• শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৪ ১৪৩০

  • || ১৮ রমজান ১৪৪৫

নীলফামারীতে লাউয়ের ভালো দাম পাওয়ায় খুশি কৃষক

– নীলফামারি বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২২  

নীলফামারীর জমি(রবিশস্য) লাউ চাষের উপযোগী হওয়ায় এবং কয়েক বৎসর ধরে কৃষক ভালো দাম পাওয়ায় এবারে ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে লাউ জাতীয় সবজির চাষাবাদ। অল্প খরচে লাভ বেশি হওয়ায় এ আবাদে কৃষকের বেড়েছে ব্যাপক উৎসাহ। তাছাড়া এখানকার লাউয়ের কদরও রয়েছে বেশি।

সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, নীলফামারী সদর উপজেলার লক্ষীচাপ ইউনিয়নের কচুয়া গ্রামের শনুরাম রায় চলতি বছরের জুলাই মাসের প্রথম সপ্তাহে পাটি করে ৪৫ শতাংশ জমিতে লাউ চাষাবাদ করেছে। দেশী ও হাইব্রিড জাতের বীজ গুলো বাজার হতে কেনা। ভালো ফলনও হয়েছে। তার খরচ আনুমানিক ১২ হাজার টাকা।

কৃষক দিপু রায় জানান, কৃষি ও নানা পেশায় ভর করে চলে জীবিকা ১৮ সদস্যের পরিবার আমাদের। কয়েক বৎসর ধরেই লাউ চাষ করছি আমি। কম সময়ে অল্প মূলধনে এত লাভজনক ফসল হওয়ায় কদর বেড়েছে এই আবাদের। অন্যত্র ভালো দাম হওয়ায় এলাকার চাহিদা মিটিয়ে ঢাকা, রাজশাহী, চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন স্থানে ব্যবসায়ীরা লাউ নিয়ে যাচ্ছে ট্রাকে। তিন মাসে খরচ তুলে ত্রিশ হাজার টাকা বাড়তি জমেছে। এই দেখে আমাদের গ্রামে অনেক কৃষক এই সবজি চাষ শুরু করেছে। এই বøকের উপসহকারী কৃষি অফিসার লাউ চাষে অনেক পরামর্শ দিছে। নানা ভাবে সহযোগিতাও করে। এখনও আমার সবজি বাগান থেকে দুই হতে তিন দিন পর পর দুইশ থেকে তিনশত লাউ তুলতে পারি। এখন বাজার অনুপাতে প্রতি পিচ লাউ নিম্নে ২৫ টাকা থেকে ৫০ টাকা দরে বাজারে বিক্রি করি। প্রথম ধাপে লাউয়ের শ’ বিক্রি করি ৪ হাজার হতে ৫ হাজার পাঁচশত টাকায়। এলাকার অনেক কৃষক এখন এই আবাদে ঝুঁকে পড়েছে।

নীলফামারী জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক আবু বক্কর সিদ্দিক বলেন, এবারে জেলায় ৫৫ হেক্টর জমিতে লাউ চাষাবাদ করা হয়েছে। তাছাড়া জমিনের শ্রেণি ভেদে বৎসরে তিনবার রবি শস্য ও সবজি চাষ করা যায়। এলাকার মানুষের পুষ্টির চাহিদা মেটাতে  লাউ, কুমড়ো, লাল শাক, টমেটো, পেপে, কপি, ঢেরস্ বটবটি, পুইশাকসহ বিভিন্ন সবজি চাষাবাদ করতে আমাদের উপসহকারী কৃষি অফিসারগন মাঠে গিয়ে কৃষককে উদ্বুদ্ধ করনে প্রাণপণ কাজ করে যাচ্ছে।