হাটে আর দেখা মেলে না ভ্রাম্যমাণ চুল কাটার দোকান
– নীলফামারি বার্তা নিউজ ডেস্ক –
প্রকাশিত: ২ মে ২০২৩
এক সময় গ্রামীণ হাটে দেখা মিলতো ভ্রাম্যমাণ নাপিতের। মোড়া কিংবা কাঠের তক্তা দিয়ে বানানো পিঁড়িতে বসে চুল কাটাতেন মানুষ। পাশ ঘিরে চুল কাটানোর অপেক্ষায় থাকতেন আরও অনেকে। মেতে উঠতেন খোশগল্পে। তবে দিন দিন হারিয়ে যাচ্ছে এমন দৃশ্য।
এখন প্রতিটি হাটেই গড়ে উঠেছে সেলুনের স্থায়ী দোকান। ছোট-বড় যে ধরনের সেলুন হোক না কেন আছে বিশাল আয়না, চেয়ার, আধুনিক যন্ত্রপাতি ও সাজগোজের প্রসাধনী। কিছু কিছু সেলুনে আছে শীতাতপ নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থাও।
মে দিবসে নীলফামারীর জলঢাকা, চাপানি কৈমারীসহ বেশ কয়েকটি গ্রামীণ হাটে ভ্রাম্যমাণ চুল কাটার দোকানের বিষয়ে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, এক সময় এ অঞ্চলের হাটবারে বিভিন্ন স্থান থেকে আসতেন নরসুন্দররা। শুধু হাটেই নয় গ্রামে গ্রামে ঘুরেও মানুষের চুল কেটে দিতেন অনেকে। গ্রামের মানুষ অপেক্ষায় থাকতো কবে আসবে নরসুন্দর। এলেই একে একে চুল কাটাতেন এক পাড়ার একাধিক মানুষ।
দিন দিন মানুষ বাজারমুখী হওয়া ও উন্নতভাবে কাটানোর অভ্যাস গড়ে তোলায় চাহিদা কমেছে ভ্রাম্যমাণ নরসুন্দরের। আগে বিভিন্ন হাটে যেসব স্থানে দেখা মিলতো ভ্রাম্যমাণ নরসুন্দরের, এখন সেসব স্থানে গড়ে উঠেছে বাহারি নামের সেলুন। বছর তিনেক আগেও ভ্রাম্যমাণ নরসুন্দরদের দেখা গেছে। কিন্তু এখন আর চোখে পড়ে না।
জলঢাকার বিজলির ডাঙ্গা এলাকায় নরসুন্দেরের কাজ করেন বালাগ্রামের শান্ত। দাদার হাত ধরেই এ পেশায় আসা তার। তার দাদা কুলো বর্মন এক সময় বিভিন্ন গ্রামে ঘুরে ঘুরে চুল কাটতেন।
শান্ত বলেন, ২০১৫ সালে দাদা মারা গেছেন। এর আগে দাদা গ্রামে ঘুরে ঘুরে চুল কাটতেন। আমিও দাদার সঙ্গে যেতাম। তখন ছোট ছিলাম। আমি ২০১৮ সালে দোকান দিয়েছি এখানে। মানুষজন এখানেই চুল কাটতে আসেন।
নীলফামারীর উকিলের মোড় এলাকার নরসুন্দর বাবুল বলেন, এক সময় আমাদের পূর্বপুরুষরা এ কাজ করতেন। মানুষ হাটে কম আসতো। তাই গ্রামে গেলে অনেক মানুষ পাওয়া যেত। এখন সবাই আধুনিক জিনিস খোঁজে। সব কিছু পরিপাটি প্রয়োজন।
গোলমুন্ডা এলাকার সফিয়ার রহমান বলেন, আগে নরসুন্দররা বাড়িতে বাড়িতে এসে আমাদের চুল কাটাতো। পরিবারের সব ছেলে চুল কাটতাম। আমাদের সন্তানদের চুলও ছোটবেলায় ওই নরসুন্দররা এসে কাটতো। তবে এখন আসে না। আমরাও বাজার গেলে দোকানে গিয়ে কেটে আসি।
