• বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১২ ১৪৩১

  • || ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

সর্বশেষ:
ছয়দিনের সফরে ব্যাংককে পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী গরমে ‘অতি উচ্চ ঝুঁকিতে’ বাংলাদেশের শিশুরা: ইউনিসেফ গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা: বেরোবি কেন্দ্রের পরীক্ষার্থী ৩১ হাজার ৯৪৬ জন বাংলাদেশ-ভারত ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করবে: ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী কাতারের আমিরের সফরে যা পেল বাংলাদেশ

ডিমলায় সিলমোহর ও জাল দলিল উদ্ধারসহ দুই প্রতারক গ্রেফতার

– নীলফামারি বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ১২ নভেম্বর ২০২২  

ডিমলায় সিলমোহর ও জাল দলিল উদ্ধারসহ দুই প্রতারক গ্রেফতার              
সরকারি চাকুরি দেয়ার নামে নিরীহ মানুষের সাথে প্রতারণা জন্য সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের প্রধানের সিলমোহরসহ দুই ব্যক্তিকে আটক করেছে নীলফামারীর ডিমলা থানা পুলিশ। গতকাল শুক্রবার(১১ নভেম্বর) সকালে ডিমলা উপজেলা সদর এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়। 

আটককৃতরা হলেন ডিমলা সদর ইউনিয়নের সরদারহাট এলাকার কছির উদ্দিনের ছেলে মাজেদুল ইসলাম(৫২) ও উত্তর তিতপাড়া গ্রামে নছিম উদ্দিনের ছেলে রফিকুল ইসলাম ভুট্টু(৫০)। বিকালে তাদের আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে বলে নিশ্চিত করে ডিমলা থানার ওসি লাইছুর রহমান। 

পুলিশ জানায়, মাজেদুল ইসলাম ও রফিকুল ইসলাম ভুট্টু দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের প্রধানদের নামিয় সিল, সরকারি স্ট্যাম্প ও মূল্যবান দলিল, সাব-রেজিস্ট্রার ও ভূমি অফিসের সিলমোহর ও জাল সই সম্বলিত সিলসহ দলিল জালিয়াত করে সরকারি চাকুরি দেয়ার নামে নিরীহ মানুষের সাথে প্রতারণা করে অর্থ আদায় করে আসছিল। ভুট্টু পুরোনো দলিল সংগ্রহ করে দলিলের লেখা বা চিহ্ন কেমিক্যাল দিয়ে তুলে ফেলার কাজে বিশেষ পারদর্শী ছিল। দলিলের লেখা বা চিহ্ন তুলে মাজেদুলের বাড়িতে গিয়ে জাল দলিল তৈরি করতো। তারা একটি জাল দলিল সিন্ডিকেটের যোগসাজশে জমিসংক্রান্ত দেওয়ানি মামলাবাজদের পক্ষে তৈরিকৃত দলিল দিয়ে আদালতে মামলা মোকদ্দমাও করতো। এমনকি অব্যবহৃত স্ট্যাম্প অথবা বিশেষ কেমিক্যাল ব্যবহারের মাধ্যমে লিখিত দলিলের লেখা বা চিহ্ন তুলে ফেলে টাকার বিনিময়ে তারা চাহিদামতো বিভিন্ন কোম্পানি বা বিভিন্ন ভূমি জবরদখলকারী চক্রের কাছে বিক্রি করে। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ডিমলা থানার ওসির নেতৃত্বে বিশেষ অভিযানে উপজেলার সর্দারহাট এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। এসময় তাদের কাছে বিভিন্ন সরকারি দপ্তর ও দপ্তর প্রধানের সিল ১৬৫টি, জাল দলিল তৈরি কাজে ব্যবহারের জন্য ২৮টি ফাকা স্টাম্প, পাকিস্তানের ৪ আনা মূল্যমানের ১টি ফাকা স্টাম্প, ৩ পাতা বিশিষ্ট অস্পস্ট ভারতীয় ১টি দলিল, ১৯৮২ সালের ১২ জুন তারিখের ৫ পাতা বিশিষ্ট একটি জবেদা নকল, ১৯৬৫ সালের ৬ ডিসেম্বরের ৬ পাতা বিশিষ্ট একটি জবেদা নকল সহ বিভিন্ন জাল দলিলপত্র উদ্ধার ও জাল সই সম্বলিত সিলসহ দলিল জালিয়াত করার জন্য তৈরির সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়। 

ওসি জানান, তাদের কাছে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে বিক্রিকৃত সিল, কাগজপত্র উদ্ধার ও গ্রেপ্তার অভিযান অবহত রয়েছে।