• মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৩ ১৪৩১

  • || ০৬ শাওয়াল ১৪৪৫

নীলফামারীতে ভিটামিন `এ` প্লাস ক্যাম্পেইন

– নীলফামারি বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ১১ জুন ২০২২  

নীলফামারীতে ৩ লাখ ৬ হাজার ৩১২ জন শিশুকে ভিটামিন এ প্লাস খাওয়ানো হবে। আগামী ১৫ জুন থেকে ১৯ জুন পর্যন্ত জেলার ৬ উপজেলা ও দুই পৌরসভার এ কার্যক্রম চলবে। শনিবার বিকালে শহরের পুরাতন হাসপাতালের সম্মেলন কক্ষে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ আয়োজিত সাংবাদিকদের ওরিয়েন্টেশন কর্মশালা এ তথ্য জানানো হয়। 

সিভিল সার্জন মো. জাহাঙ্গীর কবিরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ওই কর্মশালায় ক্যাম্পেইনের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের চিকিৎসা কর্মকর্তা মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন। বক্তৃতা দেন নীলফামারী প্রেসক্লাবের সভাপতি তাহমিন হক ববী, সহসভাপতি আতিয়ার রহমান, ভুবন রায় নিখিল, জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের জেষ্ঠ স্বাস্থ্য শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আব্দুল কাদের প্রমুখ।

কর্মশালায় জানানো হয়, জেলায় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইনের আওতায় রয়েছে ৬ থেকে ১১ মাস বয়সী শিশু ৩০ হাজার ৭২৩জন। ১২ থেকে ৫৯ মাস বয়সী শিশুর সংখ্যা ২ লাখ ৭৫ হাজার  ৫৮৯জন। ৬ থেকে ১১ মাস বয়সী শিশুদের খাওয়ানো হবে ১টি করে নীল রঙের ভিটামিন এ ক্যাপসুল এবং ১২ থেকে ৫৯ মাস বয়সী শিশুকে খাওয়ানো হবে একটি করে লাল রঙের ভিটামিন এ ক্যাপসুল। ক্যাম্পেইন সফল করতে জেলার ৬ উপজেলা ও দুটি পৌরসভায় এক হাজার ৫৮৭টি কেন্দ্র স্থাপন করা হবে। কাজ করবেন তিন হাজার ১৭৪জন স্বেচ্ছাসেবক এবং ১৯১ জন শ্রেণির সুপারভাইজার।
চিকিৎসা কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন,‘এই ক্যাপসুলের কার্যকারিতা ৬ মাস পর্যন্ত। এ কারণে ৬ মাস অন্তর এ ক্যাম্পেইন হয়। ভিটামিন এ শিশুদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়, এবং মৃত্যু ঝুঁকি কমায়।’

সিভিল সার্জন মো. জাহাঙ্গীর কবির বলেন, ‘আমাদের সচেতনতা বেড়েছে, মায়ের দুগ্ধ পানে বাংলাদেশ পৃথিবীর ৯৮টি দেশের মধ্যে প্রথম স্থানে আছে। এ কারণে আমাদের ভিটামিন এ ঘাটতি ক্রমান্বয়ে কমছে। এ অবস্থা অব্যাহত থাকলে ভবিষ্যতে আমাদের ভিটামিন ‘এ’ প্লাস খাওয়ানোর প্রয়োজন হবে না।’