কৃষিতে নতুন সম্ভাবনা: পাতকুয়ার সেচে কম খরচে লাভবান কৃষক
– নীলফামারি বার্তা নিউজ ডেস্ক –
প্রকাশিত: ২৩ নভেম্বর ২০২২
কৃষিতে নতুন সম্ভাবনা: পাতকুয়ার সেচে কম খরচে লাভবান কৃষক
দূর থেকে দেখে মনে হতে পারে বিশাল ক্ষেতের মাঝে শাপলা ফুল ফুটে আছে। কিছুটা কাছে গেলে বোঝা যায় শাপলা ফুলের আদলে তৈরি বিশাল এক ছাতা। বৃষ্টির পানি সংরক্ষণ ও জমিতে সেচ কার্যক্রমের জন্য এই পাতকুয়ার ব্যবস্থা। শুকনো মৌসুমে কৃষকদের জমিতে সেচ দেওয়ার জন্য বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের পাতকুয়া প্রকল্পের ওপরের অংশ এই ছাতায় রয়েছে সোলার প্যানেল। সোলার প্যানেল থেকে সৌরশক্তিকে ব্যবহার করে যন্ত্রের মাধ্যমে সেই পানি যাচ্ছে কৃষি জমির সেচ কাজে। সোলার প্যানেলে মাধ্যমে পাম্প চলায় নেই তেল খরচ কিংবা লোডশেডিংয়ের ঝামেলা। ফলে পাতকুয়ার চারপাশে মাটিতে এখন নির্বিঘ্নে চাষাবাদ করছে কৃষকেরা।
জানা গেছে, রাজশাহী-নওগাঁ অঞ্চলের বরেন্দ্র ভূমিতে এই প্রকল্প শুরু হয়। ২০১৯-২০ অর্থবছরে বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ বৃহত্তর রংপুরে এই প্রকল্প হাতে নেয়। এই প্রকল্পের নাম দেওয়া হয় ভূ-উপরিস্থ পানির সর্বোত্তম ব্যবহার ও বৃষ্টির পানি সংরক্ষণের মাধ্যমে রংপুর জেলায় সেচ সম্প্রসারণ। রংপুর অঞ্চলে এই পাতকুয়া প্রকল্পের মাধ্যমে সেচ সুবিধা পাচ্ছেন প্রায় দেড় হাজার কৃষক। এই প্রকল্পের আওতায় রংপুর, নীলফামারী, গাইবান্ধা, কুড়িগ্রাম ও লালমনিরহাটে ৫০টি পাতকুয়া বসানোর কথা থাকলেও এখন পর্যন্ত বসানো হয়েছে ৩৩টি। একেকটি পাতকুয়া বসানোর জন্য খরচ হয়েছে প্রায় ২২ লাখ টাকা। তুলনামূলক উঁচু ও শুকনো মৌসুমে কম সেচ সুবিধার এলাকায় বসানো হচ্ছে এই কুয়াগুলো।
যে সমস্ত জমিতে এসব পাতকুয়া বসানো হয়েছে, সেই জমির মালিককেই দেয়া হয়েছে দেখভালের দায়িত্ব। কৃষকদের কাছ থেকে পাওয়া অর্থ তারাই নিচ্ছেন। এতে কর্তৃপক্ষকে আলাদা করে দিতে হচ্ছে না কোনো খরচ। যেখানে জমিতে সেচ দিতে প্রতি ঘণ্টায় খরচ হয় ১৫০ থেকে ১৬০ টাকা। সেখানে বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের পাতকুয়া প্রকল্পে খরচ পড়ছে ৫০ থেকে ১২০ টাকা। প্রতিটি কুয়া ১২০ ফিট গভীর। ৬০ থেকে ৯০ ফিটের মধ্যে বসানো আছে একটি পাম্প। বৃষ্টির পানির পাশাপাশি ভুগর্ভস্থ পানিও জমা হয় এখানে। তারপর সৌরশক্তিকে ব্যবহার করে যন্ত্রের মাধ্যমে সেই পানি যাচ্ছে কৃষি জমির সেচ কাজে। শুকনো মৌসুমে যে এলাকায় স্বল্প পানির চাষাবাদ হয় সেসব এলাকার কৃষকেরা দারুণ সুবিধা পাচ্ছেন এর মাধ্যমে। এতে করে রংপুর অঞ্চলের কৃষকদের মাঝেও এই পাতকুয়া প্রকল্প বেশ জনপ্রিয়তা লাভ করেছে।
