• শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৫ ১৪৩০

  • || ১৮ রমজান ১৪৪৫

শেখ হাসিনার সঙ্গে অনুপ্রেরণা হয়ে আছেন শেখ রেহানা: ওবায়দুল কাদের 

– নীলফামারি বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২১  

শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার পর এক কঠিন এবং সংগ্রামী জীবন-যাপন করেছিলেন বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যা শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, সরাসরি রাজনীতিতে না এলেও বড় বোন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সার্বক্ষণিক অনুপ্রেরণা হয়ে আছেন এ নির্মোহ এবং জনহিতৈষী ব্যক্তিত্ব।

তিনি বলেন, শেখ রেহেনার ত্যাগ, প্রেরণা এবং অন্তহীন সাপোর্টে দেশরত্ন শেখ হাসিনা আজ সফল রাষ্ট্রনায়ক।
সোমবার (১৩ সেপ্টেম্বর) তাঁর বাসভবনে ব্রিফিংকালে একথা বলেন তিনি। এসময় বঙ্গবন্ধুর কনিষ্ঠ কন্যা শেখ রেহানার ৬৭তম শুভ জন্মদিন উপলক্ষে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের পক্ষ থেকে প্রাণঢালা অভিনন্দন, শুভেচ্ছা ও শ্রদ্ধা জানান তিনি।

ওবায়দুল কাদের বলেন, সাদমাটা জীবন-যাপনে অভ্যস্ত শেখ রেহেনা লন্ডনে মেট্রো ও বাসে যাতায়াত করেন। চাকরি এবং পরিশ্রম করেই সন্তানদের মানুষ করেছেন শেখ রেহানা।

শেখ রেহানার সন্তানরা আজ আন্তর্জাতিক মানের ক্যারিয়ার গঠন করেছেন, টিউলিপ সিদ্দিক বর্তমানে বৃটিশ পার্লামেন্টে লেবার পার্টির সদস্য।

তিনি জানান, রত্নাগর্ভা মা শেখ রেহানার বড় ছেলে রেদোয়ান মুজিব সিদ্দিক ববি একটি আন্তর্জাতিক সংস্থায় কাজ করেন এবং কনিষ্ঠ কন্যা আজমিকা সিদ্দিক রুপন্তি লন্ডনে বৈশ্বিক ঝুঁকি বিশ্লেষক হিসেবে কাজ করছেন। সংকটে, সংগ্রামে বঙ্গমাতা বেগম মুজিব ছিলেন বঙ্গবন্ধুর সহযোদ্ধা, প্রেরণা ও শক্তির উৎস ঠিক তেমনি শেখ রেহানাও পর্দার অন্তরাল থেকে শক্তি ও সাহস যুগিয়ে যাচ্ছেন বড় বোন শেখ হাসিনাকে।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বঙ্গমাতা বঙ্গবন্ধুর জীবনে যে ভূমিকা পালন করেছিলেন, শেখ রেহানাও সে ভূমিকা পালন করে যাচ্ছেন বড় বোন শেখ হাসিনার জীবনে। প্রচার বিমুখ শেখ রেহেনা কখনো লাইম-লাইটে আসেন না। দেশ জাতি এবং গণতন্ত্রের জন্য নীরবে কাজ করে যাচ্ছেন।

বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যার হৃদয়জুড়ে বাংলাদেশ আর বাংলাদেশের মানুষের মুখে হাসি ফোটানোর অদম্য স্বপ্ন জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, আজ এ শুভক্ষণে আবারও বঙ্গবন্ধুর ছোট মেয়ে শেখ রেহানার প্রতি অফুরন্ত শুভেচ্ছা ও শ্রদ্ধা। শেখ রেহানার দীর্ঘায়ু এবং সুস্বাস্থ্য কামনা করেন তিনি।

ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি মুক্তিযুদ্ধ ও দেশপ্রেমের মুখোশের আড়ালে ক্ষমতার জন্য দেশের স্বাধীনতা বিকিয়ে দিতেও দ্বিধাবোধ করে না। যারা স্বাধীনতার পরাজিত শত্রুদের সাথে হাত মিলায় তারা কখনো সার্বভৌমত্বের রক্ষক হতে পারে না

বিএনপি নেতাদের সীমান্ত নিয়ে কথা বলা প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, তারা ভুলে গেছেন, বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে দীর্ঘদিনের সীমান্ত সমস্যার সমাধান হয়েছে শেখ হাসিনার হাত ধরেই। বিএনপি মুখে ভারত বিরোধিতা ফেনা তুললেও ভারতের সাথে নতজানু অবস্থান নিয়েছিলো, যা তাদের সময়কালে দেশবাসী দেখেছে।

শেখ হাসিনার সাহসিকতা ও কূটনৈতিক দক্ষতায় বহুবছরের পুরনো ছিটমহল বিনিময় এবং সীমান্ত সমস্যা আন্তরিকতাপূর্ণ পরিবেশে সম্পন্ন হয় উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি তাদের শাসনামলে কোন সমস্যার সমাধানতো করতে পারেনি বরং প্রতিবেশী দেশের সাথে অবিশ্বাস আর আস্থাহীনতার দেয়াল তুলেছে।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আরও বলেন, শেখ হাসিনা সরকার দেশ ও জনগণের স্বার্থকে সমুন্নত রেখে অবিশ্বাসের দেয়াল ভেঙে তৈরি করেছে সম্পর্কের সেতুবন্ধন। সীমান্ত সমস্যাকে জিইয়ে রেখে যারা রাজনৈতিক ফায়দা হাসিলের চেষ্টা করেছিলেন, যারা ভারত সফরে গিয়ে পানি সমস্যা নিয়ে কথা বলতে ভুলেই গিয়েছিলেন, ভারতে সরকার পরিবর্তনের পর যারা ভারতীয় দূতাবাসের বন্ধ দরজায় ফুল আর মিষ্টি নিয়ে অপেক্ষায় ছিলেন,- তার চেয়ে নতজানু নীতি আর কী হতে পারে? প্রশ্ন ওবায়দুল কাদেরের।

আওয়ামী লীগের হাতেই এদেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব নিরাপদ উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, সীমান্তে হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে কয়েক দফা বৈঠক হয়েছে।ভারত সরকার কথা দিয়েছে সীমান্তে আর হত্যাকাণ্ড ঘটবে না। ওবায়দুল কাদের আশা প্রকাশ করেন ভারত সরকার এই বিষয়ে তাদের প্রতিশ্রুতি রক্ষা করবে।