• বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১২ ১৪৩১

  • || ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

সর্বশেষ:
ছয়দিনের সফরে ব্যাংককে পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী গরমে ‘অতি উচ্চ ঝুঁকিতে’ বাংলাদেশের শিশুরা: ইউনিসেফ গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা: বেরোবি কেন্দ্রের পরীক্ষার্থী ৩১ হাজার ৯৪৬ জন বাংলাদেশ-ভারত ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করবে: ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী কাতারের আমিরের সফরে যা পেল বাংলাদেশ

মরিচের জন্য বিখ্যাত ডোমারের পাগলী মা’র হাট

– নীলফামারি বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ৫ এপ্রিল ২০২২  

নীলফামারীর ডোমার উপজেলার পাগলী মা’র হাট মরিচের জন্য বিখ্যাত। প্রতিদিন সকাল থেকে এ হাটে শুরু হয় হাকডাক। বিভিন্ন জেলা থেকে পাইকাররা আসেন এখানে। বিকেল পর্যন্ত চলে কেনাবেচা। নিজেদের চাহিদা মিটিয়ে এখানকার মরিচ যাচ্ছে দেশের নানা প্রান্তে। ভরা মৌসুমে এ হাটে প্রতিদিন অন্তত ১০০০০-১২০০০ হাজার মণ মরিচ বিক্রি হয়, টাকার পরিমাণে যা কোটি ছাড়িয়ে যায়।

ডোমার উপজেলার পাঙ্গা মটুকপুর ইউনিয়নের  মুছার মোড় এলাকায় পাগলী মা’র হাটের অবস্থান। মরিচের এ হাটে ডোমার, ডিমলা ও জলঢাকা উপজেলা ছাড়াও পার্শ্ববর্তী পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জ উপজেলার শত শত মরিচ চাষি ও ব্যবসায়ী আসেন। শুধু মরিচ ব্যবসাকে কেন্দ্র করেই গড়ে ওঠা পাগলী মা’র হাটে রয়েছে অর্ধশত আড়ত। দূর-দূরান্তের ক্রেতা-বিক্রেতার আনাগোনায় এসব আড়ত সবসময় সরগরম থাকে।

নীলফামারীসহ আশপাশের জেলার মাটি ভালো হওয়ায় উৎপাদিত মরিচের মান ভালো থাকে। এ কারণে এসব এলাকার মরিচের কদর এ হাটে বেশি। গেল ১৪-১৫ বছর ধরে কেনাবেচাও বেড়েছে। মরিচ চাষি ও ব্যবসায়ীরা বলছেন, দিনদিন মরিচের উৎপাদন বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বেড়েছে চাহিদা। মরিচের ভরা মৌসুমে প্রতিদিন গড়ে ৭০ লাখ থেকে ১ কোটি টাকার মরিচ বিক্রি হয়।

সরেজমিনে দেখা গেছে, ক্রেতা-বিক্রেতার হাকডাকে মুখর হাট। কেউ মরিচ বস্তাবন্দি করছেন, কেউ আবার টাকা গুনছেন। বিভিন্ন জাতের বিন্দু মরিচ, সাপ্লাই মরিচ, ডেমা মরিচ, ডেমা হাইব্রিড মরিচ, জিরা মরিচ ও দেশি মরিচ উঠেছে হাটে। তবে প্রকারভেদে এসব মরিচ প্রতি মণ ১৫০০-১৭০০ টাকা দরে বিক্রি হয়। আবার চাহিদা বেশি হলে দামও বেশি থাকে।

হাটের আড়তদার সমিতির সভাপতি এন্তাজুল ইসলাম বলেন, প্রায় ১৫ বছর ধরে পাগলী মা’র হাটে মরিচ বেচাকেনার সঙ্গে যুক্ত আছি। এমন কোনো দিন নেই- এখানে ১২-১৫ হাজার মণ মরিচ কেনাবেচা হয় না। এখানকার মরিচ সিরাজগঞ্জ, পাবনা, যশোর, সাতক্ষীরা, কুষ্টিয়া, খুলনাসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে যায়। এ হাট মরিচের জন্য উত্তরাঞ্চলে বিখ্যাত।

কুষ্টিয়া থেকে আসা পাইকার মজিবর রহমান বলেন, মরিচের জন্য উত্তরাঞ্চলে এটি বিখ্যাত হাট। কয়েক বছর ধরে আমি এ হাটে মরিচ কেনাকাটা করছি। এখান থেকে বিভিন্ন জাতের মরিচ কিনে নিয়ে যাই। লেনদেন বা বাড়তি কোনো ঝামেলা নেই। অনেক সময় হাটে না এসেও ব্যাংকে টাকা পাঠিয়ে এখানকার আড়ত থেকে মরিচ কিনে নিতে পারি।

ডোমার উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. আনিছুজ্জামান বলেন, কৃষি বিভাগের অব্যাহত পরামর্শ এবং নির্দেশনায় এ অঞ্চলে মরিচের উৎপাদন বেড়েছে। উপজেলায় এ বছর মরিচের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৭৫০ হেক্টর। আমরা ৭৮০ হেক্টর অর্জন করেছি। এ বছর মরিচের ফলন ও দাম দুটোই ভালো যাচ্ছে।