বাংলার ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি নিয়ে কাজ করা অভিনন্দন কালচারাল একাডেমির নির্বাহী পরিচালক কাঞ্চন রায় বলেন, মানুষ অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হচ্ছে। প্রতিটি ক্ষেত্রে আধুনিকতার ছোঁয়া লাগছে। আগের নরসুন্দররা বা এ পেশার সঙ্গে জড়িত ছিল তারা নিম্ন আয়ের বলতে পারেন। একদম দারিদ্র্যতার সর্বনিম্ন স্তরের। যখন তাদের হাতে টাকা এলো, যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত হলো, তারা নিজস্ব দোকান দিয়ে বসলো। এভাবেই মূলত ভ্রাম্যমাণ নরসুন্দরের দৃশ্য বিলীন হচ্ছে। মানুষের রুচির পরিবর্তন ঘটেছে। মানুষ পরিবেশগতভাবে ভালো কিছু প্রত্যাশা করবে এটাই স্বাভাবিক।
সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক অবিনাশ রায় বলেন, মূলত মঙ্গা কাটতে থাকায় দিন দিন মানুষের রুচির পরিবর্তন হয়েছে। মানুষ আর নিচে বসে চুল কাটতে চান না। যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত হওয়ায় এ পেশার সঙ্গে জড়িত মানুষরাও এখন নির্দিষ্ট একটি স্থানে অবকাঠামো গড়ে বসেছেন। মানুষ সেখানে গিয়েই চুল কাটছে। সময়ের পরিক্রমায় দিন দিন এটি আরও ব্যতিক্রম হবে।
তিনি আরও বলেন, আগে কাঁচি, চিরুনি খুর দিয়ে কাজ করতেন। এখন আধুনিক জিনিস দিয়ে কাজ করছে নাপিতরা। মূল কথা নিম্ন আয়ের মানুষরা অর্থনৈতিক ভাবে স্বাবলম্বী হওয়া ও মানুষের রুচির পরিবর্তনের ফলেই আগের দৃশ্যপট চোখে পড়ে না।
সুত্র: জাগো নিউজ।
- মারা গেছেন জাতীয় পতাকার নকশাকার মুক্তিযোদ্ধা শিব নারায়ণ দাস
- আইপিএল থেকে চাইলেও যে কারণে যেতে পারেননি বাংলাদেশি এক ক্রিকেটার
- জুম্মাবার ও নামাজের গুরুত্ব
- শিল্পী সমিতির নির্বাচনে এফডিসিতে নিরাপত্তা জোরদার
- বিজিপির আরো ১৩ সদস্য আশ্রয় নিলো বাংলাদেশে
- সড়কে দুর্ঘটনা রোধে প্রতিদিন মোবাইল কোর্ট পরিচালনার নির্দেশ
- তীব্র গরমের মধ্যেই ধেয়ে আসছে ঝড়-শিলাবৃষ্টি
- ইসরায়েলের হামলার পর প্রধান দুটি বিমানবন্দরে ফ্লাইট চলাচল শুরু
- ইসরায়েল পাল্টা হামলা চালিয়েছে ইরানে
- দ্রুত শিক্ষকদের শূন্য পদ পূরণের সুপারিশ
- বিচ্ছিন্নভাবে দেশের স্বার্থ অর্জন করার সুযোগ নেই: সেনা প্রধান
- মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্যদের সম্মানি বাড়বে
- ২৪ এপ্রিল ব্যাংকক যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী
- দাবদাহে পুড়ছে দেশ, সুস্থ থাকতে যা করবেন
- ‘উপজেলা নির্বাচনে কেউ প্রভাব বিস্তার করতে এলে ব্যবস্থা’