কৃষক ও প্রকল্পের সুবিধাভোগীরা বলছেন, পাতকুয়াগুলোর ফলে তাদের দৈনন্দিন জীবনমান পাল্টে গেছে। সুবিধাভোগী কৃষক আলমগীর হোসেন বলেন, শুষ্ক মৌসুমে সেচের অভাবে আমার প্রায় পাঁচ বিঘা জমি পতিত থাকত। পাতকুয়া হওয়ার পর এর মাধ্যমে ফসলে সেচ দেওয়ায় পানির সমস্যার সমাধান হয়েছে। এখন জমিতে বাঁধাকপি, ফুলকপি, শিম, লাউ, মরিচ, চালকুমড়া, মিষ্টিকুমড়া, বেগুন, টমেটো, আলু চাষের জন্য পর্যাপ্ত পানি পাচ্ছি।
কৃষক শমসের আলী বলেন, আগের পানির জন্য ফসলের ক্ষতি হত। সময় মতো পানি মিলত না লোডশেডিংয়ের কারণে। এখন সেই সমস্যা নেই। অল্প খরচে যখন খুশি পানি পাওয়া যাচ্ছে।
আরেক কৃষক আতাউর রহমান বলেন, কুয়াগুলো সৌরশক্তিতে চলার কারণে বিদ্যুৎ বা ডিজেল ব্যবহারের প্রয়োজন পড়ে না। এছাড়া ইচ্ছেমতো পানি তোলা যায়।
কৃষক জব্বার বলেন, পাতকুয়া কৃষকদের জন্য অনেক সাশ্রয়ী। ডিজেলের দাম বাড়ার কারনে সেচের খরচ বেড়েছে। আর সেচ ছাড়া কৃষি উৎপাদন অসম্ভব। পাতকুয়ায় মাত্র ১০০ টাকায় পানি দিতে পারি।
প্রকল্প পরিচালক মো. হাবিবুর রহমান খান জানান, ৫ বছর মেয়াদী এই প্রকল্প শেষ হবে ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে। দুই হাজার কৃষককে এই প্রকল্পের মাধ্যমে সুবিধা দিতে চায় বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ। এর ফলে উত্তরের কৃষি আরও বেশি সমৃদ্ধ হবে একই সাথে লাভবান হবেন কৃষকরা।
- দ্রুত শিক্ষকদের শূন্য পদ পূরণের সুপারিশ
- বিচ্ছিন্নভাবে দেশের স্বার্থ অর্জন করার সুযোগ নেই: সেনা প্রধান
- মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্যদের সম্মানি বাড়বে
- ২৪ এপ্রিল ব্যাংকক যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী
- দাবদাহে পুড়ছে দেশ, সুস্থ থাকতে যা করবেন
- ‘উপজেলা নির্বাচনে কেউ প্রভাব বিস্তার করতে এলে ব্যবস্থা’
- বাংলাদেশে শিশুখাদ্য নিডো-সেরেলাক নিয়ে ভয়ঙ্কর তথ্য
- ঘরে বসে আয়ের প্রলোভন, পলকেই নিঃস্ব হচ্ছে মানুষ
- উপজেলা নির্বাচন: প্রথম ধাপে বৈধ এক হাজার ৭৮৬ প্রার্থী
- অপপ্রচার রোধে ভারতীয় প্রতিষ্ঠানের সহযোগিতা নেয়া হবে
- নাশকতার মামলায় জেলা যুবদলের সভাপতি কারাগারে
- সাত বিভাগে বৃষ্টির সম্ভাবনা
- প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ ও প্রদর্শনী উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
- বিরলে গ্রাম আদালত বিষয়ক দিনব্যাপী কর্মশালা অনুষ্ঠিত
- রংপুরে সংবর্ধনায় সিক্ত ব্যরিস্টার আনিকা তাসনিয়া
- নীলফামারীতে ট্রেনে কাটা পড়ে যুবকের মৃত্যু
- ইরানের হামলা নিয়ে এবার ইসরায়েল-সৌদি পাল্টাপাল্টি মন্তব্য
- ‘মুস্তাফিজের শেখার কিছু নেই, আইপিএলে অন্যরাই তার থেকে শিখবে’
- বোট ক্লাব কাণ্ড: পরীমনির বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানার আবেদন
- তীব্র তাপপ্রবাহ বিষয়ে যা বলেছেন রাসূলুল্লাহ (সা.)
