• মঙ্গলবার   ২১ মার্চ ২০২৩ ||

  • চৈত্র ৬ ১৪২৯

  • || ২৬ শা'বান ১৪৪৪

সর্বশেষ:
জনগণ বিএনপি-জামায়াতকে আর ক্ষমতায় আসতে দেবে না: প্রধানমন্ত্রী তথ্য-প্রযুক্তি ও যোগাযোগ খাতে বাংলাদেশে বিপ্লব ঘটেছে: স্পিকার বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধের প্রশ্নে কখনো আপস নয়-পানিসম্পদ উপমন্ত্রী ১১০০ রোহিঙ্গাকে প্রত্যাবাসনের প্রক্রিয়া চলছে: পররাষ্ট্র সচিব ভারতকে চট্টগ্রাম ও সিলেট বন্দর ব্যবহারের প্রস্তাব প্রধানমন্ত্রীর

নীলফামারীতে পুলিশ কনস্টেবল নিয়োগ পরীক্ষা দিতে গিয়ে কারাগারে যুবক

– নীলফামারি বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ৫ মার্চ ২০২৩  

নীলফামারীতে পুলিশের ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল (টিআরসি) পদে নিয়োগ পরীক্ষায় ভুয়া অ্যাডমিট কার্ড নিয়ে আসায় সাহাদাত হোসেন (২০) নামে এক যুবককে আটক করা হয়েছে। শনিবার (৪ মার্চ) বিকেলে আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ। 

এর আগে শুক্রবার (৩ মার্চ) বিকেল ৩টার দিকে নীলফামারী পুলিশ লাইন্স মাঠে পুলিশের ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল পদে নিয়োগ পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের কাগজপত্র যাচাই-বাছাইয়ের সময় তার ভুয়া অ্যাডমিট কার্ড ধরা পড়ে। সাহাদাত হোসেন ডিমলা উপজেলার মধ্য ছাতনাই এলাকার মো. হারুন অর রশিদের ছেলে।

মামলার বিবরণে জানা যায়,  গত ২ মার্চ থেকে ৪ মার্চ পর্যন্ত ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল পদে নিয়োগে বিভিন্ন ইভেন্টে পরীক্ষা চলে। পরীক্ষা চলাকালে পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের কাগজপত্র যাচাই-বাছাইয়ের সময় পরীক্ষার্থী সাহাদাত হোসেন চলতি বছরের টিআরসি পরীক্ষার অ্যাডমিট কার্ড না নিয়ে এসে ২০২২ সালের টিআরসি পরীক্ষার অ্যাডমিট কার্ড প্রদর্শন করে। সেই অ্যাডমিট কার্ডের সিরিয়াল নম্বরের জায়গায় ফেব্রুয়ারি ২০২২ সালের অকৃতকার্য একজন পরীক্ষার্থী স্বাধীন রায়কে পাস করানোর জন্য আরও কয়েকজনের সহযোগিতায় তার ২০২৩ সালের অ্যাডমিট কার্ডের সিরিয়াল নম্বর কৌশলে সন্নিবেশিত করে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে এবং উর্ত্তীণ হয়। পরে উত্তীর্ণদের কাগজপত্র যাচাই-বাছাইয়ের সময় তার ভুয়া অ্যাডমিট কার্ড ধরা পড়ে যায়। পুলিশ হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদে সকল কাগজ-পত্র ভুয়া প্রমাণিত হওয়ায় তার বিরুদ্ধে পাবলিক পরীক্ষা আইন অনুযায়ী পুলিশ বাদী হয়ে মামলা করে। 

নীলফামারী সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুক্তারুল আলম বলেন, তার বিরুদ্ধে পুলিশ বাদী হয়ে মামলা করেছে। বিকেলে তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। 

নীলফামারীর পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, কোনো প্রকার আর্থিক লেনদেন কিংবা অন্য কোনো উপায়ে এই চাকরি পাওয়ার সম্ভাবনা নেই। চাকরি হবে সম্পূর্ণ মেধা ও যোগ্যতার ভিত্তিতে। ওই ব্যক্তি অসৎ পথ অবলম্বন করে অন্যজনকে পাস করানোর জন্য পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন। সকল কাগজপত্র যাচাই-বাছাই করে ভুয়া প্রমাণিত হওয়ায় তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। সেই সঙ্গে অজ্ঞাত আরও কেউ জড়িত থাকলে তাদেরও দ্রুত আইনের আওতায় আনা হবে।