- বাংলাদেশে শিশুখাদ্য নিডো-সেরেলাক নিয়ে ভয়ঙ্কর তথ্য
- ঘরে বসে আয়ের প্রলোভন, পলকেই নিঃস্ব হচ্ছে মানুষ
- উপজেলা নির্বাচন: প্রথম ধাপে বৈধ এক হাজার ৭৮৬ প্রার্থী
- অপপ্রচার রোধে ভারতীয় প্রতিষ্ঠানের সহযোগিতা নেয়া হবে
- নাশকতার মামলায় জেলা যুবদলের সভাপতি কারাগারে
- সাত বিভাগে বৃষ্টির সম্ভাবনা
- প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ ও প্রদর্শনী উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
- বিরলে গ্রাম আদালত বিষয়ক দিনব্যাপী কর্মশালা অনুষ্ঠিত
- রংপুরে সংবর্ধনায় সিক্ত ব্যরিস্টার আনিকা তাসনিয়া
- নীলফামারীতে ট্রেনে কাটা পড়ে যুবকের মৃত্যু
- ইরানের হামলা নিয়ে এবার ইসরায়েল-সৌদি পাল্টাপাল্টি মন্তব্য
- ‘মুস্তাফিজের শেখার কিছু নেই, আইপিএলে অন্যরাই তার থেকে শিখবে’
- বোট ক্লাব কাণ্ড: পরীমনির বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানার আবেদন
- তীব্র তাপপ্রবাহ বিষয়ে যা বলেছেন রাসূলুল্লাহ (সা.)
- বাংলাদেশে কোনো অবৈধ সশস্ত্র সংগঠন থাকবে না: র্যাব ডিজি
- ডিমলায় জুয়া খেলার অপরাধে আটক-২
- ঠাকুরগাঁওয়ে ঈদ-নববর্ষে ১০ জন নিহত, আহত ২ শতাধিক
- রাতেই যেসব অঞ্চলে হতে পারে বজ্রসহ বৃষ্টি
- ট্রেনের সামনে ক্যামেরা বসাতে স্থায়ী কমিটির সুপারিশ
- ফারিণের ‘নিকষ’ অন্ধকার!
- অতিরিক্ত সচিবকে ওএসডি, ৫ যুগ্ম-সচিবের বদলি
- ‘সমন্বিত উদ্যোগ নিয়ে ভূমিসেবায় দুর্নীতি প্রতিরোধ করা হবে’
- জলবায়ু সহনশীল দেশ গড়তে নারীদের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ
- অবৈধ দখলে থাকা খাস জমি চিহ্নিত করতে বললেন ভূমিমন্ত্রী
- সুখী দেশের তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান ১২৯তম
- চিকিৎসা ব্যবস্থা যেকোনো মূল্যে সহজলভ্য করবো: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
- ডোমারে ’বিশ্ব যক্ষ্মা দিবস’ উপলক্ষে র্যালী ও আলোচনা সভা
- ভয়াল ২৫ মার্চ আজ, রাতে ১ মিনিট অন্ধকারে থাকবে দেশ
- ভারতকে বিশ্বকাপ জেতানো কোচকে নিয়োগ দিচ্ছে পাকিস্তান
- মানুষের জীবন সহনীয় করতে কাজ করছে সরকার: পরিবেশমন্ত্রী
- দ্বিতীয় ওয়ানডেতেও ব্যাটিং বিপর্যয়ে বাংলাদেশ
- জামদানিকে আন্তর্জাতিকভাবে সমাদৃত করা হবে: শিল্প সচিব
- রোহিঙ্গা সমাধানে নিউজিল্যান্ডকে সক্রিয় ভূমিকা রাখার আহ্বান
- তুরস্কে আঞ্চলিক নির্বাচনে এরদোগান বিরোধীদের জয়
- ছবি নিয়ে নানা প্রশ্নের উত্তর দিলেন শরিফুল