• শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ২০ ১৪৩১

  • || ২৩ শাওয়াল ১৪৪৫

নীলফামারীতে আলুর দামে খুশি চাষিরা

– নীলফামারি বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ৪ জানুয়ারি ২০২৪  

ভালো দাম পাওয়ার আশায় সমতল জমিতে আলু রোপণ করেছিলেন নীলফামারীর প্রান্তিক ও মাঝারি চাষিরা। এখন বাজারে ভালো দাম পাওয়ায় কৃষকরা আলু চাষে করে লাভের মুখ দেখছেন। ধান কাটার পর একই জমিতে আলু চাষ করে অতিরিক্ত অর্থ আয় করতে পারছেন কৃষকরা। তাদের মতে, আবহাওয়া ভালো থাকায় এবার কম খরচে আলুর বাম্পার ফলন হয়েছে।

জেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, জেলায় এ বছর ২১ হাজার ৭১২ হেক্টর জমিতে আলু চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। যার মধ্যে আগাম আলুর লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে আট হাজার ৮০০ হেক্টর। এরই মধ্যে আগাম আলু ৬৫৫ হেক্টর জমিতে আলু তুলেছেন কৃষক। এবার আগাম জাতের আলু হেক্টর প্রতি ফলন হয়েছে ১৫ মেট্রিক টন।

জলঢাকা উপজেলার কৃষক কালু মাহমুদ বলেন, আলুর ফলন বেশ ভালো হয়েছে। এবার আবহাওয়া ভালো থাকায় কীটনাশক স্প্রে করতে হয়নি। দেড় বিঘা জমিতে আলুর উৎপাদন খরচ হয়েছে ৩০ হাজার টাকা। আলু বিক্রি করার জন্য হাটে নিয়ে যেতে হচ্ছে না পাইকাররা জমি থেকে আলু ৪৩ টাকা কেজিতে কিনে নিয়ে যাচ্ছেন। দেড় বিঘা জমিতে উৎপাদন খরচ বাদ দিয়েও প্রায় লাখ টাকা লাভ হবে আশা করছি।

মিজানুর রহমান নামে আরকেজন কৃষক বলেন, আমি এক বিঘা জমিতে আলু লাগিয়েছি। ইতি মধ্যে আলু খেত থেকে তুলতে শুরু করেছি। গতবছর আলুর দাম কম কিন্তু উৎপাদন খরচ বেশি ছিলো এবার আলুর বাজার ও ফলন দুটোই ভালো হয়েছে। তাই এবার লাভ একটু বেশি হচ্ছে।

উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা প্রফূল্য চন্দ্র রায় বলেন, কৃষকরা ফসলের মাঠ থেকে আগাম জাতের আলু উত্তলোন শুরু করেছেন। আলু চাষিদের কৃষি অফিস থেকে সবধরনের সহযোগিতা ও পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। ফলন মোটামুটি ভালো হয়েছে। পরের মৌসুমে আগাম জাতের আলু লাগানোর জন্য কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ড. এস এম আবু বক্কর সাইফুল ইসলাম বলেন, আগে ধান কেটে জমি ফেলে রাখতেন কৃষকরা এখন তিনটি ফসল উৎপাদন করছেন কৃষকরা। উৎপাদন খরচ কম হওয়ার পাশাপাশি বাজারে আলুর দাম ভালো থাকায় আগাম জাতের আলু চাষে কৃষকরা লাভবান হচ্ছে।