• মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১০ ১৪৩১

  • || ১৩ শাওয়াল ১৪৪৫

সর্বশেষ:
যুদ্ধের অর্থ জলবায়ু পরিবর্তনে ব্যয় হলে বিশ্ব রক্ষা পেত- প্রধানমন্ত্রী দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ উৎপাদনের রেকর্ড মেডিকেল কলেজের ক্লাস অনলাইনে নেয়ার নির্দেশ স্বাস্থ্যমন্ত্রীর ‘গণতান্ত্রিক রীতিনীতি না মানলে জনগণই বিএনপিকে প্রতিহত করবে’ লালমনিরহাটে হত্যা মামলায় বিএনপির দুই নেতা কারাগারে

নিজ দলেই লাঞ্ছিত হচ্ছেন মহিলা দলের কর্মীরা 

– নীলফামারি বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২১  

যতই দিন যাচ্ছে একের পর এক বেরিয়ে আসছে বিএনপি ও এর অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনগুলোর হাঁড়ির খবর। এবার জানা গেল, জাতীয়তাবাদী মহিলা দল কর্মীদের তাদের দলীয় সহকর্মীদের হাতে প্রায়শই লাঞ্ছিত ও নির্যাতিত হওয়ার খবর।
শুধু তাই নয়, দফায় দফায় শীর্ষ নেতৃত্বের কাছে তারা এর বিচার চেয়েও এ পর্যন্ত পাননি কোনো প্রতিকার। তাই রাগে-ক্ষোভে বাধ্য হয়ে অনেকেই দল ছাড়ছেন।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, মহিলা দলে অনেক আগে থেকেই চলছে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক দ্বন্দ্ব। এরমধ্যে জাতীয়তাবাদী মহিলা দলে ‘মড়ার ওপর খাঁড়ার ঘা’ হয়ে যুক্ত হয়েছে নিজ সংগঠনের কর্মীদের হাতে দফায় দফায় লাঞ্ছিত ও নির্যাতিত হওয়ার ঘটনা। এর ফলে দিন দিন অকার্যকর ও বিশৃঙ্খল দলে পরিণত হচ্ছে বিএনপির এ অঙ্গ-সংগঠনটি।

বাড্ডা থানা জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের ভাইস চেয়ারম্যান রেহানা সুলতানা বলেন, বারবার আমরা মার খাই। পেছন থেকে চুল টানে, খোপা টানে। এমনকি জামা ছিঁড়ে ফেলা হয়। আমি একটা মেয়ে। ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের কাছে আমার একটাই অনুরোধ, আমাদের নিরাপত্তা দিন। আমরা আমাদের জীবনের নিরাপত্তা চাই। নতুবা কীভাবে আমরা সংগঠন করব? কীভাবে উন্নতি করব? সরিষার ভেতরের এই ভূতগুলো তাড়ান, প্লিজ।

ঢাকা মহানগর উত্তর জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের সভাপতি পেয়ারা মোস্তফা বলেন, দুঃখজনক হলেও সত্যি এখন আমাদের জীবন হুমকির সম্মুখীন। উই পোকা ঢুকেছে। এখন এই উইপোকা বের করতে হবে। আর এ দায়িত্ব তারেক রহমানকেই নিতে হবে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের এক কেন্দ্রীয় নেতা বলেন, পাঁচ বছর আগে আফরোজা আব্বাসকে সভাপতি ও সুলতানা আহমেদকে সাধারণ সম্পাদক করে জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের সুপার ফাইভ কমিটি অনুমোদন দেন বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া। এরপর থেকেই নানা ইস্যুতে শুরু হয় সভাপতি ও সম্পাদক দ্বন্দ্ব, যা এখন রীতিমতো মারামারির পর্যায়ে পৌঁছেছে। অচিরেই যদি লাগাম টেনে ধরা না হয়, তাহলে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের কবরে শ্রদ্ধা নিবেদন থেকে ঘরোয়া আলোচনা সভা, সব কর্মসূচিতেই নিজ দলের সহকর্মীদের হাতে লাঞ্ছিত হবেন মহিলা দল কর্মীরা।

এসব বিষয়ে কথা বলতে যোগাযোগ করা হয় মহিলা দলের সভাপতি আফরোজা আব্বাসের সঙ্গে। তিনি বলেন, কর্মীদের লাঞ্ছিত হওয়ার ঘটনা শুনেছি। বিষয়টি খুবই দুঃখজনক। ব্যবস্থা নিচ্ছি, যাতে এ রকম ঘটনা ভবিষ্যতে আর না ঘটে।

এদিকে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, মহিলা দলের অন্তর্দ্বন্দ্বে বর্তমানে বিব্রতকর অবস্থায় রয়েছে বিএনপি। কারণ, কথায় আছে ‘কয়লা যায় না ধুলে, স্বভাব যায় না মলে’।