– নীলফামারি বার্তা নিউজ ডেস্ক –
  • সোমবার ০২ অক্টোবর ২০২৩ ||

  • আশ্বিন ১৬ ১৪৩০

  • || ১৫ রবিউল আউয়াল ১৪৪৫

সর্বশেষ:
বিশ্বকাপে বাংলাদেশ দল নিয়ে আশাবাদী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গঙ্গাচড়ায় জাতীয় কন্যাশিশু দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা ও চেক বিতরণ নিরাপদ সড়ক চাই পীরগঞ্জ উপজেলা কমিটি গঠনের লক্ষ্যে মতবিনিময় সভা নীলফামারীতে মসজিদের ভেতরে সন্ত্রাসী হামলায় দুই মুসল্লি আহত, আটক ২ রংপুরে ৫০ লাখ ছাগল-ভেড়া পাবে পিপিআর টিকা

এইচএসসি পরীক্ষায় পাস করেনি কেউ                             

– নীলফামারি বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৩  

     
নীলফামারীর জলঢাকা উপজেলার বালাগ্রাম চাওড়াডাঙ্গী হাই স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে এবারের এইচএসসি পরীক্ষায় কোনো শিক্ষার্থীই পাস করেনি।

গত বুধবার (৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুর সাড়ে ১২টায় এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয়েছে। প্রকাশিত ফলাফলে দিনাজপুর মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের অধীনে কোনো শিক্ষার্থী পাস না করা ১৩টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের তালিকায় ওই প্রতিষ্ঠানের নাম পাওয়া গেছে।

প্রতিষ্ঠান সূত্রে জানা গেছে, প্রতিষ্ঠানটিতে এ বছর এইচএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে রেজিস্ট্রেশন করেন তিন শিক্ষার্থী। পরীক্ষায় অংশ নিয়ে তারা তিনজনই ফেল করেছেন। এদিকে র্দীঘ ১২ বছর ধরে বেতন না হওয়ার কারণের শিক্ষকদের অবহেলায় ব্যাহত হচ্ছে পাঠদান। এছাড়াও অভিযোগ রয়েছে, প্রতিষ্ঠানটিতে শিক্ষা কর্মকর্তাদের নেই কোনো তদারকি।
 
প্রতিষ্ঠানটির প্রধান মনমথ চন্দ্র রায় বলেন, আমার কলেজের অবস্থা কী জানেন? কলেজটা শুধুমাত্র পাঠদানের অনুমতি এখনও স্বীকৃতি হয়নি। আর এখানে ভর্তি হয় প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলের শিক্ষার্থীরা। এখানে নাজেহাল বাচ্চারা ভর্তি হয়ে থেকে গার্মেন্টেসে কাজ করে আর পরীক্ষার সময় শুধু পরীক্ষা দেয়। গত বছর ৯ জন পরীক্ষা দিয়ে ৬ জন পাস করেছিল। আর এখানে কলেজের শিক্ষকও নাই। ১২ বছর ধরে বিনা বেতনে কেউ থাকবে বলেন?

দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ডের উপ-পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মো. মানিক হোসেন বলেন, এ বিষয়ে বিধি অনুযায়ী তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে।

প্রসঙ্গত, দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ডে এবার মোট ৬৭১টি কলেজের ২০২টি কেন্দ্রে ১ লাখ ২ হাজার ৯৩ পরীক্ষার্থী অংশ নেন। এর মধ্যে পাস করেন ৭৮ হাজার ৮৪৯ শিক্ষার্থী। এ বছর পাসের হার গতবারের তুলনায় কমেছে। গতবার পাসের হার ছিল ৯২ দশমিক ৪৩। গত বছর অকৃতকার্য কলেজের সংখ্যা ছিল দুটি, তবে এ বছর তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৩টিতে। এই ১৩টি কলেজ থেকে পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিল মাত্র ৬৫ জন। এবার জিপিএ-৫ পেয়েছেন ১১ হাজার ৮৩০ জন। ২৪টি কলেজের শতভাগ শিক্ষার্থী পাস করেছেন। এ বছর ছাত্রদের পাসের হার ৭৬ দশমিক ০৮ আর ছাত্রীদের পাসের হার ৮২ দশমিক ১৩। জিপিএ-৫ প্রাপ্ত ছাত্রের সংখ্যা ৫ হাজার ৫৭৫ জন ও ছাত্রীর সংখ্যা ৬ হাজার ২৫৫ জন। বহিষ্কৃত পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ২২ জন। এক বিষয়ে অকৃতকার্য ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা ১৪ হাজার ৩৪৯ জন।