিভিন্ন সুপার সপে এর চাহিদা রয়েছে এটি বাজারজাতকরনে আমরা যোগাযোগ করছি।