• বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১১ ১৪৩১

  • || ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

সর্বশেষ:
যুদ্ধের অর্থ জলবায়ু পরিবর্তনে ব্যয় হলে বিশ্ব রক্ষা পেত- প্রধানমন্ত্রী দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ উৎপাদনের রেকর্ড মেডিকেল কলেজের ক্লাস অনলাইনে নেয়ার নির্দেশ স্বাস্থ্যমন্ত্রীর ‘গণতান্ত্রিক রীতিনীতি না মানলে জনগণই বিএনপিকে প্রতিহত করবে’ লালমনিরহাটে হত্যা মামলায় বিএনপির দুই নেতা কারাগারে

নীলফামারীতে প্রথমবার তরমুজ চাষে সাফল্য

– নীলফামারি বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ২৭ মে ২০২৩  

নীলফামারীর মাটিতে তরমুজ হবে কিনা একন নানা সংশয় নিয়ে তরমুজ চাষ করা হয়েছে। এই গ্রীষ্মকালীন তরমুজ চাষ করে সফলতা পেয়েছেন কৃষকরা।

ফলে দূরদূরান্ত থেকে লোকজন আসছেন এই তরমুজ ক্ষেত দেখতে। এতে করে কৃষির সঙ্গে জড়িতদের আগ্রহ আরও বাড়ছে।

কৃষি বিভাগের সূত্র মতে, জেলায় স্বাভাবিকভাবে জানুয়ারির তৃতীয় সপ্তাহ থেকে ফেব্রুয়ারির প্রথম পর্যন্ত তরমুজের বীজ রোপণ করা হয়। কিন্তু নীলফামারীতে মার্চের প্রথম সপ্তাহে তরমুজের বীজ রোপণ করা হয়। কৃষি বিভাগের অনুপ্রেরণায় এবার জেলা সদরের তিনজন কৃষক ৩৪ শতাংশ জমিতে গ্রীষ্মকালীন তরমুজ চাষ করেছেন। গ্রীষ্মকালীন তরমুজ চাষে এ অঞ্চলের আবহাওয়া এবং মাটি উপযোগী।

নীলফামারী জেলা সদরের ইটাখোলা ইউনিয়নের কানিয়ালখাতা ও নীলফামারী পৌরসভা এলাকার হাড়োয়া গ্রামের তিনজন কৃষক ৩৪ শতাংশ জমিতে এই প্রথম তরমুজ চাষ করেছেন। প্রথমবারের মতো গ্রীষ্মকালীন তরমুজের চাষে দেখছেন সফলতা। মাচায় ঝুলছে হলুদ ও সবুজ রঙের গ্রীষ্মকালীন তরমুজ। নিজের আন্তরিকতা ও কৃষি বিভাগের পরামর্শেই তারা এবার সফল হয়েছেন।

এর মধ্যে সদরের কানিয়ালখাতা গ্রামের তরমুজ চাষি সামছুল হক (৩৫)। তরমুজ চাষের অভিজ্ঞতা সম্পর্কে তিনি বলেন, আমি প্রতি বছর বেগুন, পটোল, ঢেঁড়সসহ অন্যান্য শাকসবজির আবাদ করি। এ বছর প্রথম ১৫ শতাংশ জমিতে তরমুজের আবাদ করেছি। ফলন খুব ভালো হয়েছে। আমার ক্ষেতের তরমুজ দেখার জন্য দূরদূরান্তের মানুষ প্রতিদিন আসছেন। আমার দেখাদেখি আশপাশের অনেকেই তরমুজ আবাদ করতে চান। আমার বাগানের তরমুজগুলোর রং ও স্বাদ ভালো হয়েছে। আর এক সপ্তাহের মধ্যে সেগুলো বিক্রি করা যাবে।

তিনি আরও বলেন, কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের সহযোগিতায় ১৫ শতাংশ জমিতে তরমুজ চাষ করে খরচ হয়েছে ৩০ হাজার টাকা। উৎপাদিত তরমুজ বিক্রি করে ১ লাখ ১০ হাজার টাকার বেশি পাওয়া যাবে বলে আশা করছি।

উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা এস এম রাকিব আবেদীন জানান, আমাদের তিনটি ব্লকে তিনজন কৃষক ৩৪ শতাংশ জমিতে প্রথমবারের মতো পরীক্ষামূলক তরমুজ চাষ করেছেন। এবারে প্রথম এ আবাদে কৃষকরা এর ফলনে আশাবাদী হয়েছেন। আগামীতে জমির পরিধি বাড়বে বলেও মনে করছেন তিনি।

সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. আতিক আহমেদ বলেন, গ্রীষ্মকালীন তরমুজ উচ্চ মূল্যের ফসল। এ অঞ্চলে বেলে দো-আঁশ মাটি তরমুজ চাষের জন্য উপযোগী। আমরা প্রথমবারের মতো এর চাষ করে সফলতা দেখছি। এখানে দুইটি জাতের তরমুজ আছে। একটি তৃপ্তি, অপরটি ব্ল্যাকবেরি। দুইটিরই ভেতরের অংশ লাল হবে। এগুলো যেমন রসাল, তেমনি সুমিষ্ট। আশা করছি ভবিষ্যতে এ অঞ্চলে ব্যাপক হারে গ্রীষ্মকালীন তরমুজের চাষ বাড়বে।