• শনিবার ০৯ ডিসেম্বর ২০২৩ ||

  • অগ্রহায়ণ ২৪ ১৪৩০

  • || ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৫

অরক্ষিত সৈয়দপুর বিসিক নগরী, আতঙ্কে শিল্পমালিকেরা

– নীলফামারি বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩  

নীলফামারীর সৈয়দপুরে নানা সমস্যায় জর্জরিত বিসিক শিল্পনগরী। দীর্ঘ ৩৯ বছরেও নির্মাণ করা হয়নি সীমানাপ্রাচীর। এতে কারখানাগুলোয় প্রায়ই চুরি হচ্ছে। সন্ধ্যা হলেই বসে মাদকের আড্ডা। নর্দমাগুলো ভরাট ও ভেঙে যাওয়ায় পানি নিষ্কাশন হয় না।

কারখানার মালিকদের অভিযোগ, শিল্পনগরীটিকে আরও লাভজনক করা কিংবা সুযোগ-সুবিধা বাড়ানোর দিকে মনোযোগ নেই বিসিক কর্তৃপক্ষের। তাদের অবহেলার কারণে সম্ভাবনাময় জায়গাটিতে শিল্পকারখানা গড়ে তোলার আগ্রহ হারিয়ে ফেলছেন উদ্যোক্তারা।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, উত্তরের বাণিজ্যিক শহর হিসেবে খ্যাত সৈয়দপুরের নিয়ামতপুর এলাকায় ১৯৮৪ সালে ১০ দশমিক ৯৩ একর জায়গার ওপর বিসিক শিল্পনগরী গড়ে তোলা হয়। এতে ৯২টি প্লটের মধ্যে মোট শিল্প ইউনিট আছে ৪৯টি। এর মধ্যে কেবল একটি কারখানা পুঁজি-সংকটে বন্ধ হয়ে গেছে। বাকিগুলো চালু আছে।

উদ্যোক্তারা জানান, বিসিকে ১৭টি খাদ্য ও খাদ্যজাত, ১৫টি রসায়ন, ১১টি হালকা প্রকৌশল, তিনটি পাট ও পাটজাত এবং তিনটি বনজ শিল্পের কারখানা রয়েছে। এতে প্রায় ১০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করা হয়েছে। কারখানাগুলোয় কর্মসংস্থান হয়েছে ৬ হাজার নারী-পুরুষের। গেল ২০২২-২৩ অর্থবছরে এ শিল্পনগর থেকে ১৫০ কোটি টাকার পণ্য রপ্তানি হয়েছে। আর উদ্যোক্তারা সরকারকে রাজস্ব দিয়েছেন ৪ কোটি ৪৫ লাখ টাকা।

সরেজমিনে দেখা গেছে, শিল্প প্লটের বিভিন্ন সড়ক খানাখন্দে ভরা। পানি সরবরাহের কেন্দ্রীয় ট্যাংকটি বিকল। নেই পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা। সীমানাপ্রাচীর না থাকায় বহিরাগতরা অবাধে শিল্প এলাকায় চলাচল করছে।

বিসিক শিল্পমালিক সমিতির কার্যকরী সদস্য আব্দুর রশিদ বলেন, শিল্পনগরীটি প্রতিষ্ঠার ৩৯ বছর পার হলেও আজও এখানে নির্মিত হয়নি সীমানাপ্রাচীর। ফলে বছরের পর বছর নিরাপত্তাহীনতার মধ্যেই কারখানা চালাতে হচ্ছে মালিকদের। প্রায় চুরি যাচ্ছে কারখানার মূল্যবান মালপত্র। ক্রমাগত চুরির ঘটনায় মালিকেরা অনেকটা অসহায়। অনেক সময় গভীর রাতে কারখানা বন্ধ করে লাখ লাখ টাকা নিয়ে বাড়ি ফিরতে হয়। কিন্তু সন্ধ্যা হলেই সেখানে বসে মাদকের আড্ডা। তাই বাড়ি ফেরার সময় ছিনতাইয়ের ভয়ে আতঙ্কে থাকতে হয়। এ ছাড়া নর্দমাগুলো দিয়ে পানি নিষ্কাশন হয় না। ফলে জলাবদ্ধতা নিত্যসঙ্গী হয়ে আছে।

বিসিক শিল্পমালিক সমিতির সভাপতি আবুল কালাম বলেন, সীমানাপ্রাচীর নির্মাণের জন্য তাগাদা দেওয়া হলেও তাতে সাড়া পাওয়া যায়নি। বিসিক কর্তৃপক্ষের উদাসীনতায় এটি নির্মাণ করা হচ্ছে না। 

এসব বিষয়ে সৈয়দপুর বিসিক শিল্পনগরীর শিল্পনগরী কর্মকর্তা মশিউর রহমান বলেন, ইতোমধ্যে এ শিল্পনগরীর পঞ্চবার্ষিকী উন্নয়ন প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। আশা করছি খুব শিগগিরই সীমানাপ্রাচীরসহ অন্যান্য সমস্যা সমাধান করা হবে।