• মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১০ ১৪৩১

  • || ১৩ শাওয়াল ১৪৪৫

সর্বশেষ:
যুদ্ধের অর্থ জলবায়ু পরিবর্তনে ব্যয় হলে বিশ্ব রক্ষা পেত- প্রধানমন্ত্রী দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ উৎপাদনের রেকর্ড মেডিকেল কলেজের ক্লাস অনলাইনে নেয়ার নির্দেশ স্বাস্থ্যমন্ত্রীর ‘গণতান্ত্রিক রীতিনীতি না মানলে জনগণই বিএনপিকে প্রতিহত করবে’ লালমনিরহাটে হত্যা মামলায় বিএনপির দুই নেতা কারাগারে

সৈয়দপুরের ঐতিহাসিক চিনি মসজিদ

– নীলফামারি বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ৩ এপ্রিল ২০২৩  

 
নীলফামারী জেলার সৈয়দপুর শহরের ইসলামবাগে ১৮৬৩ সালে তৈরি হয় ঐতিহাসিক ‘চিনি মসজিদ’। প্রায় ২০০ বছরের পুরনো এই মসজিদ আজও দেশের স্থাপত্য অনুপম নিদর্শন বহন করে আসছে। ১৮৬৩ সালে প্রথমে একটি দোচালা টিনের ঘর, পরে ১৯২০ সালে ইমাম হাজী হাফিজ আব্দুল করিমের উদ্যোগে ৩৯৪০ ফুট আয়তনের প্রথম অংশের পাকা ঘর নির্মাণ করা হয় এবং ১৯৬৫ সালে সম্পন্ন হয় এটির দ্বিতীয় অংশের নির্মাণ কাজ।

আর এর নকশা তৈরি করেন হাজী করিম নিজেই। সেই সময় কলকাতা থেকে ২৪৩টি শংকর মর্মর পাথর আনা হয় মসজিদের নির্মাণ শৈলীতে ব্যবহারের জন্য। আর পুরো মসজিদটি আবৃত করা হয় চিনামাটির পাথর দিয়ে। সেই থেকে মসজিদের নামকরণ করা হয় ‘চিনি মসজিদ’।

আর পুরনো এই মসজিদের নির্মাণ শৈলীর কারণে আকৃষ্ট করে দেশি-বিদেশি পর্যটকদের। এই পাথরেই মোড়ানো হয় মসজিদের ৩২টি মিনারসহ ৩টি বড় গম্বুজ। নির্মাণ করা হয় উত্তর ও দক্ষিণে দুটি ফটক। মসজিদের গোটা অবয়ব ঢেলে সাজানো হয় রঙিন চকচকে পাথরে। মসজিদের বারান্দা বাঁধানো হয় সাদা মোজাইকে। দেয়াল জুড়ে চিনামাটির পাথরেই আঁকা হয় নানান সুদৃশ্য নকশা।

জাভেদ আক্তার নামে একজন স্থানীয় বলেন, ২০০ বছরের পুরনো এই মসজিদ চিনা পাথর দিয়ে তৈরি করা হয়েছে। তাই এই মসজিদ চিনি মসজিদ নামে পরিচিত। এই মসজিদের সৌন্দর্য উপভোগ করতে বিভিন্ন স্থান থেকে দর্শনাথীরা আসেন।

বগুড়া থেকে মসজিদটি দেখতে আসা রাশেদুল ইসলাম বলেন, আমি এই মসজিদের কথা অনেক শুনেছি। চিনি মসজিদ অনেক সুন্দর ও তার কারুকাজ অনেক সুন্দর লেগেছে।

সৈয়দপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফয়সাল রায়হান বলেন, এটি দর্শনার্থীদের জন্য একটি ঐতিহাসিক নিদর্শন। এই মসজিদের সৌন্দর্য উপভোগ করতে বিভিন্ন স্থান থেকে দর্শনার্থীরা আসেন।