• শনিবার ২৭ জুলাই ২০২৪ ||

  • শ্রাবণ ১২ ১৪৩১

  • || ১৯ মুহররম ১৪৪৬

সর্বশেষ:
সর্বোচ্চ আদালতের রায়ই আইন হিসেবে গণ্য হবে: জনপ্রশাসনমন্ত্রী। ২৫ জুলাই পর্যন্ত এইচএসসির সব পরীক্ষা স্থগিত।

বিভিন্ন জেলায় সরবরাহ করা হচ্ছে নীলফামারীর আখ

– নীলফামারি বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ২৮ জুলাই ২০২২  

বিভিন্ন জেলায় সরবরাহ করা হচ্ছে নীলফামারীর আখ                         
আখ একটি রসালো ও মিষ্টি জাতের খাবার। চিবিয়ে কিংবা রস করে খাওয়া আখের চাহিদা ব্যাপক। নীলফামারীর আখ খেতে খুবই সুস্বাদু হওয়ায় জেলার মানুষের চাহিদা পূরণের পাশাপাশি অন্যান্য জেলায়ও সরবরাহ করা হচ্ছে এখানকার আখ। এতে বাজার মূল্য ভাল পেয়ে খুশি আখচাষীরা। নীলফামারী জেলায় এবার ১৬০ হেক্টর জমিতে আখ চাষ করা হয়েছে। এখানকার মাটি আখ চাষের উপযোগী।

স্থানীয়ভাবে পরিচিত জাতের কালো, সাদা, লাল, গেন্ডারি ও হাইব্রিড জাতের আখ চাষে উদ্বুদ্ধ হয়েছেন কৃষকেরা। সদর উপজেলার লক্ষিচাপ গ্রামের আখ চাষী ভবানী চন্দ্র রায় বলেন, উঁচু এবং পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা থাকায় জমিগুলোতে এসব জাতের আখের ভাল ফলন হয়েছে। ইতোমধ্যে আখ উত্তোলন শুরু হয়েছে। বাজারজাত ও পরিবহনের ঝামেলা ছাড়াই ভালো দামে মাঠের আখ মাঠেই পাইকারি দামে বিক্রি করে  খুশি তিনি।

কিশোরগঞ্জ উপজেলার বড়ভিটা ইউনিয়নের মেলাবর মাঝাপাড়া গ্রামের কৃষক অমেষ চন্দ্র বলেন, আশ্বিন ও কার্তিক মাসে আখ জমিতে রোপণ করা হয়। আখ বাজারজাতকরণের উপযোগী হতে সময় লাগে ৮-১০ মাস। প্রতি বিঘা (৩০ শতাংশ) জমিতে আখের ফলন হয় ৬-৭ হাজার পিস। সব মিলে উৎপাদন খরচ হয় ১০-১২ হাজার টাকা। আকার ভেদে প্রতি পিস বিক্রি হয় ৯-১০ টাকায়। যা খরচ বাদে আয় হয় ৫৫-৬০ হাজার টাকা। স্থানীয় পাইকারসহ  বিভিন্ন এলাকার ব্যবসায়ীরা এখান থেকে আখ কিনে নিয়ে যায়।

নীলফামারী সদর উপজেলার লক্ষিচাপ ইউনিয়নের কৃষক নবীন ইসলাম জানান, আখ গাছের গোড়া, কচি পাতা গো-খাদ্যের চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি শুকনো পাতা জ্বালানি ব্যবহার করা যায়। তবে এসব জাতের আখের রস দিয়ে গুড়, চিনি তৈরি করা হয় না। তাই বাণিজ্যিকভাবে বিক্রির সুযোগ নেই। শুধু চিবিয়ে খাওয়ার চাহিদা থেকে এ আখ চাষ করা হয়। আবহাওয়া ভাল থাকায় এবারে তেমন একটা রোগ বালাই দেখা দেয়নি।

পলাশবাড়ি বাজারের খুচরা ও পাইকারী বিক্রতা লোকমান হোসেন বলেন, আখ খেত থেকে ১০০ পিচ আখ ও পরিবহন খরচ বাবদ খরচ হয় ১৫০০ টাকা। বিক্রি হয় ৩ থেকে ৪ হাজার টাকায়।

নীলফামারী কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপ-পরিচালক  কৃষিবিদ আবু বক্কর সিদ্দিক বলেন, নীলফামারীর মাটি আখ চাষের জন্য উপযোগী। এবার জেলায় ১৬০ হেক্টর জমিতে আখ চাষ করা হয়েছে। আবহাওয়া ভাল থাকায় এবারে আখের ভাল ফলন হয়েছে। প্রতি বছরের ন্যায় এবছরও কৃষকেরা ভালো দাম পেয়ে লাভবান হবেন।