• শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৭ ১৪৩১

  • || ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

সর্বশেষ:
বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার অন্যতম নকশাকার বীর মুক্তিযোদ্ধা শিব নারায়ণ দাস, আজ ৭৮ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেছেন। বন্যায় দুবাই এবং ওমানে বাংলাদেশীসহ ২১ জনের মৃত্যু। আন্তর্জাতিক বাজারে আবারও বাড়ল জ্বালানি তেল ও স্বর্ণের দাম। ইসরায়েলের হামলার পর প্রধান দুটি বিমানবন্দরে ফ্লাইট চলাচল শুরু। ইসরায়েল পাল্টা হামলা চালিয়েছে ইরানে।

অসাংবিধানিক উপায়ে ক্ষমতা নিতে চেয়েছিল তারেক

নীলফামারি বার্তা

প্রকাশিত: ২৬ ডিসেম্বর ২০১৮  

২০১৪ সালের নির্বাচনে বিএনপি-জামায়াত জোট অংশ না নিয়ে তারা অসাংবিধানিক উপায়ে ক্ষমতা দখল করতে চেয়েছিল। কিন্তু জনগণ তাদের সেই সুযোগ দেয়নি বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. আব্দুল মান্নান।

তিনি বলেন, তারা আগুন সন্ত্রাসের মাধ্যমে দেশের নিরীহ তিন শত মানুষকে পুড়িয়ে মেরেছিল। চার হাজার কোটি টাকার সম্পদ ধ্বংস করেছিল। এ বিষয়টি নিশ্চয়ই দেশের মানুষ ভুলে যায়নি।

বুধবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের কনফারেন্স লাউঞ্জে ‘নির্বাচনোত্তর শেখ হাসিনা, উন্নয়ন ও সাম্প্রতিক বাংলাদেশ’ শিরোনামে এক আলোচনায় তিনি এসব কথা বলেন। বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধা প্রজন্ম লীগ এ আলোচনার আয়োজন করে।

প্রজন্ম লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি আহমেদ সাইফুল রহমান ছোটনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. আব্দুল মান্নান। বক্তব্য রাখেন, শহীদ বুদ্ধিজীবী ডা. আলীমের কন্যা ডা. নুসরাত ফারজানা, মহিলা আওয়ামী লীগের শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক লীনা লিসা, মুক্তিযুদ্ধা প্রজন্ম লীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ এ কে জামান লিটন।

নির্বাচন নিয়ে টালবাহানার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, বিএনপি এবার নির্বাচনে অংশ না নিলে তাদের রেজিস্ট্রেশন বাতিল হবে। তাই তারা অবশ্যই নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াবে না। নির্বাচন থেকে সরে গেলে দেশের জনগণই তাদের নাম-গন্ধ ধুলোয় মিশিয়ে দেবে।

তারেক জিয়ার নাম উল্লেখ করে তিনি বলেন, তারেক ছিল অস্ত্র ব্যবসায়ী। সে উলফার সঙ্গে চুক্তি করে অস্ত্র ব্যবসা করতো। দশ ট্রাক অস্ত্র পাচারের সময় ধরে পড়ে তার ‍কীর্তিকলাপ দেশের মানুষ জেনে যায়। তাকে চাঁদা না দিয়ে কোনো ব্যবসায়ী ব্যবসা করতে পারতো না। অথচ শেখ হাসিনার দশ বছর শাসনামলে কোন ব্যবসায়ীকে চাঁদা দিতে হয়নি। প্রধানমন্ত্রী কোনো চাঁদাবাজকে বরদাস্ত করেন না।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ এখন আর তলাবিহীন ঝুঁড়ি নয়। বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল। বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনার দেশ প্রেমের জন্যই এ উন্নয়ন সম্ভব হয়েছে। তাই তাকে পুনরায় ক্ষমতায় আনতে হবে। নির্বাচনে নৌকা প্রতীকে ভোট দিতে হবে।

তিনি বলেন, নৌকার ভোট কোনো অপশক্তিই ছিনিয়ে নিতে পারবে না। কারণ বিএনপি-জামায়াত ক্ষমতায় থাকতে দেশের কোনো উন্নয়ন করেনি। তারা শুধু নিজেদের পকেট ভরেছে। এ নির্বাচনে কিভাবে সাফল্য আসবে সেদিকে সবাইকে সজাগ দৃষ্টি রাখবেন।

মুক্তিযুদ্ধা প্রজন্ম লীগের সদস্যদের উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, তোমরা বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে ধরে রাখবে, শেখ হাসিনার দেশ প্রেমকে অনুসরণ করবে, তাই কে কি বললো সেদিকে কান না দিয়ে নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী প্রার্থীদের কি ভাবে জেতানো যায় সে বিষয়ে ভাববে।