• শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৫ ১৪৩০

  • || ১৮ রমজান ১৪৪৫

সর্বশেষ:
বাংলাদেশকে হুমকির মুখে ফেলেছে ক্রমবর্ধমান জলরাশি: গবেষণা উত্তরবঙ্গের মহাসড়কে চার লেন চালু, ঈদযাত্রা হবে স্বস্তির সব উন্নয়ন সহযোগীদের এক প্ল্যাটফর্মে আসা প্রয়োজন: পরিবেশমন্ত্রী বিডিএস ভূমি ব্যবস্থাপনায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনবে: ভূমিমন্ত্রী বিএনপির নিগৃহীত নেতাকর্মীদের তালিকা দিতে হবে: ওবায়দুল কাদের

ডোমারে তৈরি পরচুলা যাবে দেশের বিভিন্ন এলাকায়  

– নীলফামারি বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২২  

নীলফামারীর ডোমারে তৈরি পরচুলা যাবে দেশের বিভিন্ন এলাকায়। রপ্তানি হতে পারে চীনেও। আর এই লক্ষ্য সামনে রেখে একশ জন নারী শ্রমিক নিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে পরচুলা তৈরির কাজ শুরু হয়েছে।

‘মেসার্স মা উইগস্ ইন্টারন্যাশনাল’ নামের পরচুলা প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান এই কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে। শনিবার দুপুরে উপজেলার সদর ইউনিয়নের জেলেপাড়া এলাকায় প্রতিষ্ঠানটির উদ্বোধন করেন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাসুম আহমেদ।

‘মেসার্স মা উইগস্ ইন্টারন্যাশনাল’র অফিস সহকারী রুমানা হক জানান, আনুষ্ঠানিকভাবে পরচুলা তৈরির কার্যক্রম শুরু হলেও আপাতত এখানকার নারী শ্রমিকদের দুজন সুপারভাইজারের তত্ত্বাবধানে একশ নারী শ্রমিককে প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। রত্না ও পল্লবী নামে দুজন প্রশিক্ষক এই প্রশিক্ষণের কাজ শুরু করেছেন।

প্রশিক্ষক রত্না ও পল্লবী জানান, যেসব নারী শ্রমিক এখনো কাজ শেখেননি আপাতত তাদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। প্রশিক্ষণের পরই শ্রমিকরা পরচুলা তৈরি করতে পারবেন। আর তাদের তৈরি পরচুলা যাবে দেশের বিভিন্ন এলাকায়। চীন দেশেও রপ্তানি করা হতে পারে এসব পণ্য।

সুপারভাইজার পল্লবী জানান, তিনি নীলফামারীতে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে পরচুলা তৈরি শিখেছেন। দিনাজপুরে এক বছর বিভিন্ন শ্রমিকদের পরচুলা তৈরির প্রশিক্ষণ দিয়েছেন বলেও তিনি জানান।

নীলফামারী থেকে প্রায় ২২ কিলোমিটার দূরে ডোমার শহরের অজোপাড়াগাঁ জেলেপাড়ায় পরচুলা তৈরির কার্যক্রম শুরু হওয়ায় এই এলাকার বেকার নারী শ্রমিকরা কাজ শিখে দৈনিক তিনশ থেকে ১ হাজার টাকা পর্যন্ত আয় করতে পারবেন বলে জানান অফিস সহকারী রুমানা। এখানে পরচুলা তৈরির প্রশিক্ষণের জন্য প্রতিদিনই ভিড় করছেন অসংখ্য বেকার নারী। আপাতত একশ নারী শ্রমিককে প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। চাহিদা বেড়ে গেলে আরো বেশকিছু শ্রমিককে নিয়োগ দেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।

প্রশিক্ষক রত্না জানান, এখানে চুলের ক্যাপ তৈরি করা হবে। ছোটক্যাপ তৈরি করলে একজন শ্রমিক পাবেন ৩শ টাকা করে। আর বড় ক্যাপ তৈরি হলে পাবেন ১ হাজার টাকা। কাজ শিখলে একদিনে দুইটি অথবা দেড়টি ক্যাপ তৈরি করা সম্ভব বলেও তিনি জানান।

প্রতিষ্ঠানের তত্ত্বাবধায়ক মো. সাঈফ মাহমুদ জানান, বেকার সমস্যা দূরিকরণে এই প্রতিষ্ঠান কাজ করে যাবে। এলাকার হতদরিদ্র নারীদের প্রশিক্ষণের মাধমে অর্থ আয়ের কাজ করবে এই প্রতিষ্ঠান। এলাকার মানুষের চুল সংগ্রহ করে বানানো হবে এসব পরচুলা। আর এই পরচুলা দেশের বিভিন্ন স্থানে বিক্রি হবে। পরচুলার চাহিদা বৃদ্ধি পেলে আরো শ্রমিক নিয়োগ দেওয়া হবে। এলাকার বেকার নারীরা ঘরে বসে না থেকে কাজ শিখে আয় করতে পারবেন অর্থ। ফলে অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হবেন তারা।
কে/