- বাংলাদেশে কোনো অবৈধ সশস্ত্র সংগঠন থাকবে না: র্যাব ডিজি
- চিকিৎসায় অবহেলার প্রমাণ পেলে কঠোর ব্যবস্থা: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
- টাইমের প্রভাবশালী ১০০ ব্যক্তির তালিকায় বাংলাদেশের মেরিনা
- তিন দিনের সফরে ঢাকায় আসছে মার্কিন প্রতিনিধিদল
- আইকনিক লিডার এখন কুন্তলা চৌধুরী
- বিশ্ববাজারে চাল ও গমের দাম কমেছে
- ঠাকুরগাঁওয়ে ঈদ-নববর্ষে ১০ জন নিহত, আহত ২ শতাধিক
- বাসার ছাদ থেকে পড়ে যুবকের রহস্যজনক মৃত্যু
- লালমনিরহাটে যুবলীগ কর্মীর পায়ের রগ কাটলেন যুবদল নেতা
- নির্বাচনে মন্ত্রী-এমপিরা হস্তক্ষেপ করবে না: ওবায়দুল কাদের
- ডিমলায় জুয়া খেলার অপরাধে আটক-২
- ঠাকুরগাঁওয়ে ঈদ-নববর্ষে ১০ জন নিহত, আহত ২ শতাধিক
- রাতেই যেসব অঞ্চলে হতে পারে বজ্রসহ বৃষ্টি
- ট্রেনের সামনে ক্যামেরা বসাতে স্থায়ী কমিটির সুপারিশ
- ফারিণের ‘নিকষ’ অন্ধকার!
- অতিরিক্ত সচিবকে ওএসডি, ৫ যুগ্ম-সচিবের বদলি
- ‘সমন্বিত উদ্যোগ নিয়ে ভূমিসেবায় দুর্নীতি প্রতিরোধ করা হবে’
- জলবায়ু সহনশীল দেশ গড়তে নারীদের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ
- অবৈধ দখলে থাকা খাস জমি চিহ্নিত করতে বললেন ভূমিমন্ত্রী
- সুখী দেশের তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান ১২৯তম
- চিকিৎসা ব্যবস্থা যেকোনো মূল্যে সহজলভ্য করবো: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
- ডোমারে ’বিশ্ব যক্ষ্মা দিবস’ উপলক্ষে র্যালী ও আলোচনা সভা
- ভয়াল ২৫ মার্চ আজ, রাতে ১ মিনিট অন্ধকারে থাকবে দেশ
- ভারতকে বিশ্বকাপ জেতানো কোচকে নিয়োগ দিচ্ছে পাকিস্তান
- মানুষের জীবন সহনীয় করতে কাজ করছে সরকার: পরিবেশমন্ত্রী
- দ্বিতীয় ওয়ানডেতেও ব্যাটিং বিপর্যয়ে বাংলাদেশ
- জামদানিকে আন্তর্জাতিকভাবে সমাদৃত করা হবে: শিল্প সচিব
- তুরস্কে আঞ্চলিক নির্বাচনে এরদোগান বিরোধীদের জয়
- রোহিঙ্গা সমাধানে নিউজিল্যান্ডকে সক্রিয় ভূমিকা রাখার আহ্বান
- ছবি নিয়ে নানা প্রশ্নের উত্তর দিলেন শরিফুল