• বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৫ ১৪৩১

  • || ০৮ শাওয়াল ১৪৪৫

সর্বশেষ:
মুজিবনগর সরকারের ভূমিকা ইতিহাসে অনন্য: রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে মন্ত্রী-এমপিরা হস্ত‌ক্ষেপ করবে না: ওবায়দুল কাদের লালমনিরহাটে যুবলীগ কর্মীর পায়ের রগ কাটলেন যুবদল নেতা বাসার ছাদ থেকে পড়ে যুবকের রহস্যজনক মৃত্যু ঠাকুরগাঁওয়ে ঈদ-নববর্ষে ১০ জন নিহত, আহত ২ শতাধিক

বিএনপি’র হাতে ধরেই দেশে ধর্মের নামে বিভেদ-দ্বন্দ্ব শুরু 

– নীলফামারি বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ১৭ অক্টোবর ২০২১  

বিএনপিতে কখনোই সংখ্যালঘুদেরকে ভাল চোখে দেখা হয় না। এর অন্যতম উদাহরণ হলো গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। সংখ্যালঘু হওয়ায় বিএনপির সম্ভাব্য মহাসচিবের সংক্ষিপ্ত তালিকায় তার নাম নেই।

দলের বড় একটি অংশ মনে করে, এ মুহূর্তে বিএনপির রাজনীতিতে ক্লিন ইমেজের ব্যক্তিটি হল গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। তিনি যে বক্তব্য রাখছেন বা কথাবার্তা বলছেন সেগুলোই বিএনপির তৃণমূলের নেতাকর্মীদের প্রাণের কথা।

বিএনপির প্রতিটি ভুল সিদ্ধান্ত নেয়ার আগে গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বিরোধিতা করেছিলেন। সুচিন্তিত এবং সত্যিকারের রাজনৈতিক নেতাসুলভ পরামর্শ দেন সব সময়। ২০১৪ সালের নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করা বিএনপির ভুল সিদ্ধান্ত বলে দলের অনেকেই মনে করেন। সে সময় গয়েশ্বর নির্বাচনে অংশ নেয়ার জন্য বিএনপিকে বলেছিলেন, কিন্তু হিন্দু হওয়ায় তার কথার মূল্যায়ন করেনি বিএনপি।

এরপর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে দলের চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার মুক্তি ছাড়া নির্বাচনে অংশ নেয়ার বিরোধিতা করেন গয়েশ্বর। কিন্তু সে সময়ও তার কথার গুরুত্ব দেওয়া হয়নি। বর্তমানে বিএনপির শীর্ষ নেতারা ঘুমিয়ে দিন পার করলেও গয়েশ্বর বলেন আন্দোলনের কথা। তাই দলে অনেকের চেয়েও যোগ্যতাসম্পন্ন নেতা হলেও শুধু জাতিতে হিন্দু হওয়ায় তার কথায় কেউ মূল্যায়ন করছে না।

তবে গয়েশ্বর চন্দ্রের যোগ্যতা নিয়ে বিএনপি নেতাকর্মীরা অবগত রয়েছেন। তাহলে প্রশ্ন উঠতেই পারে, দলের মহাসচিব পদের সংক্ষিপ্ত তালিকায় গয়েশ্বর কেন উপেক্ষিত। তাকে মহাসচিব করার কোনই কী চিন্তা-ভাবনাই নেই বিএনপির নীতিনির্ধারকদের? 

তবে এর একটাই উত্তর, তিনি সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিত্ব করেন। আর বিএনপিতে কখনোই সংখ্যালঘুদেরকে ভাল চোখে দেখা হয় না।